বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম নতুন প্রজন্মকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দরকার উপযুক্ত পরিবেশ, সুনিবিড় তত্ত্বাবধান, যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম এবং সুপরিকল্পিত শিক্ষা পদ্ধতি। খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় বিশ্ববিখ্যাত সুন্দরবনের অববাহিকায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার উপকণ্ঠে মোরশেদ সড়ক এলাকায় ১৯৯২ সালে ইসলামী আদর্শ একাডেমী প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সে কাজটির আঞ্জাম দেয়া হচ্ছে। স্কুলটি প্রথমে প্রাথমিক শাখা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতির মাধ্যমে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে ২০০৫ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। নিজস্ব তহবিল ও দাতা সংস্থার দারা অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যহত আছে। বিদ্যালয় থেকে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখা হতে ২০০৫ সাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের পাসের হার খুবই সন্তোষজনক। শেষের ৩ বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে ৭৮.০৫%, ২০১৫ সালে ৮৩.৩৩% এবং ২০১৬ সালে ৯০.৭০%। জিপিএ ৫ পাচ্ছে প্রায় প্রতি বছর। তা ছাড়া প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পাওয়ার সাফল্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। প্রতিটি জাতীয় দিবস এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অংশগ্রহন ও পালন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাগেরহাট জেলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ান হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খেলোয়াড়েরা। যে সাফল্য এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র এ প্রতিষ্ঠানটিরই আছে। অপরদিকে মোংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ২০১০ সালে “বিজ্ঞান যন্ত্র আবিস্কার”এ জাতীয় পুরস্কার স্বর্নপদক অর্জনও এই বিদ্যালয়ের। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্য প্রযুক্তির সাথে সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের অর্থে ক্রয় করা হয়েছে ৩টি কম্পিউটার, স্ক্যানার, লেজার প্রিন্টার, ক্যামেরা, মডেম ইত্যাদি সরঞ্জামাদি। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় সার্বক্ষনিক ইন্টারনেট সুবিধা। ইসলামী আদর্শ একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিশিলিত ও পরিমার্জিত জীবনবোধ ও জীবনায়নের বিশিষ্ট দিক নির্দেশনায় পথ নির্দেশক হিসেবে ভুমিকা পালন করবে এটিই প্রত্যাসা।