Chhatak Bohumukhi Model High School, Chhatak, Sunamganj

High School Road,Chhatak, Chhatak, 3080 ,Bangladesh
Chhatak Bohumukhi Model High School, Chhatak, Sunamganj Chhatak Bohumukhi Model High School, Chhatak, Sunamganj is one of the popular High School located in High School Road,Chhatak ,Chhatak listed under School in Chhatak , High School in Chhatak ,

Contact Details & Working Hours

More about Chhatak Bohumukhi Model High School, Chhatak, Sunamganj

ইতিহাস’ শব্দটি এসেছে ‘ইতিহ’ শব্দ থেকে যার অর্থ হচ্ছে ‘ঐতিহ্য’। ইতিহাস হচ্ছে বর্তমান ও অতীতের মধ্যে সেতু বন্ধন। ইতিহাস অতীতের সত্য ঘটনা উপস্থাপন করে। এতে থাকে ঘটনার ধারাবাহিক সত্যনিষ্ট বর্ণনা। ইতিহাস রচনা করা সহজ সাধ্য ব্যাপার নয়। ইতিহাস রচনা করতে মূলত লিখিত ও অলিখিত দু’ধরনের উপাদানের উপর নির্ভর করতে হয়। লিখিত উপাদান হচ্ছে সাহিত্য, দলিল পত্র, বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী ইত্যাদি। আর অলিখিত উপাদান হচ্ছে বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিক তথ্য। ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে লিখিত উপাদানের পাশাপাশি অলিখিত উপাদান হিসেবে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিয়ান ও প্রবীন ছাত্রদের নিকট থেকে প্রাপ্ত যুক্তিযুক্ত তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে। সভ্যতার ক্রম বিকাশ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যুগে যুগে কিছু মহান ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেছে এবং তাঁদের ত্যাগ ও কর্ম প্রচেষ্টায় সমাজ উপকৃত হয়েছে, বিকশিত হয়েছে। তেমনি কালজয়ী এক মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন সুনামগঞ্জ মহকুমার তৎকালীন ঝউঙ জনাব সৈয়দ মর্তুজা আলী (সৈয়দ মর্তুজা আলী ছিলেন তৎকালীন আসাম প্রদেশের করিমগঞ্জের অধিবাসী)। তিনি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। ছাতকের মুরব্বিয়ানদের কাছ থেকে জানা যায় ১৯৪০ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে তিনি ছাতক ভিজিটে এসে জানতে পারেন যে, সারা দেশে কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ স্থান হিসেবে পরিচিত ছাতক শহরে একমাত্র চন্দ্রনাথ এম.ই. স্কুল জোনাকির মত জ্বলছে। এখানে কোন হাইস্কুল নেই। এ অবস্থা দেখে তিনি বিস্মিত হন এবং এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিকে একটি সাধারণ সভা আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুপ্রানিত করেন। তাঁর পরামর্শ অনৃুযায়ী ছাতকে একটি ‘হাই ইংলিশ স্কুল’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৬/০১/১৯৪১খ্রিষ্টাব্দে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মর্ত্জুা আলী, ঝউঙ সুনামগঞ্জ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিঃ এ.সি বিশ্বাস, মি. টি পেলাম, বাবু কেদার নাথ দাস, বাবু রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরী, বাবু কৈলাশ চন্দ্র চৌধুরী, বাবু সৃষ চন্দ্র পুরকায়স্থ, জনাব হাজী আলী রাজা চৌধুরী, জনাব জুয়াদুর রাজা চৌধুরী, জনাব দেওয়ান মোঃ আহবাব চৌধুরী, জনাব দেওয়ান মোঃ আজরফ চৌধুরী সহ মোট ৪৯ জন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। এ সভায় উপস্থিত ৪৯ জন সদস্য নিয়ে ছাতকে “হাই ইংলিশ স্কুল” প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ডড়ৎশরহম ঈড়সসরঃঃবব গঠন করা হয়। এরপর ০৭/০৩/১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ডড়ৎশরহম ঈড়সসরঃঃবব'র সভায় বার্ষিক ৫৪ রূপী ভাড়ায় জনাব আব্দুল মতিন সাহেবের বাড়ীতে ৭ম শ্রেণীর ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত হয় এবং বাবু অনাদী কুমার দেব চৌধুরী, বি.এ কে সাময়িক ভাবে একমাত্র শিক্ষক নিয়োগ দান করা হয়। এভাবেই স্কুলটির যাত্রা শুর” হয়। উল্লেখ্য যে, বাবু অনাদী কুমার দেব চৌধুরীর মাসিক মাহিনা ২৫ রূপী ধার্য্য করা হয়েছিল।

