জামালপুর জেলা।

Jamalpur, ,Bangladesh
জামালপুর জেলা। জামালপুর জেলা। is one of the popular Non-Profit Organization located in ,Jamalpur listed under City in Jamalpur , Non-profit organization in Jamalpur ,

Contact Details & Working Hours

More about জামালপুর জেলা।

জামালপুর জেলার উত্তরে শেরপুর জেলা, দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে বগুড়া জেলা ও যমুনা নদী অবস্থিত।

প্রশাসনিক বিভাগ ময়মনসিংহ।
আয়তন (বর্গ কিমি) ২,০৩২
জনসংখ্যা মোট : ২০,৮৯,৩৩৬
পুরুষ:৫০.৫৮%
মহিলা: ৪৯.৪২%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা:
বিশ্ববিদ্যালয়: ০
কলেজ : ২৫
মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২৩১
মাদ্রাসা : ১১৩
শিক্ষার হার ২১.৫ %
বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হাসান হাফিজুর রহমান।
প্রধান শস্য ধান, পাট, আখ, সরিষা রপ্তানী পণ্য পাট, তামাক, সরিষা।

নামকরণ::
হযরত শাহ জামাল(রাঃ) এখানে ধর্ম প্রচার করতে আসেন।এর থেকেই এই শহরের নাম করা হয়েছে জামালপুর। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরাম, সুবর্ণখালী, বংশ নদী তীরবর্তী উঁচুভূমি ও জঙ্গলাকীর্ণ জামালপুরে কবে থেকে লোকালয় গড়ে উঠে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য আজো পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় যে, ৮'শ বছর পূর্ব থেকে জঙ্গলাকীর্ণ এই ভূ-খন্ডে জনবসতি শুরু হয়। উত্তাল যমুনা, ব্রহ্মপুত্র হয়ে জঙ্গলাকীর্ণ এই ভূ-খন্ডের বুক চিরে বয়ে যাওয়া অধূনালুপ্ত বংশ নদী হয়ে ব্যবসায়ীদের বিশাল সব বজরা নৌকা যাতায়াত করতো উত্তর-পশ্চিম থেকে পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গে। যাতায়াতের পথে ব্যবসায়ী সওদাগররা জঙ্গলাকীর্ণ এই এলাকার নদীর তীরে বজরা থামিয়ে বিশ্রাম নিতো। বংশ নদী তীরবর্তী ব্যবসায়ী সওদাগরদের বিশ্রামস্থলটিতে একসময় ছোট্ট একটি "গঞ্জ" গড়ে উঠে। এভাবে ক্রমশ: এই অঞ্চলটি "গঞ্জের হাট" নামে পরিচিত হয়ে উঠে। ব্যবসায়ী সওদাগরদের বিশ্রামস্থলটি এখনো শহরের মাঝখানে "রাণীগঞ্জ" বাজার নামে অতীত স্মৃতির জানান দেয়। মূলত গঞ্জের হাটকে কেন্দ্র করে সে সময় জঙ্গলাকীর্ণ এই এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠতে থাকে। ধারণা করা হয় যে, প্রাচীন বঙ্গের গৌড়ের সেন বংশের রাজত্বকালে (১১০০-১২০৩ খ্রী:) হিন্দুদের মধ্যে যখন কলীন প্রথার প্রচলন হয়, তখন এই এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠে। এ সময় গঞ্জের হাটের কাছের একটি এলাকায় শিবমিন্দর স্থাপিত হয়। পরবর্তী সময়ে কাছাকাছি এলাকায় স্থাপিত হয় দয়াময়ী মন্দির। একসময় শিবমন্দিরকে ঘিরে একশ্রেণীর হিন্দু সন্ন্যাসীদের আনাগোনা শুরু হয় এই অঞ্চলে। পরে দূরদেশ থেকে আগত এই সব হিন্দু সন্ন্যাসীরা আস্তানা গড়ে এই শিবমন্দিরে। হিন্দু সন্ন্যাসীদের আগমনে এবং তাদের পদচারণায় অঞ্চলটি "গঞ্জের হাট" থেকে "সন্ন্যাসীগঞ্জ" হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ক্রমান্বয়ে হিন্দু জমিদারদের উদ্ভব হলে সন্ন্যাসীগঞ্জকে মৌজা তৈরি করে এর নাম রাখেন "সিংহজানী"। এই সিংহজানী মৌজা থেকেই আজকের জামালপুর জেলা। জেলা শহরের দুইটি বিদ্যালয়ের নামের সাথে সিংহজানী নামটি আজও সমুন্নত। জামালপুর। বর্তমানে ঢাকা বিভাগের একটি জেলা। নদীভাঙনে যার আকার ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে জেলাটি। কিন্তু অতীত নানা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এ জেলার সৃষ্টি আর নামকরণের ক্ষেত্রে রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। দিল্লীর তৃতীয় মোঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৪২-১৬০৫ খ্রী:) ইয়েমেন থেকে ইসলামধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত শাহ্ জামাল (রঃ) সিংহজানী মৌজায় আগমন করেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি ক্ষরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নিজ আস্তানা স্থাপন করেন। সে সময় হযরত শাহ্ জামাল (রঃ)-এর অলৌকিক ক্ষমতার কথা দিল্লী পৌঁছলে সম্রাট আকবর তাকে খানকাহ্ শরীফ বা আস্তানার ব্যয় নির্বাহের জন্য সিংহজানীর অন্তর্গত কয়েকটি পরগণা "পীরপাল" হিসেবে প্রদান করে তার কাছে সনদ পাঠালেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। ইসলামের পতাকাবাহী এবং একত্মবাদের একনিষ্ঠ প্রচারক হযরত শাহ্ জামাল (রঃ) এর পূণ্যাত্মার প্রতি স্মরণার্থে পরবর্তীতে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় "জামালপুর"

মূলভাব: সাধক দরবেশ হযরত শাহ্ জামাল (র:) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত গারো পাহাড়ের পাদদেশে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত বাংলাদেশের ২০তম জেলা জামালপুর। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন কবলিত দরিদ্র জেলা হিসেবে জামালপুরের পরিচিত দেশ বিদেশে। হযরত শাহ জামাল (র:) নামানুসারে এ জেলার নামকরণ হয়েছে। জামালপুর ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে প্রথম মহুকুমা হিসেবে ১৮৪৫ সালে মর্যাদা লাভ করে। ৭টি উপজেলা, ৬টি পৌরসভা, ৮টি থানা, ৬৮টি ইউনিয়ন, ১৩৬২টি গ্রাম নিয়ে জামালপুর জেলা গঠিত। ১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর জামালপুরকে স্বাধীন বাংলাদেশের ২০তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

Map of জামালপুর জেলা।