নটর ডেম কলেজ, ঢাকা-Notre Dame College,Dhaka

Motijheel,Dhaka-1000, Dhaka, 1000 ,Bangladesh
নটর ডেম কলেজ, ঢাকা-Notre Dame College,Dhaka নটর ডেম কলেজ, ঢাকা-Notre Dame College,Dhaka is one of the popular College & University located in Motijheel,Dhaka-1000 ,Dhaka listed under University in Dhaka , College & University in Dhaka ,

Contact Details & Working Hours

More about নটর ডেম কলেজ, ঢাকা-Notre Dame College,Dhaka

ইতিহাস
১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে ঢাকা শহরের লক্ষ্মীবাজারে হলি ক্রসের সিদ্ধান্ত অনুসারে রোমান ক্যাথলিক পাদ্রী সম্প্রদায় কর্তৃক নটরডেম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমদিকে সেন্ট গ্রেগরি কলেজ নামে পরিচিত ছিল, যা ছিল সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের পরিবর্ধন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে এটি স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান স্থান আরামবাগে স্থানান্তর করা হয়। তখন এটির নামকরণ করা হয় নটরডেম কলেজ।

কলেজটি প্রথমে কলা ও বাণিজ্য বিষয়ে পড়ালেখা চালু করলেও পরবর্তিতে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে বিএ এবং ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে বিএসসি চালু করে। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে নটরডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করে এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সেরা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[২]

নামকরণ, মূলনীতি ও প্রতীক[সম্পাদনা]
নটরডেম কলেজের 'নটরডেম' শব্দ দুটো ফরাসি ভাষা থেকে নেয়া হয়েছে। ইংরেজিতে যার অনুবাদ হলো 'Our Lady'। রোমান ক্যাথলিকগণ 'আওয়ার ল্যাডি' বলতে যিশুখ্রিষ্টের মা মারিয়া বা ম্যারিকে বুঝিয়ে থাকেন। তাই ক্যাথলিকদের দ্বারা পরিচালিত এই কলেজটির নাম সেই মহিয়সী নারীকে উৎসর্গ করে রাখা হয়।

কলেজের মূলনীতি হলো: Diligite Lumen Sapientiae, যার ইংরেজি অনুবাদ Love the Light of Wisdom (জ্ঞানের আলোকে ভালোবাসো)। ক্যাথলিক ধর্মমতে, যিশুখ্রিষ্টের মা ম্যারি হলেন জ্ঞানের প্রতীক। "জ্ঞান" (Sapientiae) শব্দটি কলেজের মূখ্য উদ্দেশ্য একাধারে জ্ঞানার্জন ও জ্ঞানের উৎস স্রষ্টাকে লাভ করার প্রতি ইঙ্গিত করে। "আলো" (Lumen) শব্দটি দ্বারা অন্ধকারকে দূরিভূত করা ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করতে পারার প্রতি ইঙ্গিত করে। আর "ভালোবাসো" (Diligite) শব্দটি দ্বারা ভালোবাসার সাথে জ্ঞান আহরণের প্রতি ইঙ্গিত করে।[৪]

