চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইতিহাস
বাগেরহাট জেলার সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন ঘেসা সমুদ্র উপকুল এলাকা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ২য় সামুদ্রিক বন্দর " মোংলা বন্দর" ।১৯৫০ সালে ১ ডিসেম্বর মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য ১৯৭২ সালের ১লা জানুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মোংলার এক মনোরম পরিবেশে চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি মোংলার প্রাণকেন্দ্র,মোংলা থানার সন্নিকটে স্থাপিত হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ স্কুলের নামে এক একর এক চল্লিশ শতক জমি ৯৯ বছরের লিজ দেয়। প্রথমে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৭ সালের ১লা জানুয়ারি বিদ্যালয়টি প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তিতে বিদ্যালয়টিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে রুপান্তরিত করা হয়। তখন থেকে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষক কর্মচারীর বেতন-ভাতাদি বন্দর কর্তৃপক্ষের কল্যাণ তহবিল থেকে পরিশোধ করা হতো। ১৯৮৫ সালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টিকে বেসরকারী কমিটির হাতে হস্তান্তর করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ন ছেড়ে দেয়ন। ১৯৮৫ সালে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে প্রথম এম,পি,ও ভুক্ত হয় এবং বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষকের দায়িত্ব সুনামের সহিত পরিচালিত হতে থাকে। চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন পেড়িখালী নিবাসী জনাব অা: রশিদ। বর্তমানে (১৬/০২/২০১৫) প্রধান শিক্ষক হিসেবে এই বিদ্যালয়ের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন রামপাল উপজেলার পেড়িখালী নিবাসী জনাব শেখ রোকন উদ্দিন । এই বিদ্যাপিট পড়াশুনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলা অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রাখছে। চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সরকার ঘোষিত প্রথম পর্যায়ে ৬৩ টি মডেল বিদ্যালয়ের একটি। মডেল কার্যক্রমের অাওতায় ইতিমধে ১০ টি কম্পিউটার, একটি ফটোকপিয়ার, একটি ল্যাপটব, একটি স্কানার, একটি প্রজেক্টর ও একটি সার্ভেয়ার পেয়েছে ইহা ছাড়া বিজ্ঞান শাখার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জম পেয়েছে। মডেল প্রকল্পের অংশ হিসেবে অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য একটি চার তলা ভবন নির্মানের জন্য কাজ চলছে। বর্তমানে চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় পাচ শতাধিক এবং শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ২২ জন। জে,এস,সি ও এস,এস,সি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। অাশা করা যায়, অদুর ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার একটি অাদর্শ বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।