ঝিনাইদহ

jhenaidah,dhaka,bangladesh., 7300 ,-NA-
ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ is one of the popular Landmark & Historical Place located in ,jhenaidah,dhaka,bangladesh. listed under Landmark in jhenaidah,dhaka,bangladesh. ,

Contact Details & Working Hours

More about ঝিনাইদহ

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান পাওয়া না। অনুমান করা হয় যে ঝিনুক হতে ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাংলোর সামনে অবস্থিত বড় দোহাটিতে তখনো পাওয়া যেত প্রচুর ঝিনুক। কিংবদন্তী অনুসারে বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ঝিনুক কুড়াতে দলে দলে লোক আসতো। আবার ঝিনুক থেকে চুন ও বোতাম তৈরী হওয়ায় চুন ব্যবসায়ীরা এখানে রেখেছিল ঝিনুক কুড়াতে একদল লোক। এরা ঝিনুক প্রাপ্তির স্থানটিকে ঝিনুকদহ বলতো। কেউ কেউ বলেন, ‘ঝিনুক’ ও ‘দহ’ মিলিয়ে মুখে মুখে হয়ে দাঁড়ায় ঝিনকুদহ। অর্থাৎ দহে (বড় জলাশয়) ঝিনুক ছিল, এই দহ থেকে ঝিনুক কুড়াতে কুড়াতে ঝিনুক, আঞ্চলিক ভাষায় “ঝিনেইদহ” রূপান্তরিত হয়ে আজকের ঝিনাইদহ হয়েছে। অন্যরা বলেন ‘দহ’ অর্থ গ্রাম। এই গ্রামে ঝিনুক পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ঝিনুকদহ নামকরণ হয়েছিল যা পরে ঝিনাইদহ হয়েছে।

নামের ক্ষেত্রে আর একটি কিংবদন্তী হচ্ছে যে, একজন ইংরেজ সাহেব নৌকাযোগে নবগঙ্গা নদী পার হচ্ছিলেন। ঘাটে তখন লোকজন ঝিনুক কুড়িয়ে জমা করছিল। ইংরেজ সাহেব ঝিনুক কুড়ানোরত লোকজনদের জিজ্ঞাসা করেন এই স্থানের নাম। কিন্তু ঝিনুক কুড়ানীরা সাহেবের কথা বুঝতে ব্যর্থ হয়। তারা মনে করে যে, নদী থেকে তারা কি তুলছে সাহেব তাই জানতে চাচ্ছে। তাই সাহেবের জায়গার নাম জানার প্রশ্নের উত্তরে তারা বলে ঝিনুক। এতে ইংরেজ সাহেব ধরে নেন যে এই স্থানের নাম ‘ঝেনি’। এই ঝেনি শব্দটি পরে ‘ঝেনিদা’ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ‘ঝিনুকদহ’ আর ‘ঝেনিদা’ যাই হোক না কেন মূল যে ঝিনুক থেকে ঝিনাইদহ নামকরণের উৎপত্তি এ ব্যাপারে সমর্থন বেশী। আর সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাংলোর সামনে যে বিরাট দহ ছিল সেটাও অনস্বীকার্য।

ভৌগোলিক অবস্থান :
১৯৪৯.৬২ বর্গ কি: মি: আয়তন বিশিষ্ট বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী ঝিনাইদহ জেলা উত্তরে কুষ্টিয়া জেলা, দক্ষিণে যশোহর এবং ভারতের ২৪-পরগণা জেলা, পূর্বে গড়াই নদী, রাজবাড়ি ও মাগুরা জেলা এবং পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা ও ২৪-পরগণা জেলা (প:ব:-ভারত) দ্বারা বেষ্টিত।

২৩০-১৫ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩০-৪৫ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮০-৪৫ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯০-১৫ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত এই জেলা।

প্রশাসন :
এই জেলা ৬টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা, ২৭টি ওয়ার্ড, ১৪৩টি মহল্লা, ৬৮টি ইউনিয়ন, ১২২৮টি গ্রাম এবং ৯৫২টি মৌজা নিয়ে গঠিত। উপজেলাগুলো হচ্ছে ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর এবং মহেশপুর। পৌরসভাগুলোর নাম- ঝিনাইদহ (১৫ বর্গমাইল), কোটচাঁদপুর (৭বর্গমাইল), মহেশপুর (৫বর্গমাইল) ও কালীগঞ্জ পৌরসভা।