নটরডেম কলেজের প্রতীকের সবচেয়ে উপরে রয়েছে একটি খোলা বই, যার বাম পাতায় বড় ছাদের গ্রিক অক্ষর 'আলফা' (Α) এবং ডান পাতায় বড় ছাদের 'ওমেগা' (Ω) রয়েছে। আলফা-ওমেগা হলো গ্রিক বর্ণমালার, যথাক্রমে প্রথম ও শেষ অক্ষর। এর দ্বারা একই সাথে সমগ্র জ্ঞান[৪] এবং বাইবেলের রিভীলেশন অধ্যায়ের যিশুর একটি উক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে। এছাড়া বই হচ্ছে জ্ঞানের বাহন। সম্মিলিতভাবে এই প্রতীকগুলো প্রকাশ করছে: যুগ যুগ ধরে আহরিত যাবতীয় জ্ঞান বইয়ের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে আছে এবং তা অর্জন করতে পারলেই জীবন আলোকময় হয়ে উঠবে। এই প্রতীকটির নিচের অংশে তিনটি ক্ষেত্র রয়েছে। বাম দিকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৭টি ফ্লুর দে-লিস (Fleurs de-lis); "ফ্লুর দে-লিস" ফরাসি শব্দটির অর্থ হলো 'পদ্মফুল'। পদ্ম হলো বিশুদ্ধতার প্রতীক। যিশুর মা ম্যারি ছিলেন পদ্মের ন্যায় শুচি এবং পবিত্র। প্রতীকে, ৭টি পদ্ম দ্বারা ম্যারির জীবনের সাতটি শোককে প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর জীবনের সাতটি দুঃখময় ঘটনার স্মরণে তাঁকে "সপ্তশোকের জননী" বলা হয়ে থাকে। এই প্রতীকগুলো একত্রে কষ্টসাধ্য জ্ঞানার্জনকে ইঙ্গিত করে। ডানদিকের ক্ষেত্রটির জলময় নদী, চলমান নৌকা, সোনালি ধানক্ষেত আর সীমাহীন নীলাকাশশোভিত দৃশ্যটি সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের বুকে কলেজটির অবস্থান প্রতীকায়িত করে। নিচের ক্ষেত্রটিতে আড়াআড়িভাবে স্থাপিত দুটি নোঙরের বুকে স্থাপিত ক্রুশ হলিক্রস সন্যাস-সংঘের প্রতীক। এই প্রতীক দ্বারা প্রতীকায়িত করা হয়: ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে যিশুখ্রিষ্টের মৃত্যু যেমন মানব জাতিকে মুক্তি এনে দিয়েছিলো, তেমনি ক্রুশার্পিত সেই যিশুকে নোঙরের ন্যায় আঁকড়ে ধরে পরিত্রাণ লাভ সম্ভব। নোঙর আশার প্রতীক। ক্রুশ থেকে চারদিকে যে আলো ছড়িয়ে পড়েছে, তা যিশুখ্রিষ্টের আলো ও মহানুভবতার প্রতীক।

বিবরণ

গাঙ্গুলি ভবন

প্রশাসনিক ও একাডেমিক হেরিংটন ভবন, নটরডেম কলেজ
নটরডেম কলেজ, রোমান ক্যাথলিকদের দ্বারা পরিচালিত হলেও সকল ধর্মাবলম্বী ছাত্ররাই এখানে অধ্যয়নের সুযোগ পান। কলেজটিতে শুধুমাত্র ছাত্ররা পড়তে পারে, ছাত্রীদের জন্য এখানে কোনো স্থান রাখা হয়নি। কলেজটি পরিচালিত হয় পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস-সংঘের ফাদারদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এই সন্যাস-সংঘের ফাদারগণ উত্তর আমেরিকাতে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, পোর্টল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কিংস মহাবিদ্যালয়, স্টোনহিল মহাবিদ্যালয়, এবং দক্ষিণ আমেরিকার চিলির সান্তিয়াগোতে সেন্ট জর্জ মহাবিদ্যালয় পরিচালনা করেন। কলেজে সন্ন্যাসব্রতী ধর্মযাজক ছাড়াও অযাজকীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।

গ্রন্থাগার
কলেজের সূচনালগ্নেই ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে কলেজের অভ্যন্তরে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার প্রাক্তন নাম ছিলো, কলেজের প্রাক্তন নামেই, "সেন্ট গ্রেগরীজ কলেজ লাইব্রেরী"। পরবর্তিতে, ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে, কলেজের নাম পরিবর্তন করে নটরডেম কলেজ রাখা হলে গ্রন্থাগারের নামও পরিবর্তন করে রাখা হয় "নটরডেম কলেজ লাইব্রেরী"। কলেজের নতুন ভবনের (গাঙ্গুলী ভবন) নির্মাণ কাজ শুরু হলে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ আগস্ট গ্রন্থাগারটি, কলেজের যুক্তিবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক ফাদার রিচার্ড নোভাক, সিএসসি-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাঁকে উৎসর্গ করে রাখা হয় "ফাদার রিচার্ড নোভাক ম্যামোরিয়াল লাইব্রেরী"। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালে ফাদার নোভাক একটি দুর্দশাগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ নিতে সাইকেলযোগে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ফাদার রিচার্ড নোভাকের বড় ভাই মাইকেল নোভাক তাঁর সংগ্রহের অনেক বই এই গ্রন্থাগারে দান করেছেন এবং গ্রন্থাগারের জন্য নিয়মিত অর্থ অনুদান দিয়ে আসছেন। নতুন গ্রন্থাগারকক্ষ নির্মাণের জন্যও তিনি অনুদান দিয়েছেন। আর্চবিশপ গাঙ্গুলী ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত লাইব্রেরীটির মোট ১৩০ আসনবিশিষ্ট দুটি পাঠকক্ষ রয়েছে। কলেজে ভর্তির সাথে সাথে ছাত্ররা গ্রন্থাগারের সদস্য হয়ে যান এবং লাইব্রেরী কার্ড পেয়ে যান। গ্রন্থাগারে নিয়মিত ৬টি দৈনিক পত্রিকা, ৪টি সাপ্তাহিক ও ৪টি মাসিক ম্যাগাজিন রাখা হয়। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল ও ম্যাগাজিন অনিয়মিতভাবে রাখা হয়। বইসমূহ লাইব্রেরী কার্ডের প্রেক্ষিতে ধার নেয়া যায়, তবে অভিধান, এনসাইক্লোপিডিয়া, হ্যান্ডবুক ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য বইসমূহ কেবল গ্রন্থাগারেই ব্যবহার্য। গ্রন্থাগারে ফটোকপিরও ব্যবস্থা আছে।

