Manikganj City

Manikganj, 1800 ,Bangladesh
Manikganj City Manikganj City is one of the popular City located in ,Manikganj listed under City in Manikganj , Community & Government in Manikganj , Community & government in Manikganj ,

Contact Details & Working Hours

More about Manikganj City

মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণ এর
সাথে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মতবাদ ।
এক তথ্যানুসারে জানা যায় , মানিক
শাহ্ নামের এক সূফী সাধকের
নামানুসারে এই জেলার নামকরণ
করা হয় মানিকগঞ্জ ।
আবার অনেকের মতে , দুর্ধর্ষ পাঠান
সর্দার মানিক ঢালীর
নামানুসারে এ জেলার নামকরণ
করা হয় মানিকগঞ্জ ।
ইংরেজ শাসকরা এই এলাকার নাম
দিয়েছিল ‘মানিকগঞ্জ’
এবং তারা নামটি দিয়েছিল
মানিক চাঁদের নামানুসারে। এই
মানিক চাঁদ ইংরেজদের প্রিয়
ছিলেন। তার এই
ইংরেজপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ
হচ্ছে, মানিক চাঁদ ছিলেন বাংলার
শেষ স্বাধীন নবাব
সিরাজদ্দৌলার
সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে নবাব
দরবারের বিভিন্ন গোপন তথ্য
ইংরেজদেরকে পৌছে দিতেন।
পরে ১৮৪৫ সালে যখন এই
এলাকাকে মহকুমা করা হয়, তখন ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানির নথিপত্র
ঘেঁটে ইংরেজদের পক্ষ
থেকে মানিক চাঁদের
বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কারস্বরূপ তার
নামে মহকুমার নাম দেয়া হয়
মানিকগঞ্জ। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের
পহেলা মার্চ মানিকগঞ্জ
মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয়।
জেলায় রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বে ১৮৫৬
থেকে ১৯৮৪ সালের
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মানিকগঞ্জ
ঢাকা জেলার একটি মহকুমা ছিল।
পর্ব-৪, মানিকগঞ্জ জেলার ইতিহাস
মানিকগঞ্জ জেলার দর্শনীয়
স্থানগুলো হচ্ছে, শাহ রুস্তমের
মাজার, ফরদনগর কেল্লা,
ঈমামপাড়া জামে মসজিদ,
টেওটা রাজবাড়ি, নবরত্ন মন্দির,
বলিয়াতি জমিদারবাড়ি,
এখদালা কেল্লা, ধানকরা জমিদার
বাড়ি, কাটাসঘর কেল্লা, ইব্রাহিম
শাহের মাজার ইত্যাদি।
পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, কালিগঙ্গা ও
ইছামতি বিধৌত মানিকগঞ্জ
নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ
একটি জেলা। ফরিদপুর জেলার
অধীনে ১৮৪৫ সালে সৃষ্ট মানিকগঞ্জ
মহকুমা ১৯৮৪ সালে জেলায়
রূপান্তরিত হয়। এ জেলার
উত্তরে টাঙ্গাইল জেলা,
দক্ষিণে ফরিদপুর এবং ঢাকা জেলা।
রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার
দূরত্ব প্রায় ৬৩ কিমি.।
৭টি উপজেলা এবং দুটি পৌরসভা বিশিষ্ট
এ জেলায় ১৫ লক্ষাধিক লোকের
বসবাস। এ জেলার বিস্তৃত জনপদ
বিশেষ করে হরিরামপুর, শিবালয় ও
দৌলতপুর উপজেলার
নদী তীরবর্তী এলাকা প্রতি বছর
নদী ভাঙনের শিকার হয়।
