Banigram Sadhanpur High School

Banigram, Banshkhali, Banskhali, 4393 ,Bangladesh
Banigram Sadhanpur High School Banigram Sadhanpur High School is one of the popular High School located in Banigram, Banshkhali ,Banskhali listed under School in Banskhali , High School in Banskhali ,

Contact Details & Working Hours

More about Banigram Sadhanpur High School

কালের স্বাক্ষীঃ বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়

বাঁশখালীস্থ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়। উপজেলার উত্তরাংশে প্রকৃতির লীলাভূমি এক নিভৃত পল্লী বাণীগ্রামে ৬ একর জায়গা জুড়ে এ প্রাচীনতম বিদ্যালয় অবস্থিত। এই মহান বিদ্যাপীঠের ইতিহাস খুবই বৈচিত্রপূর্ণ ও সমৃদ্ধ। বাণীগ্রামে স্বনামধন্য প্রজাবৎসল রায় পরিবারের বাস। এই পরিবারের প্রয়াত মাগন দাস রায়ের তিন পুত্র প্রয়াত গিরিন্দ্র চন্দ্র রায়, সুরেন্দ্র চন্দ্র রায়, নগেন্দ্র কুমার রায় একটি পুরাতন পরিত্যক্ত মন্দির সংস্কার করে তার চর্তুদিকে বারান্দা প্রস্তুত করে বাণীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাদের বাড়ীতে মাগন দাস লাইব্রেরী এর বহুদিনের সঞ্চিত পুস্তকগুলি আলমারীসহ বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। পূর্বে নাতি- উচ্চ পাহাড়, পশ্চিমে ৪ কিঃ মিঃ ব্যবধানে বঙ্গোপসাগর, তথা ঐতিহ্য ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে এ বিদ্যালয় ভরপুর। ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারী ২ জন শিক্ষক প্রয়াত যোগেশ চন্দ্র দাস ও কালী কুমার আচার্য্য এবং ৭ জন ছাত্র নিয়ে এ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম বৎসর ৭ম শ্রেণী, ১৯১৮ এ ৮ম শ্রেণী, ১৯১৯ এ ৯ম শ্রেণী এবং ১৯২০ সালে ১০ম শ্রেণী খোলার পর ইহা একটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ১৯১৯ সালে এ বিদ্যালয় বাঁশখালীর প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী লাভ করেছিল। ১৯২১ সালে এ বিদ্যালয় হতে প্রথম বৎসরের মত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ৭ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে তৎমধ্যে ৫ জন ছাত্র কৃতকার্য হয়।

তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে কোন খেলার মাঠ ছিলনা। বিদ্যালয় কর্ম পরিষদ সদস্য প্রয়াত ক্ষীরোদ চন্দ্র দাস বিদ্যালয় পাহাড়ের পূর্বে ৬ কানি জমি ক্রয় করে মাঠ করার প্রস্তাব দিলেন। ১৯৩৩ সালে তৎকালীন ভারতীয় বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য বৈলছড়ি নিবাসী খান বাহাদুর আমিরুল হজ্ব (মরহুম) বদি আহমদ চৌধুরী ৬ কানি জমি ক্রয় করে বিদ্যালয় খেলার মাঠের জন্য দান করেন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান নিবাসী খান বাহাদুর (মরহুম) আব্দুল মোমিন (সি.আই.সি) বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা দান করেন। ১৯৩৬ সালের ৫ মে তদানীন্তন বিভাগীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক মরহুম খান বাহাদুর আব্দুর রহমান বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। তৎপর ১৯৩৬ সালের ২২ জুন পার্শ্ববর্তী সাধনপুর গ্রামের একটি ইংরেজী বিদ্যালয়সহ একত্রে করে বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করেন। এরপর থেকে বিদ্যালয় সরকারী সহযোগিতা পেয়ে আসছে। এছাড়া ১৯৬২ সালে বাণীগ্রামের প্রয়াত গোবিন্দ প্রসন্ন চৌধুরী ব্রহ্মদেশে ডাক বিভাগের চাকুরী থেকে অবসর যাপনকালীন সঞ্চিত সব টাকা বিদ্যালয়ে দান করে দেন। বাণীগ্রামের যুবক সমিতি বিদ্যালয়ের সাহায্যকল্পে দুইবার অভিনয়ের ব্যবস্থা করে সংগৃহীত অর্থ বিদ্যালয়ে দান করেন। মরহুম জাকেরুল হক চৌধুরীর চেষ্টায় সংগৃহীত রাতা ও খোর্দ্দ মোজাফফ্‌রাবাদ গ্রামদ্বয়ের কৈবর্ত্ত সমপ্রদায়ের দান উল্লেখযোগ্য ও প্রসংশনীয়। তাদের এ দানের কথা অবিস্মনীয় হয়ে থাকবে। ১৯৬২-৬৩ সালে বিদ্যালয় সাধারণ উন্নয়ন পরিকল্পনাভুক্ত হয়। সরকার বিদ্যালয়ের জন্য =২৯,০০০/- টাকা সাহায্য মঞ্জুর প্রদান করেন। এই টাকা দ্বারা বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানসহ যথেষ্ট আসবাবপত্র ও সাজ সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হয়।

অবস্থানঃ বাঁশখালী উপজেলা সদর হতে ১২ কিঃ মিঃ উত্তরে এবং চট্টগ্রাম শহর হতে ৩০ কিঃ মিঃ দক্ষিণে সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম এলাকায় প্রধান সড়ক হতে ৫০০ গজ দূরে পাহাড়ের উপর প্রাচীনতম এ বিদ্যালয় অবস্থিত। সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে ছাত্রাবাস (শিখ মন্দির)। ১৯৬৫ সালের পূর্বে শিখরা এ মন্দির নির্মাণ করে। বিদ্যালয়টি পাহাড়ের উপর অবস্থিত হলেও পানি, বিদুৎ সংযোগ ও গাড়ীতে যাতায়ত সুবিধা বিদ্যমান। বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় উপজেলার প্রথম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাব-পোষ্ট অফিস ও সরকারী হাসপাতাল রয়েছে। বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মূল ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ২টি বিজ্ঞান ভবন, ছাত্রী মিলনায়তন, নতুন ছাত্রাবাস, ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টম্যান্ট নির্মিত নতুন ভবন, শিক্ষক মিলনায়তন ও বড় আকারের একটি মসজিদ আছে। উল্লেখ্য প্রশাসনিক ভবনে একটি বড় মিলনায়তন এবং মূল ভবনে একটি গ্যালারী আছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের চর্তুদিকে ৩০০ গজ এলাকার মধ্যে কাঁটা তারের বেড়া বিদ্যমান।

কৃতিত্বঃ ১৯৪৮ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের ৮ জন ছাত্র ঢাকা ও কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তারা হচ্ছেন ১৯৪৮ সালে জগদানন্দ ওয়াদাদার (৯ম স্থান), ১৯৬৭ সালে মোঃ আবু তাহের (১০ম), মোঃ হারন-অর-রশীদ (১২তম), ১৯৭৭ সালে মোজাম্মেল হক (৫ম), ১৯৮০ সালে মোঃ নূরুল আলম (৭ম), ১৯৮২ সালে মোঃ জহুরুল আলম, মোঃ আব্দুল মোনায়েম এবং ১৯৮৪ সালে আব্বাস উদ্দীন আহমদ। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি পরীক্ষায় ১২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৮ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় তৎমধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১২ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলায় ২য় স্থানসহ ৮ জন শিক্ষার্থী মেধা ও সাধারণ বৃত্তি লাভ করে উপজেলার সর্বাধিক বৃত্তিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি অর্জন করে। এছাড়া প্রতি বছর জেলা শিক্ষক সমিতি ও অন্যান্য সংস্থা প্রদত্ত বৃত্তি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে আসছে।