খেলাধুলা

হেরিংটন ভবনের সামনে অবস্থিত বাস্কেটবল খেলার মাঠ, নটরডেম কলেজ
খেলাধুলায়, কলেজ পর্যায়ে নটরডেম কলেজ বিভিন্ন সময় প্রতীভার স্বাক্ষর রেখেছে। কলেজ প্রাঙ্গনে ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি আউটডোর খেলার সুবিধা দিতে বিশাল মাঠ রয়েছে। এছাড়া আছে বাস্কেটবল মাঠ। কলেজের ছাত্রদেরকে খেলাধুলার সুবিধা দিতে রয়েছে একটি খেলার-সরঞ্জাম-ধার-দেয়ার-অফিস। সেখানে ছাত্ররা নিজেদের কলেজ আইডি কার্ড প্রদর্শণপূর্বক বিভিন্ন প্রকার খেলার সামগ্রী বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন।

ধর্মচর্চা

নটরডেম কলেজের পাঞ্জেগানা মসজিদ
ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় কলেজের খ্রিষ্টান ছাত্রদেরকে প্রতি রবিবার বিশেষ প্রার্থণায় অংশগ্রহণ করতে হয়। তবে সকল ধর্মাবলম্বী ছাত্রদেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা কলেজে রয়েছে। কলেজ প্রাঙ্গনে বাস্কেটবল মাঠের পাশেই বাগানের মধ্যে একটি একতলা পাঞ্জেগানা মসজিদ এবং ওযুখানা রয়েছে। এছাড়া, কলেজের গাঙ্গুলি ভবন-এর নিচতলায় একটি ধর্মবিষয়ক পাঠাগার রয়েছে। সেখানে সকল ধর্মের পুস্তকাদি সংরক্ষিত রয়েছে।

প্রশাসন[সম্পাদনা]
ঢাকা হলি ক্রসের আদেশ অনুসারে ক্যাথলিক ফাদার কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়। স্থাপনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন পাদ্রী এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

জন হ্যারিংটন, ১৯৪৯-৫৪
জেমস মার্টিন, ১৯৫৪-৬০
থিওটিনিয়াস অমল গাঙ্গুলি, মার্চ, ১৯৬০ - অক্টোবর, ১৯৬০
উইলিয়াম গ্রাহাম, ১৯৬০-৬৭
জন ভ্যান্ডেন বোস, ১৯৬৭-৬৯
জোসেফ পিশোতো, ১৯৬৯-৭০
রিচার্ড উইলিয়াম টিম, ১৯৭০-৭১
অ্যামব্রোস হুইলার, ১৯৭১-৭৬
জোসেফ পিশোতো, ১৯৭৬-৯৮
বেঞ্জামিন কস্তা, ১৯৯৮-২০১২
হেমন্ত পিউস রোজারিও, ২০১২-বর্তমান
শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম[সম্পাদনা]
লেখাপড়ার পাশাপাশি নটরডেম কলেজে শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমকেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। এ কারণে প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় ভালো ফল অর্জনের পাশাপাশি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এ কলেজের ছাত্ররা বরাবরই ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে।

নটরডেম কলেজের ক্লাবসমূহ[সম্পাদনা]
নটরডেম কলেজে বর্তমানে (২০১২) ১৯টি ক্লাব রয়েছে।[৫] কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এখানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করলেও ছাত্ররাই এসব ক্লাবের প্রাণ। সারা বছর জুড়ে এই ক্লাবগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে কলেজের ছাত্রদের উৎকর্ষ সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। এইসব ক্লাবের আয়োজিত কিছু কিছু অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান হিসাবে মর্যাদা লাভ করেছে। দেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এ কার্যক্রমগুলোকে ভিন্নমাত্রা দান করে।
এই কলেজের ক্লাবসমূহ হলো:[৪]

