Bangladesh Foreign Ministry- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ

Dhaka, 1000 ,Bangladesh
Bangladesh Foreign Ministry- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ Bangladesh Foreign Ministry- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ is one of the popular Government Organization located in ,Dhaka listed under Government Organization in Dhaka ,

Contact Details & Working Hours

More about Bangladesh Foreign Ministry- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ

এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফ্যানপেজ, কোন অফিশিয়াল পেজ নয়।।
=====================================

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য গঠিত বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়। বহির্বিশ্বে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রসত্ত্বার যে-প্রকাশ ও ভাবমূর্তি, তার মূল ভিত্তিপ্রস্তর হলো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি। একটি পরিকল্পিত কাঠামোর মধ্য দিয়ে দেশের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করা হয়। এ নীতির আলোকে পরিচালিত সকল কূটনৈতিক কার্যক্রম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বহির্বিশ্বে অবস্থিত কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের (দূতাবাস/মিশন) ওপর ন্যস্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবিধ কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ এবং এর পশ্চাতে ক্রিয়াশীল নিয়ামক শক্তিকে প্রভাবিত ক’রে থাকে। এই সব কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বৈদেশিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা নিবিড়করণ এবং সর্বোপরি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বসভায় একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংহত ও সুদৃঢ়করণ।


পররাষ্ট্র নীতি
========
বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সুস্পষ্টভাবে জাতিসংঘ সনদের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং বিশ্বসম্প্রদায়ভুক্ত একটি জাতি হিসেবে সকল দায়দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।[১] পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিসমূহ সন্নিবেশিত হয়। সংবিধানের প্রস্তাবনায় “মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাংখার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন” করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। এরই অনুসৃতিতে সংবিধানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অভিমুখ নির্ধারণ করে ৪টি মূল স্তম্ভ উল্লেখ করা হয়েছেঃ (ক) জাতীয় সমতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা ; (খ) শক্তি প্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ প্রয়াস ; (গ) নিজস্ব আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনে প্রত্যেক জাতির অধিকারের স্বীকৃতি এবং বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের সমর্থন।


পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ
=======================
১.প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিদেশের সাথে ভারসাম্যমূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ;
২.বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ;
৩.বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্য ও কৃত্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ ও সংরক্ষণ ;
৪.বিদেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ এবং নতুন শ্রমবাজার সন্ধান ;
৫.প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ;
৬.জাতিসংঘ ব্যবস্থায় সক্রিয় অংশগ্রহণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসার এবং ক্রমবিকাশমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি প্রণয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ ;
৭.বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারকরণ ;
৮.বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ;
৯.বিদেশে বাংলাদেশের সংস্কৃতির যথাযথ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন ;
১০.পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ।।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বসমূহ
===================

(ক) রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বঃ সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও প্রতিনিধিত্বমূলক কার্যক্রম, বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সকল প্রকার যোগাযোগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকা-, কূটনৈতিক পদ প্রদান সহ দূতাবাসের কাঠামো, জনবল, সংস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়াদি এ মন্ত্রণালয়ের কার্যবিধির অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিদেশস্থ কূটনৈতিক, কনস্যুলার ও বাণিজ্য মিশন স্থাপন এবং কূটনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণকল্পে তাদের দায়মুক্তি-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দায়িত্বও এ মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত।

(খ) আন্তর্জাতিক সংস্থা, চুক্তি ইত্যাদিঃ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এর সিদ্ধান্তবলী সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাাতিক সংস্থার সাথে সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পরিপালন, সমন্বয়সাধন, বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

(গ) প্রশাসনিক বিষয়াদিঃ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বি. সি. এস.) পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যাদি সম্পাদন, কূটনৈতিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান, সাংকেতিক বার্তা সঞ্চালন ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত। তদুপরি, ইওওঝঝ সংক্রান্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং আর্থিক বিষয়সহ যাবতীয় সাচিবিক দায়িত্ব এই মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

(ঘ) আন্তর্জাতিক আইন-সংশ্লিষ্ট কার্যাদিঃ এই কার্যসমষ্টির আওতায় প্রধান প্রধান দায়িত্ব হলো : আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ, বিদেশ থেকে বাংলাদেশী নাগরিক প্রত্যাবাসন বিষয়ক নীতিমালা, জলদস্যুতাসহ গভীর সমুদ্রে অথবা আকাশ পথে সংঘটিত অপরাধ, অন্যান্য দেশের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বিদেশী শরণার্থীদের পরিপোষণ, বিদেশী সামরিক বা বেসামরিক অনির্ধারিত বিমান চলাচলের ছাড়পত্র প্রদান, জলসীমা ও মহীসোপানসহ দেশের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্রে সম্পদ আহরণের আইন ও অধিকার সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী, আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিষয়সমূহ, কোন বাংলাদেশী নাগরিক বিদেশে সম্মান, খেতাব বা উপাধিতে ভূষিত হলে তদসংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা ইত্যাদি।

(ঙ) প্রচারণা ও ভাবমূর্তিঃ বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শক্রমে বিদেশী সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সংক্রান্ত ইতিবাচক প্রচারণার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ ক’রে থাকে। এছাড়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক পরিষদের মাধ্যমে যথোপযুক্ত কর্মসূচী পরিচালনা করে।

(চ) রাষ্ট্রাচারঃ বিদেশের সাথে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের আতিথ্যমূলক সকল কর্মকা- এর অন্তর্ভুক্ত। বিদেশী অভ্যাগতরা আনুষ্ঠানিক তথা প্রতিনিধিত্বমূলক কোন সফরে বাংলাদেশে এলে এর আয়োজন, অভ্যর্থনা ও আতিথ্য প্রদান এবং আনুষঙ্গিক সহায়তার দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পালন ক’রে থাকে। একইভাবে, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের বৈদেশিক ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল যোগাযোগ ও আয়োজন, উচ্চপর্যায়ের সকল সাক্ষাৎকার ইত্যাদি রাষ্ট্রাচারের কর্মপরিধিভুক্ত। সমরূপ অন্যান্য কার্যাদির মধ্যে রয়েছে বিদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের পরিচয় পত্র উপস্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁদের সাক্ষাৎ ইত্যাদি আয়োজন।

(ছ) কনস্যুলার ও কল্যাণমূলক সেবাঃ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের বহুমুখী কনস্যুলার সেবা প্রদান ক’রে থাকে। বিদেশে অবস্থানকালে কোন ব্যক্তির যদি কোন প্রকার কনস্যুলার সেবার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি নিকটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ ক’রে কিংবা দেশে তাঁর নিকটজন তাঁর পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের সাথে যোগাযোগপূর্বক কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ নিম্নোক্ত সেবাসমূহ প্রদান করেঃ (১) দূতাবাসের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানাবিধ কল্যাণমূলক কাজের সমন্বয় ; (২) বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের জরুরি কনস্যুলার সহায়তাসহ অন্যান্য সেবা প্রদান ; (৩) বিধি মোতাবেক বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজের সীল ও স্বাক্ষরসমূহের প্রত্যয়ন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ কর্তৃক এই সকল সেবা সম্পূর্ণ বিনামূলে প্রদান করা হয়। (উইকিপিডিয়া হতে সংগ্রহীত)

Map of Bangladesh Foreign Ministry- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