বৃটিশ শাসনের শুরুতে ঝিনাইদহ ছিল ১টি পুলিশ ফাঁড়ি। ১৭৯৩ সালে এটাকে থানায় রূপান্তর করা হয়। ১৮৬২ সালে ঝিনাইদহ থানা যশোর জেলার একটি মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় এবং ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী যশোর জেলা হতে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ :
মরমী কবি লালন শাহ, কবি গোলাম মোস্তফা, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বিল্পবী বীর বাঘা যতীন, পাগলা কানাই, কেপি বসু, শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার ও শিল্পী মোস্তফা আজিজসহ আরও অনেকে।

শহরের আয়তন ও লোকসংখ্যা :
৯টি ওয়ার্ড এবং ৩৩টি মহল্লা নিয়ে ঝিনাইদহ শহর গঠিত। শহরের আয়তন ৩৯.৬৩ বর্গ কি:মি:।

শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৫২.৫৫% এবং মহিলা ৪৭.৪৫%। প্রতি বর্গ কি:মি: জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ২২০০ জন। শহরের জনগণের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৮.৯%।

বার্ষিক বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা :
জেলার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন ১১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৪৬৭ মিলিমিটার।

প্রধান নদ-নদী ও বিল বাওড় :
প্রধান নদীগুলো হচ্ছে গড়াই, কুমার, নবগঙ্গা, বেগবতি, চিত্রা, ভৈরব, কপোতাক্ষ, কোদলা, ফাটকি, কালিগঙ্গা এবং ইছামতি।

উল্লেখযোগ্য বিলগুলো হচ্ছে কন্যাদহ, কাজলি, শিকির পটর, রুইমারি, আজমপুর, দবিলা, উরকি এবং উত্তর বিল (মাগুরা- টাট্টিপুর)।

বাওড় রয়েছে মোট ৯টি। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বালহর, মারজাত, সরজাত, মাজদিয়া এবং বরফার বাওড়। উল্লেখযোগ্য খালগুলো হচ্ছে পুটিমারি, সোনালীডাঙ্গা, ডাকুয়ার এবং টাট্টিপুর খাল।

স্থাপত্য ঐতিহ্য এবং প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন :
স্থাপত্য ঐতিহ্য এবং পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববট (বেথুলি), হরিহরগড় (শৈলকূপা), শৈলকূপা জামে মসজিদ, রাম গোপাল মন্দির (শৈলকূপা), রানীমাতা দিঘী, সওদাগর দিঘী ও মসজিদ, গোড়াই মসজিদ, জোড়বাংলা মসজিদ, গলাকাটা দিঘি ও মসজিদ, চেরাগদানি দিঘি ও মসজিদ, শ্রী রামরাজার দিঘি, গাজী কালু চম্পাবতির সৌধ, ঢোল সমুদ্র দিঘি (ঝিনাইদহ সদর), নলডাঙ্গা রাজবাড়ী ও মন্দির (কালিগঞ্জ), খালিশপুর নীলকুঠি, মনসা মন্দির (মহেশপুর) এবং শ্রীকৃষ্ণ বলরাম দেব বিগ্রহ মন্দির (কালিগঞ্জ)।

ঐতিহাসিক ঘটনা :
কালিগঞ্জ উপজেলার বারবাজার (প্রাচীন নাম গঙ্গাদিঘি) ভারতের ১টি বিখ্যাত বন্দর ছিল। গ্রীক ইতিহাসে উল্লেখ আছে যে প্রাচীনকালে এই বন্দর দিয়ে প্রবাল এবং মসলিন রফতানি করা হত। ১৮৬০ এর দশকে নীল প্রতিরোধ আন্দোলন সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে মান্দার (কালিগঞ্জ) পাকিস্তানী বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। এছাড়াও দুলাল মুন্দিয়া এবং বিষয়খালি (ঝিনাইদহ সদর) স্থানে পাকিস্তানী বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধ হয় যাতে বেশ কিছু সংখ্যক পাকিস্তানী বাহিনীর সদস্য নিহত হয় এবং মুক্তিবাহিনীর বেশ কিছু সদস্যও শাহাদাত বরণ করে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলা হানাদার মু্‌ক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের নির্দশন :
কবর ৭টি, গণহত্যা স্থান ৩টি।

জনসংখ্যা :
ঝিনাইদহ জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.১৬%, নারী ৪৮.৮৪%, মুসলমান ৮৮.০৭%, হিন্দু ১১.৭৪৬, খৃষ্টান ০.১১% এবং বৌদ্ধ ০.০০৫%। অধিবাসীর মধ্যে শতকরা ২১ জন শিক্ষিত। মোট লোকসংখ্যার অধিকাংশ সুন্নী মুসলমান। হিন্দুর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত অনেক কম। কিছু সংখ্যক বাঙ্গালী খৃষ্টানও আছে এই জেলায়।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :
মসজিদ ২২৫৬টি, মন্দির ১৯১টি, গীর্জা ১টি এবং সমাধি ৬টি। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে গোড়ার মসজিদ, জোড়বাংলা মসজিদ, গলাকাটা মসজিদ, জোড়াদহ গম্বুজ মসজিদ (হরিণাকুন্ডু), শাহী মসজিদ, মহেশপুর জামে মসজিদ, সরদার খান সমাধি, গাজী কালু চম্পাবতীর সমাধি, সার্বজনীন কালিবাড়ী মন্দির, রামগোপাল মন্দির, কালিগঞ্জ জামে মসজিদ ও কালিবাড়ী মন্দির।

সাক্ষরতা :
গড় সাক্ষরতা ২৫.৯৫%। এর মধ্যে পুরুষ ৩২৩% এবং মহিলা ১৮.৯%।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
বিশ্ববিদ্যালয় ১টি, সরকারী কলেজ ৫টি, ক্যাডেট কলেজ ১টি, আইন কলেজ ১টি, বেসরকারী কলেজ ৩৬টি, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ১টি, হোমিওপ্যাথি কলেজ ১টি, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ২টি, বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ১৬৯টি, জুনিয়র হাইস্কুল ৫৮টি, মাদ্রাসা ১৬৫টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০৮টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯৬টি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া), সরকারী কে, সি কলেজ (১৯৬০), ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ (১৯৬১), ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭৭), নলডাঙ্গা ভূষন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯২), কোটচাঁদপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৯), রায়গ্রাম বানিকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), হরিণাকুন্ডু প্রিয়নাথ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭২), শৈলকূপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৩), মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় ( ১৮৬৩), জোড়াদহ উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭২) ও উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৩)।

স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সংবাদপত্র ও সাময়িকী :
প্রকাশিত সংবাদ পত্রের মধ্যে রয়েছে দৈনিক ঝিনাইদহ, দৈনিক অধিবেশন, দৈনিক ঝিনাইদহ বানী, দৈনিক বীর দর্পন, দৈনিক নবচিত্র। সাপ্তাহিক অর্নিবান এবং বীর দর্পন, সাপ্তাহিক চলন্তিকা, সাপ্তাহিক সীমান্তের বানী, সাপ্তাহিক চেতনা। উল্লেখযোগ্য সাময়িকীর মধ্যে রয়েছে কোটচাঁদপুর, শাপলা, অগ্নিশিখা, দিশা, বই পত্র, মাটিমন, সুখতারা, ছাড়পত্র, খেজুরতলা, সবুজপত্র, জয়বাংলা, উল্লাস, চেতনা, দিশারী, অনুরাগ, বিশ্ববানী, উষা এবং শৈলবার্তা।

সংস্কৃতিক সংগঠন :
সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে পল্লীক্লাব, অফিসার্স ক্লাব, প্রেসক্লাব, গণগ্রন্থাগার, সিনামা হল, থিয়েটার মঙ্গ, থিয়েটার গ্রুপ, মহিলা সংগঠন, অপেরা দল, সাহিত্য সমিতি ইত্যাদি।

