বেশি সংখ্যক বইয়ের প্রকাশক নয়— আদর্শ সেসব বইয়েরই প্রকাশক হতে চায় যেসব বই মৌলিক, অভিনব, নতুন চিন্তা উদ্রেককারী ও সাহিত্যমান সম্পন্ন। অভিজ্ঞতাহীন পূর্বানুমান (prejudice), যাচাই-বাছাইহীন পূর্বসিদ্ধান্ত (prejudge), শস্তা মত-মতবাদ-আদর্শ— ইত্যাদি থেকে আদর্শ মুক্ত থাকতে চায়। নীতিগতভাবে আদর্শ তার প্রকাশনায় ঘৃণাবাদ তথা বর্ণবাদকে কঠোরভাবে পরিহার করতে চায়।
কে গ্রন্থজীবী (writer), আর কে গ্রন্থকার (author) এই ভেদজ্ঞানটুকু আদর্শর আছে। ফলে কর্তৃত্বপূর্ণ (Authoritative) গ্রন্থকারের পাণ্ডুলিপি নিয়েই আদর্শ বছরের সেরা বইটির প্রকাশক হতে চায়।
বইমেলার প্রাক্কালে পাণ্ডুলিপি এলে তা বড়জোর যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা আর দেশে সারাবছর ধরে পরিকল্পনাহীন প্রকাশনা শিল্পের যে ধারা, সেই চির গতানুগতিকতার বাইরে এসে আদর্শ প্রতিবছর নতুন নতুন তরুণ প্রতিভাবান খুঁজে বের করে আর নতুন পরিকল্পনা, নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করে।
তাই আদর্শর যেমন আছেন, তরুণ তুর্কী রাগিব হাসান, চমক হাসান, জিয়া হাসান, ঝংকার মাহবুব, আসিফ সিবগাত, ফরহাদ হোসেন মাসুম, আজহারুল ইসলামের মতো বেস্ট সেলার বইয়ের লেখক, তেমনই আছেন শিশির ভট্টাচার্যে্যর মতো সুপণ্ডিত, মোহাম্মদ আজম-এর মতো অতলস্পর্শী চিন্তক, কুদরত-ই-হুদা, পারভেজ আলমের মতো শাণিত গবেষক, আল মাহমুদের মতো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।
প্রকাশনা হিসেবে নতুন লেখক, নতুন লেখা, নতুন প্রবণতা, নতুন পাঠক এবং নতুন পাঠরুচি নিয়েই আদর্শ। কেবলমাত্র প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নয়— আদর্শ ‘নতুন’দের একটি প্লাটফর্ম হয়ে উঠতে চায়, যে প্লাটফর্মের দিকে তাকালে একটি তেজদীপ্ত ঝকঝকে বিভেদহীন বাংলাদেশের পরিচয় পাওয়া যাবে।
আদর্শ তার পাণ্ডুলিপি পরিকল্পনা এবং প্রকাশনার ক্ষেত্রে আলোকিত মানুষ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি-সহায়ক পাঠ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।