স্কুলের চৎড়পববফরহম ইড়ড়শ পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, ২৯/০৫/১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ছাতক হাই ইংলিশ স্কুলের ১০ সদস্য বিশিষ্ট ১ম ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। ১১/০৮/১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে জনাব সৈয়দ মর্তুজা আলী, ঝউঙ, সুনামগঞ্জ-মহোদয়ের সভাপতিত্বে ছাতক হাই ইংলিশ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি, ডড়ৎশরহম ঈড়সসরঃঃবব ও চন্দ্রনাথ এম.ই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাবু সুরেন্দ্রনাথ দেব, বি.এ (অপঃরহম প্রধান শিক্ষক) সহ মোট ১০জন শিক্ষক নিয়োগ দান করা হয। ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চালু করার পর ভাড়া বাড়ীতে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় উক্ত যৌথ সভায় ছাতক হাই ইংলিশ স্কুলের কার্যক্রম সাময়িক ভাবে চন্দ্রনাথ এম.ই স্কুলে পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ০১/০৯/১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৩১/১২/১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ছাতক হাই ইংলিশ স্কুলের কার্যক্রম চন্দ্রনাথ এম.ই স্কুলে চালানো হয়। ছাতক হাই ইংলিশ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব সৈয়দ মর্তুজা আলী, ঝউঙ, সুনামগঞ্জ মহোদয়ের সভাপতিত্বে ১০/০২/১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সভার ৪র্থ প্রস্তাবে চন্দ্রনাথ এম.ই স্কুল কমিটির সেক্রেটারী সাহেবকে হাইস্কুলের যাবতীয় ফান্ড ছাতক হাই ইংলিশ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নামে পরিচালিত “সিলেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাংক” ছাতক শাখায় স্থানান্তরের জন্য এবং হাইস্কুলের ভাগের আসবাবপত্র অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহেবকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

স্কুলের বর্তমান ভিটা ও পুকরের মালিক ছিলেন গৌরীপুর স্টেটের তৎকালীন জমিদার বাবু বীরেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী। তাঁরই খাইয়া প্রজারা এখানে বসবাস করত। এক সময় খাইয়ারা ছাতক ছেড়ে চলে যায় এবং এই ভিটা ও পুকুরটি পরিত্যক্ত থাকে।

এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ এবং তৎকালীন ঝউঙ,মহোদয়ের অনুরোধে জমিদার বাবু বি.কে রায চৌধুরী তাঁর পরিত্যক্ত বাড়ী এবং পুকুরটি স্কুলের কাজে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। এ অনুমতি পেয়ে ছাতকের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ-ব্যবসায়ী ও বিত্তবান ব্যক্তিগণের নিকট থেকে অনুদান সংগ্রহ করে বর্তমান ভিটায একটি টিনের কাঁচাঘর নির্মাণ করেন। অতঃপর ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে স্কুলটি তাঁর নিজস্ব গৃহে কার্যক্রম শুর” করে। স্কুলের মূল ভিটা, পুকুর ও পুকুর পাড় সহ ১.৫১ একর ভূমি গৌরীপুর ষ্টেটের জমিদারের বিনা দলিলে দান হিসেবে স্কুলে সংরক্ষিত রেকর্ড সূত্রে প্রমাণিত।
(সূত্রঃZ. Ahmed Chowdhury, District Manager, Govt. Aquired States, Sylhet, Memo No- 1463/SA/XXVII-3(a), Dated: 11.09.1956 এর পত্র)। উল্লেখ্য যে, খাইয়ারা এ ভিটা ও পুকুরে ভোগাধীকার ত্যাগ করে গিয়েছিল বলে এখনও অনেক মুরব্বিয়ানদের কাছে এটি “খাইয়ার বাড়ী” এবং “খাইয়ার পুকুর” হিসেবে পরিচিত।

১০/০২/১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব সৈয়দ মর্তুজা আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার ১৮(এ)/১৮(ধ) নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যান, ডিরেক্টরস বোর্ড, আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট লিঃ ছাতক-কে অত্র স্কুলে একটি বিল্ডিং নির্মাণের লক্ষ্যে ২,০০০ রূপি অনুদান প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। সিমেন্ট কোং কর্তৃপক্ষ অনুদান প্রদানে সম্মত হওয়ায় ১২/১১/১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সভায় সিমেন্ট কোম্পানীর চিপ ইঞ্জিনিয়ার মি. এ.কে বিশ্বাস কে কমিটির অন্যতম সদস্য মনোনিত করা হয়। অতঃপর ০৩/০৭/১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ঈধষপঁঃঃধ টহরাবৎংরঃু স্কুলের ১ম স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কোং লিঃ, স্কুলের ১ম টিনশেড বিল্ডিংটি নির্মাণ করে দেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি আসাম বেঙ্গল সিমেন্ট কোং লিঃ এর পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে আজীবন দাতা হিসেবে স্বীকৃতি দান করেন।

চৎড়পববফরহম ইড়ড়শ পর্যালোচনাক্রমে আরও দেখা যায় যে, গৌরীপুর ষ্টেটের জমিদার বাবু বীরেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ছাতকে ভিজিটে আসলে তাঁর কাচারীতে ছাতকের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ সাক্ষাৎ করেন এবং স্কুলের সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধে জমিদার মহাশয় স্কুলে মাসিক ২৫ রূপি সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। তাছাড়া ছাতকের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য তাঁর ছাতক কাচারীতে একটি “স্কুল বৃত্তি” ফান্ড গঠন করা হয়েছিল। এ ফান্ডের অর্থও ছাতক হাই ইংলিশ স্কুলের কল্যাণার্থে খরচ করার জন্য তাঁর কাচারীর নায়েবকে নির্দেশ দিয়ে যান। এ সময় সুনামগঞ্জের ঝউঙ জনাব সৈয়দ মর্তুজা আলী মহোদয় এলাকার বিত্তশালী ব্যক্তি গণকে স্কুলে আর্থিক সাহায্য দানের জন্য উৎসাহিত করতেন, ক্ষেত্র বিশেষে পরোক্ষ ভাবে বাধ্য করতেন। (সূত্রঃ ১০/০২/১৯৪৪ খ্রিঃ ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত সমূহ)।

এক সময় ছাতকের স্থানীয় জনগণ এবং দেশি বিদেশি কমলালেবুর ডিলার গণ ছাতকের কধষধ-ধুধৎ উরংঢ়বহংধৎু পরিচালনার জন্য একটি তহবিল গঠন করেছিলেন। স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের অনেক পূর্বে এ প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তহবিলটি তখনও ছিল এবং কমলালেবুর ডিলারদের অনুদান অব্যাহত ছিল। ১০/০২/১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি ও ঝউঙ মহোদয় এ তহবিলের অর্থ স্কুলের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট জনগণ ও কমলালেবুর ডিলার গণকে নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন থেকে এ তহবিলের নাম করণ করা হয় “সাহায্য ফান্ড”। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে জনাব সৈয়দ মর্তুজা আলী অউগ হিসেবে সিলেট বদলি হওয়ার পরও বিভিন্নভাবে ছাতক হাই ইংলিশ স্কুলের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।

খেলাধুলা লেখা-পড়ারই একটি অংশ। স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্কুলের নিজস্ব কোন খেলার মাঠ ছিল না। সুনামগঞ্জ মহকুমার আরও একজন ঝউঙ জনাব ‘বি.আর. নিজাম মহোদয়ের অনুপ্রেরণায় মরহুম হাজী আবুল মহসীন এবং মরহুম হাজী আব্দুল কবির স্কুলের খেলার মাঠ তৈরীর জন্য মাঠের নাম ‘মহসিন ফিল্ড’ রাখার শর্তে বর্তমান মাঠের বাহিরে কয়েকটি প্লটে সাড়ে সাত কেদার জমি দান করেন। দানটি ০৭/০১/১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। স্কুলের খেলার মাঠে তৎকালীন সময়ে যারা জোতদার ছিলেন তাদের জমি গুলো মরহুম হাজী আবুল মহসীন ও মরহুম হাজী আব্দুর কবির সাহেবের দানকৃত জমির সাথে বিনিময় করে এই মাঠে সাড়ে সাত কেদার জমি একত্রিত করা হয়। এ সময় জনাব সুজন মিয়া চৌধুরী (আছাব মিয়া) এবং তার ছোট ভাই মরহুম হাজী আরজ মিয়া চৌধুরী নিঃশর্ত ভাবে মাঠের অভ্যন্তরে এক কেদার জমি দান করেন। স্বর্গীয় বাবু মোহন্ত দাস ও মরহুম মোঃ মদরিছ চৌধুরীও স্কুলে জমি দান করেন। তাঁদের জমিও বর্তমানে খেলার মাঠের অভ্যন্তরে আছে। তাছাড়া জনাব আশকর আলী, জনাব মমশ্বির আলী, জনাব শামীম আহমদ, জনাব তানজিদ আহমদ ও জনাব ইশতিয়াক আহমদ হিমেল ০.১০ (দশ শতাংশ) ভূমি দান করেন। জনাব সুজন মিয়া চৌধুরী সহ সকল জীবিত ভূমি দাতা গণের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি এবং যারা পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

স্কুলটি অত্র এলাকার একমাত্র হাইস্কুল হওয়ায় প্রথম থেকেই স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষার্থী ছিল। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায়কৃত অর্থ, সরকারী-বেসরকারী অনুদান বাবদ প্রাপ্ত অর্থে স্কুলটি চলতে থাকে। স্কুলের পুরাতন রেকর্ড পত্র পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে এ স্কুল থেকে সর্ব প্রথম ২৪ জন শিক্ষার্থী মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন উত্তীর্ণ হন। এ সময় স্কুলে শুধুমাত্র মানবিক বিভাগ চালু ছিল। ০১/০১/১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়। এরপর কৃষি বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়। স্কুলে দুই এর অধিক বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলটি ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ০১/০১/১৯৯৯ খ্রিঃ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু হয়। ০৫/০৭/২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ‘৩০৬ উপজেলা সদরে নির্বাচিত বেসরকারী বিদ্যালয় সমূহকে মডেল স্কুলে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক মহোদয়ের সাথে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের পর স্কুলটি ‘ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল’ এ রূপান্তরিত হয়। (পরবর্তীতে প্রকল্পটি “৩১০ উপজেলা সদরে নির্বাচিত বেসরকারী বিদ্যালয়কে মডেল স্কুলে রূপান্তর” শীর্ষক প্রকল্প হিসেবে পরিচিত হয়েছে)। উল্লেখ্য যে, চন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ছাত্রীরা এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমতি পাওয়ার পূর্বে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ স্কুলে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল এবং ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও এ স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন/এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বীর মুক্তিযুদ্ধা রমা রাণী দাস এই স্কুল থেকেই ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। স্কুলটি মডেল স্কুলে রূপান্তরের পর চুক্তি পত্রের ১ম শর্ত অনুযায়ী ২০১২খ্রিঃ থেকে পুণরায় সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।

Map of Chhatak Bohumukhi Model High School, Chhatak, Sunamganj