শিক্ষা, সাহিত্য ও
সংস্কৃতি জগতে যারা মানিকগঞ্জকে দেশে-
বিদেশে সুপরিচিত করেছেন তাদের
মধ্যে অন্যতম হলেন নোবেল বিজয়ী ড.
অমর্ত্য সেন, চলচ্চিত্রের জনক
হীরা লাল সেন, বিখ্যাত
চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান,
পল্লীগীতির বিখ্যাত
শিল্পী নীনা হামিদ, দেশবরেণ্য
লোকসংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম,
বালিয়াটির জমিদার
কিশোরী লাল রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এ জনপদের শান্ত মানুষরা ব্রিটিশ
বেনিয়াদের বর্বর নীলচাষের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। নীলকর
সাহেবরা পালিয়েছিলেন
কুঠি ফেলে। স্বদেশি আন্দোলনের
সময় সরকারি ডাক লুটের
মতো দুঃসাহসের ঘটনা ঘটেছিল
মানিকগঞ্জ শহরেই।
ওহাবী এবং ফরায়েজী আন্দোলনেও
উত্তাল ছিল এ জনপদ। ঊনসত্তরের
গণঅভ্যুত্থানে বুকে বুলেট ধারণ
করতে দ্বিধা করেননি শহীদ এসহাক।
‘৫২-র মহান ভাষা আন্দোলনের প্রথম
শহীদের
মর্যাদা ছিনিয়ে এনেছিলেন
ভাষা শহীদ রফিক। ১৯৭১-এর মহান
মুক্তিযুদ্ধে সৃষ্টি করেছেন বীরত্ব আর
আত্মত্যাগের অসামান্য নজির।
জেলার নামকরণ প্রসঙ্গ আসলেই
সবচেয়ে বড় হয়ে আসে আধ্যাত্ম
সাধনায় সিদ্ধ পুরুষ মানিক সাধুর নাম।
মুসলিম বিজয়ের আগে মানিকগঞ্জ
জেলা পর্যায়ক্রমে ইতিহাস বিখ্যাত
পাল, চন্দ্র, বর্মন এবং সেন বংশীয়
রাজাদের
শাসনাধীনে কাটিয়েছে। সমাজ
ব্যবস্থায় ছিল তাদের সংস্কৃতি ও
ধর্মের প্রভাব। ইখতিয়ার উদ্দিন
মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ
বিজয়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলে মুসলিম
রাজনৈতিক শক্তি ও শাসন স্থায়ী হয়।
এরপরই মানিকগঞ্জ অঞ্চলে ইসলাম
প্রচারে আসেন সুফী সাধক, দরবেশ,
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা। বিলু কবীরের
লেখা ‘বাংলদেশের জেলা :
নামকরণের ইতিহাস’ বই
থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জ
জেলা নামকরণের ইতিহাস
সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য
পাওয়া যায়নি। জানা যায় যে,
মানিকগঞ্জ জেলার মধ্য
দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদীর
তীরে জনৈক সুফি দরবেশ
খানকা বা আস্তানা স্থাপন
করেছিলেন। এই সুফি দরবেশের নাম
ছিল মানিক শাহ। আলোচ্য মানিক
শাহ ধামরাই থেকে এ
অঞ্চলে এসেছিলেন
বলে জনশ্রুতি আছে। তারই নামে তার
আস্তানা এবং আস্তানা সনি্নহিত
চৌহদ্দির নাম হয় মানিকগঞ্জ।
পরবর্তীতে তিনি অন্যত্র
চলে গেলেও এ এলাকার নাম তার
নামে থেকে যায়। ১৮ শতকের
মাঝামাঝি সময়ে এই দরবেশ
সিঙ্গাইর এলাকায়
এসে আস্তানা তৈরি করেন
এবং ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।
আরেকটি লোকশ্রুতি রয়েছে, জনৈক
মানিক ঢালী নামক দুর্ধর্ষ পাঠান
সরদারের নামে মানিকগঞ্জ মহকুমার
নামকরণ করা হয়। এই পাঠান সরদার
নাকি তার লোক-লস্কর-অনুচর
শক্তি নিয়ে এই অঞ্চলে দৃঢ় প্রভাব
বিস্তার করেছিলেন।

