মরুভূমিতে যখন পথিক পথ হারায়, তখন পথের নির্দেশনা দেয় ধ্রুবতারা। দৃশ্যত দ্রুবতারা উত্তর আকাশে দিক নির্ণয়ে সাহায্যকারী নিশ্চল নক্ষত্র বিশেষ। স্থির অচঞ্চল এই তারা কোটি গ্রহতারার মাঝে অবিচলিত বদ্ধমূল হয়ে কেন্দ্রস্থলে বিরাজ করে। ধ্রুব শুধু পথ দেখায় না সত্যকেও বিকশিত করে। প্রকৃতজনের পথের দিশারী হয়। তাই তো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “তোমাকেই করিয়াছি এই জীবনের ধ্রুবতারা।” কার কথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ? এর বহুমাত্রিক বিশ্লেষন আছে। জীবনের সত্যকেই তিনি আদর্শ হিসেবে স্বীকার করেছেন। সত্যই জীবনের আদর্শ ও উৎকর্ষ। যে আদর্শ ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে মানুষকে বিভাজন না করে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পৃথিবীর যাবতীয় উপাদান সুরক্ষা করে। আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যায় সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী। “বি.এস.ডি.” (ধ্রুবতারা) সেই লক্ষ্য এবং আদর্শ নিয়ে সংগঠিত।
বি.এস.ডি. একটি ক্ষুদ্র স্বেচ্ছামূলক সংগঠন। এই সংগঠন-এর সবাই ছাত্র। সবাই কাজ করে লেখাপড়ার অবসরে। বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের থেকে অনেক পিছিয়ে বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। যখন ক্ষুদ্র হয়ে আসছে পৃথিবী গ্লোবালাইজেসনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অনেকটাই ধীর। সেই জায়গায় বি.এস.ডি. গতিশীলতা আনতে কাজ করতে চেষ্টা করে। বি.এস.ডি. এর কাজের ধারাই হচ্ছে মানুষকে উৎবুদ্ধ করা। পথ দেখানো বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় তাদের। বিশ্বাস আছে এই আয়োজন ক্ষুদ্র থাকবে না। বাংলার মানুষ লড়াকু। শত বছরের লড়াইয়ের ইতিহাস আছে তাদের। ক্ষুদ্র থেকে বৃহতের দিকে আলো ফেলবে বি.এস.ডি. । হিংসা নয়, রক্তপাত নয়, সন্ত্রাস নয়- মানুষ এবং মাতৃভূমিকে ভালোবেসে জেগে উঠবে বাঙালি। বাংলাদেশ সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে স্বীকৃতি পাবে। মানবিক মানুষ হিসেবে মাথা উচু করে দাঁড়াবে বাঙালি। “এসো আলকিত হই, আলোকিত করি বাংলাদেশ।”