চাঁদ মামা সম্পর্কে কিছু কথা-
প্রস্নঃ চাঁদমামা কি এবং চাঁদমামা’র কাজ কি?
উত্তরঃ চাঁদমামা একটা পাবলিক লিমিটেড অর্গানাইজেশন।অনেক গুলো ভিন্নধর্মী আইডিয়ার সম্মিলিত রূপ হচ্ছে চাঁদমামা। চাঁদমামা সামাজিক কাজ থেকে শুরু করে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন করে উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে এবং সারা দেশকে কানেক্ট করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে চাঁদমামা অপরিসীম ভুমিকা রাখবে। প্রতিটি গ্রামের নামে একটি করে ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে যেখানে ঐ গ্রামের সবরকমের তথ্য থেকে শুরু করে ঐ গ্রামের খবর গুলো তুলে নিয়ে আসবে গ্রামের উদ্যোক্তারা। গ্রামের প্রতিটি উদ্যোক্তা এই ওয়েব-সাইটকে ভিত্তি করে গ্রামের মানুষকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
যেমনঃ বিজ্ঞাপন, অনলাইনে পন্য বিক্রয়, ভ্রমন প্যাকেজ, বাস, ট্রেন, প্লেনের ই-টিকেট, তথ্য, খবর, সার্ভে, পণ্য এবং ব্র্যান্ড মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি আরও বিভিন্ন রকমের আয় করার সুযোগ আছে। বাংলাদেশে মোট ৮৭,১৯১(সাতাশি হাজার একশত একানব্বই) টি গ্রাম, ৪,৫৫০ (চার হাজার পাঁচ শত পঞ্চাশ) টি ইউনিয়ন, ৫৬০ (পাঁচ শত ষাট)টি থানা, ৬৪ (চৌষাট্টি)টি জেলা, ৮ (আট) টি বিভাগ রয়েছে।প্রতিটি স্থানে মাত্র ১জন করে উদ্যোক্তা নিয়ে চাঁদমামা এগিয়ে যাবে।
চাঁদমামার সামাজিক কাজঃ-
• চাঁদমামা’র উদ্যোক্তারা প্রতিটি গ্রামের স্বেচ্ছাই রক্ত দাতার নাম লিপিবদ্ধ করে একটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা জন-সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে রক্তের প্রয়োজনীয়তা বা অভাব দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। যেমনঃ বাংলাদেশে বছরে ৯ (নয়) লক্ষ ব্যাগ রক্তের দরকার। প্রতিটি গ্রামে ১০০ (একশ) জন করে রক্তদাতা লিপিবদ্ধ হলে সারা বাংলাদেশে প্রায় ১ (এক) কোটি রক্তদাতার নাম, মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করা হবে।ফলে যেকোন সময়, যেকোন স্থানে রোগীর জন্য রক্ত ব্যবস্থা করা সহজ হবে।
• বয়স্ক শিক্ষা প্রদান। চাঁদ মামার উদ্যোক্তারা প্রতিটি গ্রামে ১০ জন করে বয়স্ক মানুষকে স্বাক্ষরতা বা শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব নিলেই সারাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ বয়স্ক শিক্ষিত বাড়বে।
• বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়ে গ্রামের উদ্যোক্তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কাজে ভুমিকা রাখবে।
• জন সচেতনতা মূলক কাজ করে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোক্তারা অনেক বেশি ভুমিকা রাখতে পারবে। যেমনঃ বাল্য বিবাহ, যৌতুক, এসিড নিক্ষেপ, কুসংস্কার ইত্যাদি।
• পথ শিশুরাই একটা দেশের বোঝা এবং এদের মাধ্যমেই দেশের বেশির ভাগ সন্ত্রাসী, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, মাদক চোরাচালান ইত্যাদি সংঘটিত হয় । বাংলাদেশের সকল পথ শিশুদেরকে পযায়ক্রমে জেলা ভিত্তিক পুর্নবাসনের মাধ্যমে থাকা, খাওয়া, পড়া-লেখা ইত্যাদির দায়িত্ব চাঁদমামা নিবে।ফলে দেশ এবং বহিঃরবিশ্বের দাতা সংস্থা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন।
• প্রতিটি গ্রাম থেকে ১০ (দশ) জন করে স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে পারলেই পরিষ্কার কর্মসূচি থেকে শুরু করে জন-সচেতনতা মূলক অনেক কাজ করা সম্ভব।
চাঁদমামা’র বিভিন্ন প্রকল্প সমুহঃ-
