____ শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি এন্ড ইকোপার্ক।____
বাংলাদেশের একমাত্র পাখিশালা।যেটিতে রয়েছে দেশের প্রথম ও দীর্ঘতম ক্যাবল কার। যাতে রয়েছে বিশ্বমানের ১২টি ক্যাবলকার।
____অবস্হান_____
এটি চট্টগ্রামের নিশ্চিন্তা পুর,হোসনাবান, রাঙ্গুনিয়ার আড়াই কিলোমিটার সবুজ পাহাড়ের ওপর অবস্হিত।
_____উদ্বোধন____
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বনবিট এলাকার পার্কটি ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর পরই বিনোদন পিয়াসীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
__শেখ রাসেল এ্যাভিয়ারি পার্কে যা রয়েছে_
বাংলাদেশের একমাত্র পাখিশালা। এই পক্ষিশালায় যোগ হয়েছে দেশী প্রজাতির পাখির পাশাপাশি আফ্রিকার পলিক্যান, ইলেকট্রাস প্যারট, সোয়ান, রিং ন্যাক, মেকাউ, টার্কি ।পার্কের অভ্যন্তরে সড়ক, লেক, রিটার্নিং ওয়াল, গেস্ট হাউজ, ফুট ব্রীজ, গুহা, পাখি, ময়ূর ও হরিণসহ বিভিন্ন দেশি বিদেশী পক্ষিকুল বিচরণের খাঁচা, এ্যামিউজমেন্ট, গোলঘর, দোলনা, স্লিপিং রয়েছে। আম, জাম, বহেরা, ডুমুর, জামরুল, আমলকি, হরিতকি, চাপালিশ, সোনালু ডাকিজাম তেতুলসহ প্রায় অর্ধশত প্রজাতির দেশীয় ও বনজ জাতের ফলের চারা রোপনের মাধ্যমে পাখীখাদ্য উৎপাদনে সমৃদ্ধ করা হয়েছে পক্ষীশালাকে।
পার্কে এক ধরনের বিশেষ নেট দিয়ে পুরো ৫’শ ২০ একর পাহাড়ি ভূমির অনেক উঁচুতে উপরিভাগ ঘিরে দেয়া হয়। ভেতরে গড়ে তোলা হয় শত শত প্রজাতির পাখিদের অভয়ারণ্য। আর এতেই পক্ষীকুল ফিরে পায় নিরাপদ আবাসস্থল। পাশাপাশি ক্যাবল কার তো আছেই!!!!!!!
বিনোদন প্রেমীদের জন্য নব সাজে সেজেছে নিশ্চিন্তা পুরের রাঙ্গুনিয়ার নতুন এই পর্যটন স্পটটি। বৃক্ষাচ্ছাদিত সবুজ এই পাহাড়ি বন-বাদারে শত শত পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। পাখিদের কলতানে মুখরিত হয় সবুজ বন। আর মাথার সিঁথির মতো এ বনের ফাঁক দিয়ে বয়ে চলা পথে ঘুরে বেড়াতে কতো যে আনন্দ তার কোনো সীমা নেই। পাখিদের অভয়ারণ্যের পাশাপাশি ভ্রমণ বিলাসিদের বিনোদনের জন্যে উন্মুক্ত এই পার্ক। বনে জঙ্গলে এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে বেড়াতে দেখা যায় শতশত বানর। সবুজ পাহাড়ের বাঁেক দৃশ্য গুলো দেখে মনটা উৎফুল্ল হয় ভ্রমন পিয়াসুর। আড়াই কিলোমিটার ক্যাবল কারে কৃত্রিম লেকের উপর ঘুরে বেড়ানো যাবে। পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো যা বিনোদন প্রেমিদের বাড়তি আনন্দ দেবে। চারিদিকে সবুজ ঘন গাছপালা। স্ব পরিবার ও কাছের মানুষকে নিয়ে মনোরম পরিবেশে গেলে আনন্দটা জমে উঠবে।