খেলাধূলাঃ খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফলতা অর্জন করে আসছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ছাত্র-ছাত্রদের চারটি হাউস- নজরুল, রবীন্দ্র, শহীদুল্লাহ্‌ এবং আলাওল ভিত্তিতে ফুটবল, ক্রিকেট, কবিতা পাঠ, রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত, পল্লীগীতি, জারিগান, বির্তক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে অ্যালেটিকস্‌ এ বিদ্যালয় পরপর চার বছর সর্বাধিক পয়েন্ট পেয়ে উপজেলার শীর্ষস্থান অর্জন করে। আন্তt স্কুল মাদ্রাসা ফুটবল প্রতিযোগিতায় এ বিদ্যালয় পরপর দুই বার উপজেলা চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং বিভিন্ন সময়ে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ২য় রাউন্ডে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ১৯৬০ সালে মোগল ও বেলুচ নামের তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ২টি টিম এ বিদ্যালয় মাঠে টিকেট পদ্ধতিতে খেলা খেলে অর্জিত অর্থ ঘূর্ণিদূর্গতদের মাঝে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশে অভিনয়ের পূর্বে নায়িকা পূর্ণিমা বিশ্বাস এ বিদ্যালয় নাঠ্য মঞ্চে অভিনয় করেন। এছাড়া দেশের নামকরা গায়িকা কবরী, অঞ্জুঘোষ প্রমুখ এ বিদ্যালয় নাট্য মঞ্চে অভিনয় করেন। এসবের নেতৃত্ব দিতেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও সংস্কৃতমনা ব্যক্তিত্ব প্রয়াত সুশীল চন্দ্র রায় (প্রকাশ পেলু বাবু)। উলেস্নখ্য সি.ও. ডেভেলপমেন্ট প্রশাসনিক পদ্ধতি থাকাকালীন বাঁশখালী উপজেলার সব খেলাধুলা এ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হত।
এস.এস.সি. পরীক্ষা কেন্দ্রt ১৯৬৯ সাল থেকে বাঁশখালীতে এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু থাকলেও মূলতঃ কেন্দ্রটি বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ ছিল। উপজেলার ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি মাত্র এস.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্র অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। বাঁশখালীর উত্তর প্রান্ত হতে উপজেলা সদরের দুরত্ব প্রায় ২৫ কিঃ মিঃ। এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা কষ্ঠসাধ্য ব্যাপার। এসব বিষয় বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম ৯৭ বছরের পুরনো এ বিদ্যালয়কে ২০০১ সাল হতে এস.এস.সি. পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দেন। কেন্দ্রটির কোড নং-১৭১ এবং নাম এস.এস.সি. পরীক্ষা কেন্দ্র, বাঁশখালী-২। এ কেন্দ্র অনুমোদনের ফলে বাঁশখালীর উওরাঞ্চলের অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি ও ছাত্র-ছাত্রীদের বহু দিনের কাঙ্কিত স্বপ্ন পূরণ হয় এবং বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সংযুক্ত হয়।