বাংলাদেশের তথ্য ভান্ডার-প্রতিটি গ্রামের নামে যে ওয়েব-সাইট দেওয়া হবে সেখানে ৮৯ (ঊননব্বই) ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা উদ্যোক্তারা লিপিবদ্ধ করলে ঐ গ্রাম সম্পর্কে জানার আর কিছুই বাকি থাকবে না। অর্থাৎ একটি গ্রামের সব রকমের তথ্য দিয়ে ঐ গ্রামের ওয়েব-সাইট সাজানো হবে। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখবে চাঁদমামা ।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল- প্রতিটি গ্রামের উদ্যোক্তা তাদের গ্রামের ছোট বড় সকল খবর তাদের গ্রাম ওয়েব-সাইটে পোস্ট করলে সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ (পাঁচ) লক্ষ খবর চাঁদমামা ওয়েব-সাইটে আসবে । সেখান থেকে বাছাই করা খবর নিয়ে প্রচার করা হবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামের খবর নিয়ে এই প্রথম সারা বাংলাদেশের ১০০% খবর সংগ্রহে সবচাইতে মানসম্পন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হবে চাঁদমামাডটনিউজ (WWW.CHANDMAMA.NEWS)। কারণ বাংলাদেশের কোন মিডিয়া ৫৬০ (পাঁচ শত ষাট) টি থানা পর্যায়ে ও প্রতিনিধি দিতে পারে নাই।
দৈনিক চাঁদমামা- অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর পরেই চাঁদমামা রূপ নিবে দৈনিক চাঁদমামা হিসেবে । কারন আমরাই ১০০% খবর সংগ্রহ করি। তাই আমরাই সবচাইতে মানসম্পন্ন দৈনিক।
চাঁদমামা এফএম নিউজ রেডিও –একই সংবাদ দিয়ে এফএম নিউজ রেডিও ২৪ ঘণ্টা খবর প্রচার করে দেশবাসীর কাছে সহজেই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
চাঁদমামা টিভি- ২৪ঘণ্টার খবরের টিভি চ্যানেল এর আসল স্বাদ এখনো বাংলাদেশে পাওয়া যায় না, কারন ২৪ঘণ্টার খবরের সংগ্রহে সব মিডিয়া অপারগ। তাই আমরাই পারব ২৪ঘণ্টার খবরের আসল স্বাদ বাংলাদেশবাসীকে দিতে।
মোবাইল মানি সার্ভিস- দেশের অন্যান্য মোবাইল মানি সার্ভিস এর মত আমাদেরও একটা(এক্যাশ/সিক্যাশ)সম্ভাব্য নামের মোবাইল মানি এর প্রকল্প ডিজাইন করা আছে। যা দেশের বাহিরের একটি সংস্থার অনুদান পাওয়ার প্রেক্ষিতে শুরু করা হবে।
মার্কেটপ্লেস সাইট – আমাদের মার্কেটপ্লেস এর নাম বেচেদেনডটকম (WWW.BECHEDEN.COM) যা বাংলাদেশের অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে অন্যতম হবে।
অনলাইন ফুড সার্ভিস/মেডিক্যাল সার্ভিস-সারা বাংলাদেশে অনলাইন খাবার এবং মেডিক্যাল সার্ভিস দিয়ে চাঁদমামা খুবই দ্রুত পরিচিত হয়ে ওঠবে।
অনলাইন সুপারশপ- অনলাইনে সকল ধরনের পণ্য বিক্রয় এবং ডেলিভারি সার্ভিসে চাঁদমামা এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।
চাঁদমামা ই-কুরিয়ার – নিজের ঘরে/অফিসে বসেই আপনার ডকুমেন্ট, পণ্য ইত্যাদি বুকিং করে পাঁঠাতে পারেন আপনার প্রিয়জনের কাছে দেশের যেকোন প্রান্তে। কারণ সারা বাংলাদেশ আমাদের কাভারেজ এর আওতায়।
অনলাইন সি ই-মেইল সার্ভিস, সি ভিডিও চ্যানেল, সার্চইঞ্জিন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি সকল প্রকারের অনলাইন সার্ভিস বাংলাদেশে দিতে প্রস্তুত চাঁদমামা।
পণ্য এবং ব্র্যান্ড মার্কেটিং- দেশের এবং দেশের বাহিরের অনেক পণ্য এবং ব্র্যান্ড কোম্পানি মার্কেটিং এর জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ করে।আমরা প্রতিটি গ্রামে ১ (এক) মাসে ১০০ (একশ) জন মানুষের কাছে এসব পণ্য এবং ব্র্যান্ডের ওরাল/মুখে মার্কেটিং করলে অনেক বেশি ফলাফল পাওয়া যাবে। প্রতিদিন ৩ জন করে প্রতি গ্রামে মার্কেটিং করে তাদের থেকে নাম, মোবাইল নাম্বার, মেইল ঠিকানা নিয়ে নিলে মাসে ১০০ জন হয়। সারা বাংলাদেশে ১ কোটি গ্রাহকের কাছে ১ মাসে যেকোন পণ্যের বা ব্র্যান্ডের মার্কেটিং করে উদ্যোক্তারা অনেক বেশি আয় করতে পারবে।
পণ্য আমদানী- চাঁদমামা বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিদেশ থেকে আমাদানী করবে এবং উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে তা বাজার জাতকরন করবে।ফলে এই খাত থেকে আমরা অনেক বেশি লাভবান হতে পারব।
পণ্য শিল্প গড়ে তোলা- অবশেষে আমরা পণ্য শিল্পে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের মাধ্যমে এবং নিজেরাই পণ্যের ভোক্তা হিসেবে ভাল একটা অবস্থান তৈরি করতে পারব।
প্রস্নঃ চাঁদমামা নাম করণ কেন?
উত্তরঃ ২ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে সকলের কাছে মনে থাকার মত একমাত্র বাংলা শব্দ হল চাঁদমামা । চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নাই সূর্যের আলো নিয়েই চাঁদ পৃথিবীকে আলোকিত করে। আমাদের এই অর্গানাইজেশন এর সকল উদ্যোক্তারা হলেন সূর্য যাদের আলোতে আলোকিত হয়ে আবার তাদেরকেই আলোকিত করার পত্যয় নিয়ে কাজ করছে চাঁদমামা।