NEO MEDIA হলো একটি ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি। অল্প খরচে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলে আমরা আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকি।
ট্রাডিশনাল মিডিয়া (রেডিও-টিভি-সংবাদপত্র) ও অনলাইন মিডিয়ায় (ফেসবুক-ইউটিউব-গুগল) বিজ্ঞাপনের তুলনা:
টার্গেট কাস্টমার:
রেডিও-টিভি-সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন তেমন টার্গেট-ওরিয়েন্টেড হয় না। একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে সেটি সবাই দেখে। পণ্য বা সেবাটি যার লাগবে সেও দেখে যার লাগবে না সেও দেখে। যেমন গাড়ির বিজ্ঞাপন। গাড়ি সবাই কিনতে পারে না। কিন্তু রেডিও-টিভি-সংবাদপত্রে গাড়ির বিজ্ঞাপন দিলে সব শ্রেণীর দর্শক-শ্রোতা-পাঠকই দেখে। যার গাড়ি কেনার সামর্থ নেই সেও দেখে। যা আছে সেও দেখে।
কিন্তু অনলাইন বিজ্ঞাপন (ফেসবুক-গুগল-ইউটিউব) অধিকমাত্রায় টার্গেট-ওরিয়েন্টেড হয়। এসব প্লাটফরমে বিজ্ঞাপন দিলে গাড়ি যাদের দরকার বা গাড়ি যারা কিনতে পারেন শুধু তাদের কাছেই বিজ্ঞাপনটি প্রদর্শিত হয়। অন্যদের কাছে হবে না। সব পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
খরচ:
ট্রাডিশনাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিতে লাখ লাখ টাকা লাগে। একটি এক লাখ প্রচার সংখ্যার দৈনিকেও বিজ্ঞাপন দিতে লাখ টাকা লাগে। টিভি বিজ্ঞাপনের খরচও এমন বিশাল।
কিন্তু ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিতে লাখ লাখ টাকা লাগে না। উদাহরণ স্বরূপ ফেসবুক ও দেনিক পত্রিকা/টিভির তুলনা দেখা যেতে পারে। এক লাখ সার্কুলেশনের দৈনিক পত্রিকায় যেখানে লাখ টাকা লাগে বিজ্ঞাপন দিতে সেখানে ফেসবুকে এক লাখ লোকের কাছে পৌঁছানো যায় মাত্র ৭ হাজার টাকায়!!! অন্যান্যা প্লাটফরমেও (গুগল-ইউটিউব) ট্রাডিশনাল মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে অধিক সংখ্যক টার্গেট কাস্টমারের কাছে পৌছানো যায়।
আপনার পণ্য/সেবার প্রচারে অনলাইন বিজ্ঞাপন কতটুকু কার্যকর:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হিসেবে, বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৫ কোটি গ্রাহক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। এই সাড়ে ৫ কোটি মানুষই কোনো-না-কোনোভাবে ফেসবুক-গুগল-ইউটিউব ব্যবহার করেই। কাজেই এক সঙ্গে এত কোটি কোটি মানুষ বাংলাদেশের আর কোন প্লাটফরমে নেই। (প্রথম আলো বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচারবহুল পত্রিকা। সেই প্রথম আলো নিজেই দাবি করে তার পাঠক সংখ্যা প্রিন্ট-অনলাইন মিলিয়ে সাকুল্যে ৫৫ লাখ!)। সেখানে ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবে সাড়ে ৫ কোটি বাংলাদেশির আনাগোনা। তাই আপনার পণ্য/সেবার বিজ্ঞাপন প্রচারে অনলাইন মিডিয়ার (ফেসবুক-গুগল-ইউটিউব) জুড়ি নাই।
ফিল্টারিং কাস্টমার: আগেই বলেছি ট্রাডিশনাল মিডিয়ায় (রেডিও-টিভি-সংবাদপত্র) কাস্টমার ফিল্টার করার কোন সুযোগ নেই। গাড়ির বিজ্ঞাপন যারা দেখছে তারাই আবার বাইকের বিজ্ঞাপনও দেখছে। আবার ফ্ল্যাট যারা কিনতে পারবেন তাদের কাছেও বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। যারা পারবেন না তাদের কাছেও প্রদর্শিত হচ্ছে। ট্রাডিশনাল মিডিয়ায় কাস্টমার ফিল্টারিংয়ের কোন সুযোগ নেই।
কিন্তু ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবে এই সুযোগ অবারিত। সাড়ে ৫ কোটি ইন্টারনেট ইউজারের সবাই কিন্তু গাড়ি কেনার সামর্থ রাখে না। কাজেই যারা গাড়ি কেনার সামর্থ রাখে তাদের সামনেই গাড়ির বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। আবার লিঙ্গগত ফিল্টারিংও করা যায়। উদাহরণ স্বরূপ কোন কোম্পানি লেডিস ব্যাগ বাজারজাত করবে। এখন টিভিতে বিজ্ঞাপন দিলে নারী-পুরুষ-শিশু-তরুণ-তরুণী-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-ধনী-গরিব-চাকর-মনিব সবাই দেখবে। কিন্তু ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিলে শুধুমাত্র টার্গেট কাস্টমার নারীই পণ্যটি বিজ্ঞাপন দেখবে। এ যেন পণ্য/সেবার প্রচারে এক জাদু!!!