নটরডেম ডিবেটিং ক্লাব (প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৩; প্রতিষ্ঠাতা: ফাদার আর. ডব্লিউ. টিম সিএসসি)
১৯৫৩ সালে, কলেজের তৎকালীন জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম টিম, সিএসসি ছিলেন এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর। ফাদার টিম উপমহাদেশের একজন প্রতিথযশা জীববিজ্ঞানী, ম্যাগসেসাই পুরস্কার বিজয়ী এবং নেমাটোডা পর্বের জনক।[৬][৭]
ক্লাবের বার্ষিক মুখপত্র দ্বৈরথ । এছাড়া ক্লাব প্রতিবছর দ্রোহ নামে একটি বিতর্ক কড়চা প্রকাশ করে। ক্লাব প্রতিবছর ডিবেটার'স লীগ, মিক্স-আপ, ইন্টার গ্রুপ ডিবেট, পালাবদলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

নটরডেম বিজ্ঞান ক্লাব (প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৫; প্রতিষ্ঠাতা: ফাদার আর. ডব্লিউ. টীম সিএসসি)
নটরডেম আউটওয়ার্ড বাউন্ড এ্যাডভেঞ্চার ক্লাব (OBAC) (এডভেঞ্চার ক্লাব) (প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ অক্টোবর; প্রতিষ্ঠাতা: ফাদার আর. ডব্লিউ. টীম সিএসসি)
নটরডেম রোভার দল(প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৭২)
নটরডেম বিজনেস ক্লাব (নটরডেম ব্যবসায় সংঘ)(প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৭৩)
নটরডেম চেস ক্লাব (নটরডেম দাবা সংঘ)(প্রতিষ্ঠাঃ ২৮ মার্চ, ১৯৮৪)
নটরডেম মানবিক সংঘ(প্রতিষ্ঠাঃ ২৯ আগস্ট, ১৯৮৪)
নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব (নটরডেম প্রকৃতি নিরীক্ষণ সংঘ)(প্রতিষ্ঠাঃ ২৯ আগস্ট, ১৯৮৪)
দেশের প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন তত্ত্ব ও তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করা এবং এ বিষয়ে দেশের ছাত্র ও জনগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালের ২৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব (নটরডেম প্রকৃতি নিরীক্ষণ সংঘ)। নটরডেম কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, তৎকালীন মাত্র ২০ জন ছাত্র নিয়ে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে, এই ক্লাবটিকেই এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রথম ক্লাব হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এই ক্লাব থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৈরি হয়েছে আরো বিভিন্ন ন্যাচার স্টাডি ক্লাব, ঢাকার বিভিন্ন কলেজে। নিয়মিতভাবে ক্লাবের তরফ থেকে বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ছাত্র সদস্যদের মাঝে গঠনমূলক মনোবৃত্তির বিকাশই এসব কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য। এ ক্লাবের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে দৈনিক সংবাদ সংগ্রহ, সাপ্তাহিক ক্লাস ও সভা, পাক্ষিক ন্যাচার স্টাডি স্থান পরিদর্শন, মাসিক দেয়ালিকা, ত্রৈমাসিক পত্রিকা "নিসর্গ" প্রকাশ, মাসিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, মাসিক সভা ও মাসিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, বার্ষিক সভা ও সেমিনার, বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশ। ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগে প্রকাশিত বার্ষিক পত্রিকা "প্রকৃতি" সারা বছরের ক্লাব কার্যক্রমের বহিঃপ্রকাশ।[৪] এছাড়া ক্লাবটি ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী করে তোলার জন্য প্রায়ই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে, যেমন: গ্রাউন্ড ট্রেনিং প্রোগ্রাম (GTP), ফটোগ্রাফি ট্রেনিং প্রোগ্রাম (PTP), অফিস ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম (OMTP), ফিল্ড ওয়ার্ক ট্রেনিং প্রোগ্রাম (FWTP), নিউজলেটার পাবলিকেশন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (NPTP), ন্যাচার জার্নালিজম ট্রেনিং প্রোগ্রাম (NJTP), কম্পিউটার ট্রেনিং প্রোগ্রাম (CTP), ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম (CMTP), সায়েন্টিফিক রিসার্চ প্রিপেয়ার্ডনেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম (SRPTP) ইত্

Map of নটর ডেম কলেজ, ঢাকা-Notre Dame College,Dhaka

OTHER PLACES NEAR নটর ডেম কলেজ, ঢাকা-NOTRE DAME COLLEGE,DHAKA