এক নজরে আমাদের বিদ্যালয়
মাহবুবুল আলম ,প্রধান শিক্ষক
সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ- সাপাহার এলাকার কিছূ বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করার লক্ষ্যে আল হেলাল ইসলামী একাডেমী নামে এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা চত্বর সংলগ্ন এলাকায় ১৯৯৫ ইং সালে স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল সৎ ও যোগ্য নাগরিক তৈরী করা। শুরুতেই বেবী শ্রেণী হতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্তখোলা হয়।এ বিদ্যালয়টি স্থাপনের পিছনে অত্র এলাকার বহু মানুষ সম্পৃক্ত ছিল। কেউ অর্থ কেউ বুদ্ধি কেউ বা কায়িক শ্রম দিয়ে বিদ্যালয়টি গড়ার পিছনে অবদান রেখেছেন।তাদের কেউ মৃত্যু বরণ করেছেন , কেউ বা এখনো জীবিত রয়েছেন। যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা জীবিত রয়েছেন আল্লাহ তায়ালার দরবারে তাদের সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।যে সমস্ত মহৎ ব্যক্তি বিদ্যালয়টির ব্যাপারে স্বক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন তাদের সকলের নাম এ স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে তাদের মধ্যে যারা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন তাদের কয়েক জনের নাম এখানে উল্লেখ করা হল। তারা হলেন- বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক মাজহারুল হক মাষ্টার,সাপাহার,সাদেকুল হক শাহ চৌধুরী, কুচিন্দা, আলহাজ জালাল উদ্দীন,মহজিদ পাড়া, আফ গোলাম মাওলা,তৎকালিন চেয়ারম্যান তিলনা ইউপি, এরফান আলী বি.এস.সি, সাপাহার, মাওলানা আব্দুল বাকী, চেয়ারম্যান শিরন্টি ইউপি, সাইদুল ইসলাম,সাপাহার,রশিদুল হাসান,তৎকালিন চেয়ারম্যান ,আইহাই ইউপি, জমির মাহলত, কুচিন্দা ও মোজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, কুচিন্দা। তৎকালিন ইউএনও জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান(১৯৯৫) ও ইউএনও সৈয়দ মোঃ মিজানুর রহমান (১৯৯৯) বিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বীকৃতি ও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রা¯তা নির্মানে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেন। বিদ্যালয়টির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান। ২০০২ইং সালে অত্র নির্বাচনী এলাকার সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব ডাঃ মোঃ ছালেক চৌধুরী বিদ্যালয়টির নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায় এমপিও ভুক্তির ব্যাাপারে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেন। বিদ্যালয়টির মেরামত ও সংস্কার এবং মাঠ ভরাটের ব্যাপারেও তিনি সক্রিয় অবদান রেখেছেন। সাপাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী বিদ্যালয়ের স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য দুটি ল্যাট্রিন নির্মান করে দেন।মুরহুম রিয়াজ উদ্দীন ,গ্রাম মরাডাঙ্গা ,উপজেলা সাপাহার অত্র বিদ্যালয়ে এক বিঘা এবং মুরহুম ইলিয়াস আলী ,গ্রাম ভুতকুড়ি উপজেলা সাপাহার ১০ কাঠা জমি দান করেন,যা পরবর্তীতে বিক্রয় করে বিদ্যালয়ের ভৌতকাঠামো নির্মানে লাগানো হয়েছে।বর্তমানে বিদ্যালয়টি কুচিন্দা গ্রামের ্ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের মুরহুম আলহাজ লোকমান হক শাহ চৌধূরীর সুযোগ্য ছেলে জনাব সাদেকুল হক শাহ চৌধুরী সাহেবের দান কৃত জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। ২০০৯ সালে কুচিন্দা গ্রামের ্ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের মুরহুম ইব্রাহিম হক শাহ এর পুত্র মোঃ মোজাহারুল হক শাহ চৌধরী ও তাঁর ভাতিজা মোঃ রেজাউল হক শাহ চৌধুরী একত্রে মসজিদ করার জন্য দুই শতক জমি বিদ্যালয়ে দান করেন।তাদের নিকট হতে একই বছর ৯ শতক জমি ক্রয় করা হয় । ২০১০ সালে মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ,নওগাঁ-১ জনাব সাধন কুমার মজুমদার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অত্র বিদ্যালয়ে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করে। ২০১১ সালে ডড়ৎষফ অংংবসনষু ড়ভ গঁংষরস ণড়ঁঃয অত্র বিদ্যালয়ে একটি মসজিদ নির্মান করে। ২০১১ সাল হতে অত্র বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে আলাদা শাখায় ছাত্রী ভর্তি
করা হয়। ।২০১২সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক জেলা পরিষদ তহবিল হতে এক লাখ টাকা অনুদান ও ১০ জোড়া বেঞ্চ এবং বিদ্যালয়ের ড্রেন নির্মাণ করেন।২০১২সালে শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল বাকী হাইসাওয়া কর্র্তৃক ৪টি টয়লেট নির্মান করেন।২০১৩ সালে এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে ৪র্থ ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে ২য় স্থান লাভ করে। ২০১৩ সালে ৩য় তলার কাজ সমাপ্ত হয়।২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি ইঝই ফাউন্ডেশনের জরিপে নওগাঁ জেলার সেরা প্রতিষ্ঠানের পদক লাভ করে। ২০১৫ সালে একাদশ শ্রেণি চালু করা হয়।বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক ¯তর এখনও এমপিও ভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টি বেবী শ্রেণী হতে একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সরকারী অনুমোদন প্রাপ্ত।