প্রধান শিক্ষক মন্ডলীঃ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে ১৭ জন প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেন সর্ব জনাব- ১। কালী প্রসন্ন ভট্টচার্য্য (১৯১৭-১৯১৮), ২। সুধাংশু বধন চৌধুরী (১৯১৮-১৯১৯), ৩। কৃষ্ণ ধন বিশ্বাস (১৯১৯-১৯২১), ৪। যামিনী রঞ্জন চৌধুরী (১৯২১-১৯২২), ৫। মহিম চন্দ্র দত্ত চৌধুরী (১৯২২-১৯২২), ৬। রাধিকা প্রসন্ন গুহ (১৯২২-১৯২৯), ৭। যশোদা রঞ্জন চক্রবর্ওী (১৯২৯-১৯৩০), ৮। রমনী মোহন শর্ম্মা (১৯৩০-১৯৩২), ৯। জো্যতি ভূষণ সেন (১৯৩৩-১৯৩৪), ১০। শৈলেশ চন্দ্র গাঙ্গুলী (১৯৩৪-১৯৩৫), ১১। গৌরী শঙ্কর সিকদার (১৯৩৬-১৯৪১), ১২। বিনোদ রঞ্জন আইচ (১৯৪১-১৯৬১), ১৩। জগৎবন্ধু দে (১৯৬১-১৯৭২), ১৪। মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরী (১৯৭২-২০০২), ১৫। আবুল কালাম আজাদ (ভারপ্রাপ্তঃ ২০০২-২০০২), ১৬। গুরুপদ দাশ (২০০২-২০০৬), ১৭। এম. তাহেরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) (২০০৬-২০১১), ১৮। বিজেশ কান্তি চৌধুরী (২০১২-২০১২) ১৯। হৃষিকেষ ভট্টচার্য্য (২০১৩-অধ্যাবধি)। উলেস্নখ্য মুহাম্মদ নাদেরুজ্জামান চৌধুরী এম.এ, বি.এড, সর্বাধিক সময় (প্রায় ৩০ বৎসর) প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরিচালনা পরিষদঃ বিদ্যালয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ রয়েছে। এই পরিষদের সভাপতি হচ্ছেন সাধনপুর ইউ.পি. চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সভাপতি পরিষদ বাঁশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, দাতা সদস্য খোন্দকার মোহাম্মদ ছমি উদ্দীন, উল্লেখ্য তিনি ১৯৯৪ সাল হতে সুষ্ঠুভাবে বিদ্যালয় পরিচালনায়, শিক্ষার মান উন্নয়নে ও প্রসারে ব্যাপক অবদান রেখে আসছেন। পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন অভিভাবক সদস্য- ডা. নীরেন্দ্র লাল দে, এম. তাহেরুল ইসলাম, আলী হোসেন, মো. শহীদুল হক, শিক্ষানুরাগী সদস্য- সুধীন্দ্র দেওয়ান, মহিলা সদস্য- বনলতা মিত্র চৌধুরী, শিক্ষক প্রতিনিধি- নেপাল কান্তি দাশ, মো. নূরুল কাদের ও জিনাত রেহেনা এবং প্রধান শিক্ষক পদাধিকার বলে সম্পাদক।

শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীঃ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারী ও ৪ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা- ৯৫০ জন। তৎমধ্যে প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রী। ছাত্রাবাসে থাকে প্রায় ৩৫ ছাত্র ও ৪ জন শিক্ষক। যারা বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন প্রধান শিক্ষক হৃষিকেষ ভট্টচার্য্য, সম্মানিত শিক্ষক- নেপাল কান্তি দাশ, নূরুল কাদের, কিরণময় ভট্টচার্য্য, জিনাত রেহেনা, মাওলানা ইলিয়াস উদ্দীন সিদ্দিকী, প্রদ্যুৎ মিত্র চৌধুরী, আব্দুল হালিম, প্রতুল ভট্টচার্য্য, রঞ্জিত ভট্টচার্য্য, পাঁচুলাল দেব দাশ ও রুপন কান্তি দেব। অফিস সহকারী-পঞ্চানন দে, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী-নির্মল কান্তি রুদ্র, রসময় চৌধুরী, যদুনন্দন চৌধুরী, অমল দে।

অন্যান্য প্রসঙ্গঃ বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের নাগপাশ হতে মুক্তিলাভের জন্য যখন এ দেশের জনসাধারনকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল ঠিক তখনই কর্তব্য কঠিন শপথ নিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং বহু ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাঁশখালী উপজেলার প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ২০০১ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কম্পিউটার প্রকল্পে বাঁশখালী উপজেলায় এই বিদ্যালয়ের নাম প্রথম অন্তভুক্ত হয় এবং ০৩/০৮/২০০১ তারিখে কম্পিউটার বিষয় খোলার অনুমতি লাভ করে। ২০০৩ সাল থেকে এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এস.এস.সি পরীক্ষায় কম্পিউটার বিষয়ে অংশগ্রহণ করে আসছে।

৯৮ বৎসরের পুরনো এ বিদ্যালয়ের হাজার হাজার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী দেশে ও বর্হি বিশ্বে বিভিন্ন পেশায় সম্মান জনক আসনে অধিষ্ঠিত। প্রাক্তন সংসদ সদস্য, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ও উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত আছেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র।

অনাগত ভবিষ্যতেও, সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হোক এ বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা, এই প্রত্যাশা সবারেই।

Map of Banigram Sadhanpur High School