আমাদের জীবনটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার সময় হল ছাত্রজীবন। যখন উপলব্ধি করলাম বর্তমান সময়ে ছাত্রজীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ছি, আমাদের লক্ষ্যবস্তুকে ভুলে গিয়ে বিভিন্নরকম আশক্তিতে জড়িয়ে পড়ছি আমরা। ভাবলাম কিছু একটা করা দরকার। তখন আমাদের গ্রামের ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের নিয়ে "জাকরারট্যাক স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন" নামে একটা সংগঠন গড়ে তুলি। ২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা সবাই ফর্ম পূরণ করে সংগঠনের সদস্য হই। এরপর থেকে গ্রামে আমরা বিভিন্ন ধরনের সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকি, সবাই সবার পাশে থাকার চেষ্টা করি, খেয়াল রাখি কেউ যেন ভুল পথে না যায়। একটা সময় উপলব্ধি করি এতে তো শুধু আমাদের গ্রামের ভিতর মাত্র কয়েকজনকে নিয়ে সীমাবদ্ধ আছি আমরা, কিন্তু চেয়েছিলাম তো স¤পূর্ণ ছাত্রসমাজকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম শুধুু আমাদের গ্রাম নয়, স¤পূর্ণ এলাকার ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু সংগঠনের নামটা ছিল আমাদের গ্রামের নামে, সেক্ষেত্রে অন্য গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা সংগঠনের সদস্য হতে আপত্তি করবে ভেবে নাম পরিবর্তন করে "প্রগ্রেসিভ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন" করা হয়। তারপর আশেপাশের গ্রামের ছাত্রছাত্রীদেরকেও পড়াশোনা বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করি আমরা। আশেপাশের স্কুলগুলতে ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস করাই, ছাত্রছাত্রীদেরকে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে বিভিন্ন রকম সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দেই নিয়মিত। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি আমার ছোট ভাইবোনদের পাশে থাকতে, তাদেরকে সঠিক পথ দেখাতে খুবই আনন্দ অনুভব করি। সকলের হিতে কাজ করতে আমাকে সদা সর্বদা অনুপ্রেরণা দেয় আমার প্রভু "স্বামী বিবেকানন্দ", যার একটি বই(এসো মানুষ হও) পড়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিছু একটা করতেই হবে, শুধু নিজের চিন্তা করাই নয়, সকলের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করাই জীবনের প্রকৃত স্বার্র্থকতা। আর তাই সংগঠনটির নামকরণ করি আমার প্রভুর নামে - "বিবেকানন্দ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন"। বিবেকানন্দ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন সর্বদা ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকবে এবং তাদেরকে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
-সুমন বিশ্বাস
প্রতিষ্ঠাতা, বিবেকানন্দ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন