পত্নীতলা উপজেলা

School Road, Patnitala, 6540
পত্নীতলা উপজেলা পত্নীতলা উপজেলা is one of the popular Public & Government Service located in School Road ,Patnitala listed under Arts & entertainment in Patnitala , Public Services & Government in Patnitala , Local Service in Patnitala ,

Contact Details & Working Hours

More about পত্নীতলা উপজেলা

পত্নীতলা উপজেলার পটভুমি

উৎপত্তি: ১৮০৭ সালে এই থানা স্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে থানা উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।আবার থানার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায় যে,পত্নীতলা থানা ইতিপূর্বে পশ্চিম দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত ছিল।১৯১১-১৯১২ সালের দিকে পত্নীতলা থানার উত্তর পূর্বাঞ্চল নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ধামইরহাট থানা। ১৯৪৭ এর র‌্যাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুযায়ি দেশ বিভাগের পর পত্নীতলা থানা বগুড়া জেলার অন্তর্গত হয়।১৯৪৯ সালে পত্নীতলা থানা রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত হয়।অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারত বর্ষে ওয়ারেন্ট হেষ্টিংস এর সময় কালে থানার নাম করন প্রবর্তন হয়।সে সময় পুলিশ ষ্টেশন কেবল মাত্র অপরাধ দমন কার্যক্রম চালাতো।পরবর্তীতে এর কলেবর বৃদ্ধি করে থানার উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের জন্য থানা উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে পৃথক ভাবে অফিস স্থাপন করে কার্যক্রম শুরু হয়।থানা উন্নয়ন সার্কেল পরবর্তীতে আপগ্রেড থানা বা মানউন্নীত থানা হিসাবে রূপান্তরিত হয় এবং সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে উপজেলা প্রশাসন বিকেন্দ্রীরকরণের মাধ্যমে উপজেলা হিসাবে পরিগণিতবর্তমান নজিপুর পৌরসভার অন্তর্গত হরিরামপুর মৌজার,খতিয়ান নং-আর .এস ৩/১,দাগ নং-৫৪,জমির পরিমান-৪.৩৮ একর ও ৫৫৯ নং দাগে ০.১২ একর মোট ৪.৫০ একর জমিতে উপজেলা পরিষদ ভবন,অডিটরিয়াম ও অন্যান্য অফিস সমূহ অবস্থিত এবং চকনিরখীন মৌজার খতিয়ান নং-১,দাগ নং-৩২১ জমির পরিমান-৮.৪০ একর, দাগ নং ৩২২ জমির পরিমান ০.৩২ একর, মোট-৮.৭২ একর জমিতে উপজেলা কোয়াটার, উপজেলা চেয়ারম্যান কোয়াটার,মাঠ,পুকুর এবং বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অফিস ও বি.আর.ডি.বি অফিস রয়েছে। নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার উত্তরে পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ অবস্থিত।উত্তর গোলার্ধের ২৪.৫৮ থেকে ২৫.৮ অক্ষাংশে এবং ৮৮.৪২ থেকে ৮৮.৫২ দ্রাঘিমাংশ জুড়ে এর অবস্থান।


পত্নীতলা উপজেলার নামকরন: পত্তনীতোলা,পাঠানতোলা কিংবা পাটনীতোলা ক্রমশ রূপান্তরিত হয়ে বর্তমানে পত্নীতলা নামটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাম করনের পিছনে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। কথিত আছে পাঠান রাজত্বকালে বরেন্দ্র এলাকার অনেক পরগণা পাঠান জামিদারদের অধীন ছিল। পাঠান নৃপত্তি বা রাজ কর্মচারীগণ বর্তমান পত্নীতলা বাজারে অবস্থান করে জমি পত্তন দেওয়ার কাজ সমাধা করতেন। পত্তন শব্দ থেকে পত্তনী এবং ক্রমে পত্তনীতোলা বা পাঠানতোলা নামে এতদঞ্চলে অভিহিত হতে থাকে।তাছাড়া কথিত আছে যে,তাহির রাজবংশে জনৈক পূর্ব পুরুষ শ্যযুক্ত কংশ নারায়ন তাহিরপুরের এক মুসলমান জমিদারের নিকট থেকে পরগনা কেড়ে নিয়ে একটি কালি মন্দির পত্তন করে। অপরাপর হিন্দু জমিদার ও এ মন্দিরের নামে জমি পত্তন দিতেন ক্রমে জায়গাটি পত্তনীতোলা নামে পরিচিত হয়। এছাড়া জনশ্রুতি রয়েছে যে,পাঠান শাসন আমলে আত্রাই নদীতে খেয়া পারাপারের জন্য সুদুর বিহারের দার ভাংগা থেকে কিছু সংখ্যাক পাটনী সম্প্রদায়ের লোক এসে বসবাসের জন্য একটি টোল বা মহলা স্থাপন করে এবং এলাকার নাম পাটনীটোলা বলে অভিহিত হয়। উলেখ্য যে,পাটনী সম্প্রদায়ের কিছু লোক এখন ও আত্রাই নদীতে খেয়া পারাপারের কাজে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে। মোট কথা পত্নীতলা উপজেলার নামের মধ্যেই প্রকৃত ইতিহাস লুকায়ে রয়েছে।

