আপনি বাঁকুড়ার বাইরে থাকেন? কিন্তু শিকড়ের টান পড়ে আছে বাঁকুড়ায়? কিম্বা বাঁকুড়ার ঐতিহ্য সংস্কৃতি জানতে চান, কিন্তু জানা হয় না?--বাঁকুড়া পেজ আপনাদেরই খুঁজে দেবে বাঁকুড়ার প্রকৃতি, চিনিয়ে দেবে তার মূলীভূত সংস্কৃতিকে। বাঁকুড়াকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই বাঁকুড়া পেজের উদ্দেশ্য। কিন্তু এই উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাঁকুড়ায় তোলা নানান ছবিতেই সীমাবদ্ধ নয়। একবার ঘুরে যান পেজে। আপনার মনে হবেই, যেন আপনার চোখের সামনে ভাসছে একটি গাইডবুক। আমরা তুলে ধরি বাঁকুড়ার ইতিহাস, পুরাতত্ত্বকে। শুধু বিষ্ণুপুরেই সীমাবদ্ধ নয়, বাঁকুড়ার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে আছে অসাধারণ সব প্রাচীন মন্দির। সেই স্বল্পালোচিত প্রাচীন মন্দির এতে দেখতে পাবেন। দেখতে পাবেন বাঁকুড়ার প্রাকৃতির ঐশ্বর্যের স্থান, শুশুনিয়া, বহারীনাথ, কোড়ো পাহাড়, মুকুটমণিপুর যেন আপন আপন স্বতপ্নত্র সৌন্দর্যের ধারা ছুঁইয়ে দিয়েছে বাঁকুড়ার স্থানে স্থানে। আমরা বলি বাঁকুড়ার প্রখ্যাত ব্যক্তিদের কথা, এনাদের কথা শেয়ার করতে আমরা গর্ব অনুভব করি। ভাবতে আশ্চর্য লাগে এই লালকাঁকরের দেশেই জন্মেছিলেন বিশ্বজননী সারদা দেবী, জন্মেছিলেন বিশ্ববরেণ্য শিল্পী রামকিঙ্কর, যামিনী রায়, বাঁকুড়া পেয়েছিল বিশ্ববরেণ্য সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঁকুড়া ধন্য হয়েছিল ঋষিকল্প গোবিন্দপ্রসাদ, অনিলবরণ রায়, হরিহর মুখোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণদাসের মত সুযোগ্য সন্তানদের পেয়ে। আমরা গর্ব করি বাঁকুড়ার শিল্পের খ্যাতিকে তুলে ধরে। শুশুনিয়ার পাথরের শিল্প, বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা, পাঁচমুড়ার ঘোড়া,বিকনার ডোকরা আমাদের বাঁকুড়াকে অনন্য শিখরে পৌছে দিয়েছে, এই শিল্পগুলিতে আমরা পেয়েছি একাধিক রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের। শুধু তাই নয়, গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুর, বর্ষায় গন্ধেশ্বরীর উচ্ছল বন্যা, শরতের কাশে মোড়া সাদা প্রান্তর, হেমন্তের পাঁচরঙা ধানের মাঠ, শিতে নলেন গুড়, বসন্তের ফাগের আগুনরঙা প্রকৃতি--সবই উঠে এসেছে আমাদের এই প্রিয় পেজে। পেজটি তাই বাঁকুড়ার ওয়েবদুনিয়ার পরিপূরক হয়ে উঠেছে। আমাদের এই কাজে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন। আমাদের পাশে থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথকে আরও মসৃণ করে তুলবেন এই আশা রাখি।।