এক নজরে আশুগঞ্জ উপজেলা
আয়তন : ২৬.১০ বর্গমাইল/৬৭.৫৯ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা : ১,৮০,৬৫৪ জন (২০১১ সনের শুমারী অনুযায়ী)।
জনসংখ্যার ঘনত্ব : ২,৬৭৩ জন (প্রতি বর্গকিলোমিটারে)।
নির্বাচনী এলাকা : ২৪৪,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের অংশ)।
ইউনিয়ন : ০৮টি (তারুযা ইউনিয়নের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি)
মৌজা : ৩১টি
সরকারী হাসপাতাল : নাই (ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে)
স্বাস্থ্যকেন্দ্র/ ক্লিনিক : স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র-০১টি, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র-০২টি, বেসরকারী হাসপাতাল-০২টি।
পোস্ট অফিস : ০৮টি
নদ-নদী : ০১(এক)টি (মেঘনা নদী)
হাট-বাজার : ০৭টি
ব্যাংক : ১৪টি
উপজেলার পটভূমিঃ
আশুগঞ্জ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নগরী ও বাণিজ্য শহর। বিদেশেও আশুগঞ্জের পরিচিতি কম নয়। জাতীয় অর্থনীতিতে আশুগঞ্জ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এখানে দেশের বেশ কয়েকটি উলেখযোগ্য স্থাপনা তথা শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জিয়া সার কারখানা কোম্পানী লিমিটেড, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেড, আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম সাইলো, শহীদ আবদুল হালিম রেলওয়ে সেতু (King George bridge), বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ভাষ্কর্য ‘‘জাগ্রত বাংলাদেশ’’, জিটিসিএল বিশেষভাবে উলেখযোগ্য।
ভারী শিল্প ছাড়াও আশুগঞ্জ বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য নগরী হিসাবে পরিচিত। বিশেষ করে ধান ও চাউলের ব্যবসার জন্য আশুগঞ্জ ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে ছোট-বড় তিন শতাধিক চাতাল ও অটো রাইস মিল রযেছে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই ধান-চাউলের এ বিশাল বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ সেচ প্রকল্প ‘‘আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প’’ এখানে অবস্থিত। বৃটিশ শাসনামলে আশুগঞ্জ পাটের বড় বাজার হিসাবে পরিচিতি ছিল। তখন ইংরেজদের অনেক পাট ক্রয় কেন্দ্র ছিল বিধায় তাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল আশুগঞ্জ। ফলে তখন থেকেই আশুগঞ্জ বিদেশে পরিচিতি লাভ করতে থাকে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই রূপান্তরিত গ্যাসের গুরুত্পূর্ণ স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সড়ক যোগাযোগের জন্য ভারতীয় ট্রানজিটের নৌ বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতীয় উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আশুগঞ্জের গুরুত্ব আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।
নামকরণ :
সবুজ-শ্যামল ছায়া সুনিবিড় মেঘনা পাড়ের আশুগঞ্জ মূলতঃ চরচারতলা, আড়াইসিধা, যাত্রাপুর, বড় ভল্লা, সোনারামপুর, বৈকুণ্ঠপুর, তালশহর, সোহাগপুর, বাহাদুরপুর গ্রামকে ঘিরে ১৮৯৮ খ্রীষ্টাব্দে গোড়াপত্তন হয়। আশুগঞ্জ প্রতিষ্ঠার পূর্বে ভৈরববাজারে ক্রয়-বিক্রয় তথা ব্যবসা করতেন ভৈরববাজারের মালিক ভৈরব বাবু কর্তৃক আরোপিত অত্যাধিক করভারে হয়ে মেঘনার পূর্ব পাড়ের ক্রেতা-বিক্রেতারা অতিষ্ট হয়ে সোনারামপুর মাঠের উপর হাট বসায়। তৎকালীন সরাইল পরগনার জমিদার কাশিম বাজারের মহারাজা আশুতোষ নাথ রায় আশাব্যঞ্জক এ সংবাদ জানতে পেরে তিনি উদ্যোক্তাদের ডেকে পাঠান। উদ্যোক্তাগণ মহারাজার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের দুর্গতি অবসানের জন্য মহারাজার নামের সাথে মিল রেখে ঐ হাটকে ‘‘আশুগঞ্জ’’ নামকরণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ১৮ জুলাই ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা বাস্তবায়িত হয়।
উল্লেখযোগ্য স্থান বা স্থাপনাঃ
আশুগঞ্জ সারকারখানা কোম্পানী লিঃ।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিঃ
সাইলো (খাদ্য গুদাম)
শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু (King George bridge)
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু
ভাষ্কর্য ‘‘জাগ্রত বাংলাদেশ’’
জিটিসিএল।