উত্তরে ধামইরহাট উপজেলা ও ভারত সীমানা ,দক্ষিনে মহাদেবপুর,পূর্বে বগলগাছী এবং পশ্চিমে সাপাহার উপজেলা অবস্থিত। পত্নীতলা উপজেলার মধ্যদিয়ে আত্রাই নদী এবং পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে ছোট যমুনা নদী প্রবাহিত হয়েছে।এ ছাড়া মনোহর গংগা সহ কিছু কিছু ছোট খাড়ী রয়েছে। এখান থেকে সড়ক পথে যোগাযোগ রাজধানী শহর ঢাকার সাথে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে।এছাড়া জেলা সদর, বগুড়া এবং বিভাগীয় শহর রাজশাহীর সাথে সড়ক পথে বাস যোগে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে।

ভৌগলিক পরিচিতিঃ নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৯ কি:মি: উত্তরে পত্নীতলা উপজেলা অবস্থিত।উত্তর গোলার্ধের ২৪.৫৮ থেকে ২৫.৮ অক্ষাংশে এবং ৮৮.৪২ থেকে ৮৮.৫২ দ্রাঘিমাংশ জুড়ে এর অবস্থান। উত্তরে ধামইরহাট উপজেলা ও ভারত সীমানা,দক্ষিনে মহাদেবপুর উপজেলা,পূর্বে বদলগাছি এবং পশ্চিমে সাপাহার উপজেলা।পত্নীতল উপজেলার মধ্যে দিয়ে আত্রাই নদী এবং পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে ছোট যমুনা নদী প্রবাহিত হয়েছে।এছাড়াও মনোহর গঙ্গা সহ কিছু কিছু ছোট ছোট খাড়ি রয়েছে।পত্নীতলা উপজেলা সদর থেকে সড়ক পথে যোগাযোগ রাজধানী শহর ঢাকা,বিভাগীয় শহর রাজশাহী,জেলা সদর নওগাঁ, বগুড়া,জয়পুরহাট এর সাথে সড়ক পথে বাস যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।


ভাষা ও সংষ্কৃতিঃ পত্নীতলা উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল, তিস্তা পলল ও নিম্ন অঞ্চল বেমিন প্রকৃতি অঞ্চলের অর্ন্তগত সমতল ভূমি দ্বারা গঠিত। এ উপজেলায় ইসলাম ধর্মালম্বীর সংখ্যা বেশি কিছু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতী বাস করে। এরা বাংলায় কথা বলে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। তারা স্বতঃস্ফুর্ত হয়ে নির্বিস্মে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকে। পূজা পার্বনে প্রতিবেশী মুসলমান সম্প্রদায় হিন্দুদের সাথে সহায়তার হাত বাড়ীয়ে দেয়। পূজা পার্বন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গনে বা সংলগ্নস্থানে যাত্রা,পালা গান, বাউল গান এবং মাদারের গানের আয়োজন করা হয়। এখানে বহুকাল ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির চমৎকার বন্ধন অটুট আছে।

বাঙ্গালীর জাতির বাংলা ভাষা এবং এ উপজেলায় বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠির নিজস্ব ভাষাও উলেস্নখযোগ্য সংস্কৃতি যেমন -ক। কারাম উৎসব খ । শাহরম্নল উৎসব ও বাংলা নববর্ষের আগমনী উৎসব গ। ৯জুন বিরশা মুন্ডা দিবস ঘ। কানু দিবস ঙ।দোলপ্রনিম চ। নবান্ন উৎসব ইত্যাদি।

খেলাধুলা ও বিনোদনঃ এ উপজেলার সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ও ক্রিকেট। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় এ অঞ্চলে ও ক্রিকেট খেলার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। প্রায় সকল পর্যায়ের মানুষ বিশেষ করে যুবক ছেলেরা ক্রিকেটামোদী। এখানে নিয়মিত খেলাধূলা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।ফুটবল, কাবাডি,ক্রিকেট.ভলিবল ইত্যাদি।বিনোদন:-নাচ,গান,নাটক ইত্যাদি।

উপজেলা ঐতিহ্যঃ নওগাঁ জেলার পত্নীতলার উপজেলা ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। যা এ উপজেলারচাহিদা মিটানোর পর উদ্বৃত উৎপাদিত ধানের চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহকর হয়ে থাকে।এছাড়া ও পত্নীতলাউপজেলা হতে ২০ কি.মি.পশ্চিমে দিবর ইউনিয়ন যেখানে প্রতি বছর ১লা বৈশাখমাসের মাঝামাঝি সময়ে বাকরইল গ্রামের পামত্মাবাড়ী নামক স্থানে মেলা হয়। যেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।এই মেলাকে অনেকে আমার ভুত পূজা বলে থাকে।

পত্নীতলা উপজেলার আর একটি ইউনিয়ন পাটিচরা ইউনিয়ন যেখানে কাশিপুর নামক জায়গায় কাশিপুর মেলা হয়ে থাকে ঐ মেলাটিও আবার অনেকে ভুত মেলা বলে।






**প্রশাসনিক এলাকা**

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ
৪৬ বি।জি।বি ক্যাম্প
পত্নীতলা থানা
পত্নীতলা পৌরসভা

**পত্নীতলা ইউনিয়নসমূহ**

পত্নীতলায় মোট ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে।

নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ
পত্নীতলা ইউনিয়ন পরিষদ
নির্মইল ইউনিয়ন পরিষদ
দিবর ইউনিয়ন পরিষদ
মাটিন্দর ইউনিয়ন পরিষদ
আকবরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
পাটিচরা ইউনিয়ন পরিষদ
আমাইড় ইউনিয়ন পরিষদ
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ
শিহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদ
**ঐতিহাসিক স্থানসমূহ**
দিবর দিঘি,দিব্যক জয়স্তম্ভ, পত্নীতলা থানার দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত।
এ দীঘি স্থানীয় জনগনের কাছে কর্মকারের জলাশয় নামে পরিচিত।
কাঞ্চন মাজার শরীফ
গাহন মাজার শরীফ

**শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ**

মধইল বি.এল. উচ্চ বিদ্যালয়,
মধইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
আল-ইনসাফ ইসলামী একাডেমি,
আল-হেলাল ইসলামী একাডেমি,
শরিফ একাডেমী,
শরিফ প্রি-ক্যাডেট একাডেমী,
মামুন একাডেমী,
মধুইল ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসা।
আকবরপুর উচ্চ বিদ্যালয়
আকবরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়
নজিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ
নজিপুর মহিলা কলেজ
নজিপুর টেকনিক্যাল কলেজ
পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়
নজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়
পুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়
আমন্ত উচ্চ বিদ্যালয়
শিশা উচ্চ বিদ্যালয়
গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়
মানাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়
মধুইল ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসা
করমজাই ফাজিল মাদ্রাসা
ফতেপুর দাখিল মাদ্রাসা
নকুচা উচ্চ বিদ্যালয়
রহিমাপুর ফাজিল মাদ্রাসা
মান্দাইন উচ্চ বিদ্যালয়
উস্টি উচ্চ বিদ্যালয়
উস্টি মাদ্রাসা
মধুইল উচ্চ বিদ্যালয়
মানাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়
আল - হেরা ইসলামী একাডেমী
মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়
মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়

**ব্যক্তিত্ব**

নুরে আলম খাদেমুল ইসলাম
সামসুজ্জোহা খান
আফছার আলী খান
মুনছুর আলী খান
কাজী আব্দুল মজিদ
কাজী নূরুল ইসলাম
লতিফর রহমান শাহ ফকির
আরমান আলী (ফুটবল খেলোয়াড়)
সুরাইয়া মান্নান
জাহানারা বেগম
ডাঃ আবু ওবায়দা

Map of পত্নীতলা উপজেলা