বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা জাতীয় পর্যায়ে চিত্ত বিনোদনের একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র হতে প্রায় ১৬ কিঃ মিঃ দূরে মিরপুরের এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে চিড়িয়াখানাটি অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে ঢাকায় সরকারী পর্যায়ে একটি চিড়িয়াখানা স্থাপনের গুরুত্ব বিশেষভাবে অনুভূত হয়। পঞ্চাশের দশকে ঢাকা হাইকোর্য় প্রাঙ্গণে সীমিতভাবে চিত্রা হরিণ, বানরসহ কয়েকটি প্রজাতির বণ্য প্রাণী নিয়ে চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু। মিরপুর এলাকায় ১৯৬০ সনে চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা কল্পে একটি মহাপরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। ১৯৬১ সনে চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপদেষ্ঠা বোর্ড গঠন করা হয়। প্রাণীদের বাসস্থান ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরী, হাইকোর্ট সংলগ্ন চিড়িয়াখানা হতে বন্যপ্রানী স্থানান্তর এবং দেশ-বিদেশের প্রানী সংগ্রহের পর ১৯৭৪ সনের ২৩ জুন জনসাধারণের জন্য বর্তমান চিড়িয়াখানাটি উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে একটি অনুপম সৌন্দর্যমন্ডীত চিড়িয়াখানায় পরিনত হয়। যেখানে বন্যপ্রাণিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনায় প্রদর্শন করা হয়।
জনসাধারণের বিনোদন, দূর্লভ, বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণী সংগ্রহ ও প্রজনন, প্রানী বৈচিত্র সংরক্ষণ, শিক্ষা, গবেষণা এবং এ বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য। সকল প্রানীর বেষ্ঠিনির সামনে বর্ননা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপন্ন প্রাণির বর্ননা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ৩৫ লক্ষ দর্শক চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকে। আবাল বৃদ্ধবনীতাসহ সকল শ্রেনীর দর্শকদের জন্য চিড়িয়াখানা একটি সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র। নগর জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় চিড়িয়াখানার সুন্দর ও প্রশান্তময় পরিবেশ দর্শকদের আকর্ষণ করে।