তরুণ-তরুণীদের অনেকেই ব্যস্ত গল্পগুজবে, কেউ ব্যস্ত ফেসবুকে চ্যাটিং নিয়ে, কেউ সমালোচনায়, কেউবা আবার খেলাধুলায় ব্যস্ত। এদের মধ্যে ব্যতিক্রম একদল তরুণ-তরুণী ব্যস্ত অন্য কিছু নিয়ে। এদের ভাবনা-চিন্তা একটাই— দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে হবে। তেমন উদ্দেশ্য নিয়ে একদল তরুণ-তরুণী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তুলেছেন পথশিশুদের স্কুল ‘তরী’। ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরফুদ্দিন মুহাম্মদ আবু ইউসুফ শান্তর উদ্যোগে কিছু উদ্যমী শিক্ষার্থী তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ক্যাম্পাসে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। পথশিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করতেই তাদের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বসে পাঠশালা। সপ্তাহে তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের অসহায়-গরিব শিশুরা এখানে অধ্যয়ন করে। মূলত ক্যাম্পাস ও আশপাশের হতদরিদ্র, হকার, চা-সিগারেট-বাদাম বিক্রেতাসহ ভাসমান শিশুদের তরীতে বিনামূল্যে পড়ানো হয়। বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় শিক্ষা উপকরণ।
প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই থেকে তিনটি টিম তরী পরিদর্শন করে। সে সময় তারা শিশুদের সঙ্গে নাচ-গান, খেলাধুলা আর আড্ডায় মেতে ওঠে।