কয়েকটি জাতিগোষ্ঠী তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী তথা প্রাচীন পোশাকের ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে। বাঙালি এবং তার শাড়ি সেগুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। কারণ, শাড়ি কোনো বিশেষ আচার বা অনুষ্ঠানের পরিধেয় নয়; বরং এখনো শাড়ি বাঙালির নিত্যপরিধেয়। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের কয়েকটি অঞ্চলে তাঁতের শাড়ি বোনার প্রচলন ছিল এবং সেই চর্চা বা বলা যেতে পারে ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে।
অনবদ্য পরিধাননৈপুণ্য এবং প্রয়োজন-বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখেই হয়ে থাকে শাড়ির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিন্যাস। এই বিস্ময়কর সৃজনশীলতার নেপথ্যের কুশীলবরা আমাদের পূর্বপুরুষ, যাঁরা ‘শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী’ হিসেবে কিংবদন্তি হয়ে আছেন।আমাদের এ অঞ্চলে নানা ধরনের শাড়ি বোনা হয়ে আসছে আবহমানকাল ধরে। জগদ্বিখ্যাত হয়েছে। এই ভূখণ্ডের বয়নশৈলী না হয়েও বেনারসি সময়ের বিবর্তনে মিশে গেছে এখানকার জলহাওয়ায়। হয়ে উঠেছে বাঙালির।
বেনারসি শাড়িকে নায্যমূল্যে সকলের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং ধ্বংস বা বিলুপ্তের দিয়ে এগিয়ে যাওয়া একটা শিল্পকে সমস্ত বাঙালির কাছে পৌঁছে দেয়াই আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস।