কল্পনা করুন একটি দৃশ্য। আপনার চারিদিকে শুধু বই আর বই। আপনি ইচ্ছামত একের পর এক বই পড়ছেন, পছন্দ হলেই বই কিনে ফেলছেন। এ যেন বইয়ের রাজ্য। একইস্থানে বাচ্চাদের আনন্দ এবং বই পড়ার জন্যও রয়েছে একটা আলাদা পরিসর। আবার আয়েশ করে ভোজনের জন্য পাশেই রয়েছে Café. দীপনপুর এই ইট পাথরের শহরে বইপ্রেমী মানুষদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা। রাজধানীর New Elephant Road এ অবস্থিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রায় ২,৮০০ বর্গফুটের এই বুক ক্যাফের নাম দীপনপুর।
দীপনপুরে একটি কর্ণারজুড়ে আছে শিশুতোষ বই। সবুজ ঘাসে ছাওয়া এই কর্ণারে শিশুরা বসে বই পড়বে, ইচ্ছে হলে লাফালাফি করবে। হৈ হুল্লোড় করে বই পড়ার আনন্দ নেবে প্রাণভরে। দীপনপুরের এ কর্ণারের নাম ‘দীপান্তর’। অন্তরে দীপনপুরের সুখস্মৃতি নিয়ে শিশুরা বড় হবে, আলোকিত মানুষ হবে- এ ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
সপ্তাহে শুক্র, শনি দুই দিন এখানে বসবে শিশুদের জন্য ছবি আঁকার স্কুল। শিশুদের মতো সুন্দর আর কিছু কি আছে এই পৃথিবীতে?
দীপনপুরে ছোট একটি মঞ্চ আছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দীপনতলা’। ছোট পরিসরে জনা তিরিশেক মানুষের উপস্থিতি নিয়ে এখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যে কেউ চাইলে ভাড়া নিতে পারে দীপনতলা। সাহিত্য আড্ডা, প্রকাশনা উৎসব, আলোচনা সভা, কবিতা পাঠের আসরের জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বই পড়ার আনন্দের সাথে রসনাবিলাসজুড়ে দিতে দীপনপুরের অন্যতম অংশ ক্যাফে দীপাঞ্জলি। দীপাঞ্জলিতে বই পড়া, গল্প-আড্ডা সাথে আছে চা-কফি, জুসসহ দারুণ সব মুখরোচক খাবার। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পুরো জায়গাটিতে বয়স্ক ব্যক্তিরা একটু নিরিবিলি পড়তে চাইলে তাদের জন্য আছে সিনিয়র সিটিজেন কর্ণার। সাথে রয়েছে দুটি প্রার্থনা কক্ষ। যে বই পড়ে সে নাকি নানান অন্যায় থেকে দূরে থাকে। যে জ্ঞানের রাজ্যে পদার্পণ করে, তার মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ থাকে সদা জাগ্রত।
জ্ঞানের আলোয় আলকিত হতে, স্বস্তির সুবাতাস পেতে, অন্য এক আনন্দে হারিয়ে যেতে আজই চলে আসুন দীপনপুরে। সবাইকে দীপনপুরে সাদর আমন্ত্রণ।