“১৯১৭ সাল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকাল, সভ্যতায় নতুন ভাবনার উন্মেষ, এই অঞ্চলেও শিক্ষা সংস্কৃতির নতুন মোড়। তেমনি এক যুগান্তরের সন্ধিক্ষনে জন্ম নেওয়া আমিরাবাদ বি, সি, লাহা উচ্চ বিদ্যালয়। আমিরাবাদ পরগনার জমিদার ভবানী চরণ লাহার সর্বময় সামর্থ্য দিয়ে গড়া এই প্রতিষ্ঠান। দশ দিগন্ত ব্যাপি কোন উচ্চ বিদ্যালয় নেই তখন। অদম্য মেধাবীদের চলতে হত দূর দুরান্তের পথ। সেই সময়ের শিক্ষা বিস্তারেরব গুরুভার দায়িত্ব নিয়ে গড়ে উঠা এই প্রতিষ্ঠান। কালের পরিক্রমায় আমিরাবাদ পরগনা এখন বহু বিভক্ত ইউনিয়ন। কালজয়ী এই বিদ্যাপীঠ সগৌরবে বিরাজ করছে নয় নম্বর নবাবপুর ইউনিয়নে। শত বছর সময়ের শত সিঁড়ি বেয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে রূপায়িত করেছে উচ্চতর মাত্রায়। পরিনত হয়েছে স্কুল থেকে কলেজে। পরিচিতি পেয়েছে আমিরাবাদ বি, সি, লাহা স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে।
জন্মলগ্ন থেকে বহু অদম্য আর বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ এই বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন মেধা, মনন আর আর্থিক সহায়তা দিয়ে। ভালবেসেছেন পরম মমতায়। স্মরণীয় হয়ে আছেন প্রতিষ্ঠানের মাঠ-মাটি আর অস্তিত্বের বন্ধনে। যত শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলী, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সন্মানিত সভাপতি, দাতা সদস্যগন নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন এই প্রতিষ্ঠানে, সবাইকে সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সকল মেধাবী শিক্ষার্থীদের যারা বিদ্যালয়ের নাম ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে।
বিগত দুই বছর ধরে বর্তমান বিশ্বায়ন যুগের সকল দাবীকে প্রাধান্য দিয়ে এই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে হাল ধরেছেন এই এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আবদুল হাই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একুশ শতকের রূপকল্প ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার মেধা, মনন আর সামর্থ্যের সহায়তা নিয়ে প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে অন্যরকম উচ্চতায়। নবাবপুরের সূর্য সন্তানেরা, যারা দেশ ও দূর প্রবাসে থেকেও ক্রমাগত অর্থ-সামর্থ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সহায়তা করছেন, আমি তাদের সবাইকে স্যালুট করছি শ্রদ্ধাভরে। ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলের মঙ্গল কামনা করছি। প্রতিষ্ঠানটির সকল শুভ প্রচেষ্টা সফলতা লাভ করুক, সভ্যতার সব রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অগ্রগামী হোক, মহান আল্লাহ্র কাছে এই সাহায্য প্রার্থণা করছি।”