সংক্ষিপ্ত পরিসরে মানিকগঞ্জঃ
মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৪৫
সালের মে মাসে। মানিকগঞ্জ
মহকুমা প্রথমে ফরিদপুর জেলার (১৮১১
সালে সৃষ্ট) অধীন ছিল। প্রশাসনিক
জটিলতা নিরসন কল্পে ১৮৫৬
সালে মানিকগঞ্জ
মহকুমাকে ফরিদপুর
জেলা থেকে ঢাকা জেলায়
অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ০১ মার্চ ১৯৮৪
সালে মানিকগঞ্জ কে জেলায়
উন্নীত করা হয়।
বিস্তারিত বিবরণ
আয়তনঃ ১৩৭৮.৯৯ বর্গ কিঃমিঃ
নির্বাচনী এলাকাঃ
আসন এলাকা
মানিকগঞ্জ-১ দৌলতপুর, ঘিওর ও
শিবালয়
মানিকগঞ্জ-২ সিংগাইর, হরিরামপুর

মানিকগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিয়ন
মানিকগঞ্জ-৩ সাটুরিয়া ও
মানিকগঞ্জ সদরের সাতটি ইউনিয়ন
মোট ভোটার সংখ্যা পুরুষঃ ৪,১৮,১৬৮
জন, মহিলাঃ ৪,৫১,১৩৫ জন
উপজেলাঃ ০৭টি
থানাঃ ০৭টি
পৌরসভাঃ ০২টি
ইউনিয়নঃ ৬৫টি
গ্রামঃ ১৬৬৮ টি
সিটি কর্পোরেশনঃ নেই
স্কুলঃ ৭১৮ টি
কলেজঃ ১৯ টি।
মৌজাঃ ১৩৫৭ টি।
নদীঃ প্রধান ০৫টি নদীঃ
১) পদ্মা
২) যমুনা
৩) ধলেশ্বরী
৪) ইছামতি
৫) কালিগঙ্গা
বদ্ধ জলমহাল ২০ একরের উর্ধ্বে ও অনুর্ধ্ব
২০ একরঃ ২০ একরের
উধের্ব ১৬ টি, ২০ একরের নীচে ৬৫
টি।
উন্মুক্ত জলমহালঃ ২২টি।
হাট-বাজরঃ ১২১ টি।
মোট জমিঃ ১২০৭৯৭.৩২ হেক্টর।
মোট আবাদী জমিঃ ১০৭৮১৭ হেক্টর।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসঃ ৬৬ টি।
পাকা রাস্তাঃ ২৬৪ কিঃমিঃ
কাঁচা রাস্তাঃ ২২৬১ কিঃমিঃ
আবাসনঃ প্রস্তাবিত ১৭টি,
বাস্তবায়নকৃত ১৩টি।
আশ্রায়ন প্রকল্পঃ ১৩টি।
আদর্শ গ্রামঃ ২২টি।
খেয়াঘাট/ নৌকাঘাটঃ ৪৯ টি।
দর্শনীয়
স্থানঃ সাটুরিয়া উপজেলার
বালিয়াটি প্রাসাদ ও
বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,
শিবালয়ে তেওতা জমিদার
বাড়ী ও
নবরত্ন মঠ, সদর উপজেলায় কবিরাজ
বাড়ী, সিংগাইর রফিক নগরে শহীদ
রফিক জাদুঘর, হরিরামপুর ঝিটকায়
পোদ্দার বাড়ী ও
যাত্রাপুরে স্বপ্নপুরী।
আদিবাসী জনগোষ্ঠীঃ
জনসংখ্যার ঘনত্বঃ
সংসদীয় আসনঃ ০৩ টি
ভৌগলিক অবস্থান ও
আয়তনঃ উত্তরে সিরাজগঞ্জ,
টাঙ্গাইল জেলা।
দক্ষিণে ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও
ঢাকা জেলা। পূর্বে ঢাকা জেলা।
পশ্চিমে পাবনা ও
রাজবাড়ী জেলা।
আয়তনঃ ১৩৭৮.৯৯ বর্গ কি:মি:।
শিক্ষাঃ ৫৬% ( শিক্ষার হার )
স্বাস্থ্যঃ সদর হাসপাতাল ০১ টি,
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র- ০৬ টি,
ডায়বেটিক হাসপাতাল-০১টি, মাতৃ

শিশু কল্যাণ কেন্দ্র-০২ টি,
কমিউনিটি ক্লিনিক-১১৬টি।
কৃষিঃ আবাদযোগ্য
কৃষি জমি-১০৭৮৯৭
হেক্টর।

Map of Manikganj City