প্রধান পেশা :
কৃষি ৪৮.১৪%, কৃষি শ্রমিক ২৩.১৭%, মজুরি শ্রমিক ২.৬৭%, ব্যবসা বাণিজ্য ১১.২৬%, চাকুরী ৪.৪১%, পরিবহন ২% এবং অন্যান্য ৮.৩৫%।

ব্যবহারিত জমি :
মোট আবাদযোগ্য জমি ১৬৮৩১০ হেক্টর। এর মধ্যে একক ফসল ১০%, দ্বিফসল ৭২.১% এবং ত্রিফসল ১৭.৮৯%

ভূমি নিয়ন্ত্রণ :
চাষীদের মধ্যে ১২.০৩% ভূমিহীন, ২৪.২৫% প্রান্তিক, ৩০.১৩% ক্ষুদ্র, ২২.৬% মাঝারী এবং ১০.৯৮% ধনী।

প্রধান ফসল :
ধান, পাট, গম, ইক্ষু সরিষা, বীজ, পেঁয়াজ, রসুন এবং বিভিন্ন জাতের ডাল ও তরকারী। বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত শস্যের মধ্যে রয়েছে বার্লি, ভুড়া, কাউন, আউষ ধান, তুলা, আফিম, নীল এবং তামাক।

প্রধান ফল :
আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, নারিকেল, খেজুর এবং তাল।

যোগাযোগ সুবিধাদি :
পাকা সড়ক ১৮০ কিলোমিটার, আধা পাকা ১০০ কিলোমিটার, কাঁচা সড়ক ৬০০০ কিলোমিটার, রেলপথ ৪৫ কিলোমিটার এবং জলপথ ২২ নটিক্যাল মাইল। ঐতিহ্যগত পরিবহনের মধ্যে রয়েছে পাল্কি (বিলুপ্ত), ঘোড়ার গাড়ী (প্রায় বিলুপ্ত) এবং নৌকা।

কলকারখানা :
বৃহৎ কলকারখানার মধ্যে চিনির কল ১টি ও ঔষধ শিল্প ১টি। মাঝারী কলকারখানার মধ্যে রয়েছে চালের কল, বরফ কারখানা, বিড়ি কারখানা, ক্যান্ডি কারখানা, আইসক্রীম কারখানা, করাতে কল, ওয়েল্ডিং এবং ডাল, তেল ও আটা ময়দার মিল। কুটির শিল্পের মধ্যে রয়েছে তাঁত, বাঁশ ও বেতের কাজ, স্বর্ণকার, কামার, কুম্ভকার, কাঠের কাজ, দরজী কাজ ও গরুর গাড়ী প্রস্তুত।

হাট বাজার এবং মেলা :
মোট হাট ও বাজারের সংখ্যা ১৩৮টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঝিনাইদহ, হাট গোপালপুর, ভাটাই, ডাকবাংলা, কালিগঞ্জ, বারবাজার, নারিকেল বাড়িয়া, হালিধানী, মধুপুর, শেখপাড়া, ফাজিলপুর, সফদারপুর, চাপরাইল, কোলা, পাবর্তীপুর, জোড়াদহ, খালিশপুর, নাজের হাট, কোটচাঁদপুর, হরিণাকুন্ডু, ভবানীপুর, তালাস এবং শৈলকূপা। মেলা রয়েছে মোট ৮টি।

প্রধান রপ্তানী :
ধান, পাট, কলা, পেঁয়াজ, রসুন, পান এবং খেজুরের গুড়।

এনজিও তৎপরতা :
তৎপরতা চালাচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ এনজিওগুলো হচেছ ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, প্রশিকা, গ্রামীণ ব্যাংক, দীপশিখা, রিকো, এইড, উন্নয়নধারা, জাগরনী চক্র এবং সৃজনী।

স্বাস্থ্য কেন্দ্র :
জেলা সদর হাসপাতাল ১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬টি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪১টি, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১টি, মাতৃসদন ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১টি, চক্ষু হাসপাতাল ১টি এবং শিশু হাসপাতাল ১টি ।

Map of ঝিনাইদহ