মিসেস নাির্র্গস সুলতানা ঐতিহ্যবাহী কুমল্লিা মডার্ন হাই স্কুলের সুযোগ্য প্রধান শিকিা। তিনি ১৯৫০ সালে সিলেট জেলায় এক সম্ভ্রান্ত্ম মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জনাব হাজী মোহাম্মদ জান ও মাতার নাম বেগম নিলুফার চৌধুরী। তাঁর পিতা র্কম জীবনে পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন। তিনি একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। ১৯৬৬ সালে মিসেস নাির্র্গস সুলতানা নোয়াখালী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এস,এস,সি পরীায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৬৮ সালে এইচ,এস,সি এবং ১৯৭০ সালে স্নাতক পাশ করেন। পরর্বতীতে তিনি অত্যন্ত্ম কৃতিত্বের সহিত কুমল্লিা টির্চাস ট্রেনিং কলেজ থেকে ১ম শ্রেনীতে বি.এড ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি অধ্য আফজল খান এডভোকেটের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক কন্যা ও তিন পুত্রের জননী। তাঁর কন্যা আনজুম সুলতানা সীমা রাজনীতি ও সমাজ সেবার সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত। তিনি কুমল্লিা পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর বড় ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং কুমল্লিা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লিগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। দ্বিতীয় ছেলে আজম খান নোমান একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং তৃতীয় ছেলে নাসরুললাহ খান আরমান একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
১৯৯৩ সালে কুমল্লিা মডার্ন হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তিনি সহকারী শিক হিসাবে দতা ও যোগ্যতার স্বার রাখেন। ১৯৯৭ সালে তিনি প্রধান শিক হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন। প্রধান শিকিা হিসাবে তাঁর অকান্ত্ম পরিশ্রম ও সুদ পরিচালনায় বিদ্যালয়টি অতি অল্প দিনে একটি আর্দশ বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়। তাঁর সুপরিকল্পিত পরিচালনায় বিদ্যালয়টি ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারী ভাবে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয হিসাবে স্বীকৃতি পায়। ২০০৫ সালে তিনি সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ প্রধান শিকিা হিসাবে স্বীকৃতি ও পুরষ্কার লাভ করেন। উত্তম ফলাফলের ধারাবাহিকতায় তাঁর নেতৃত্বে ২০১০ সালে এস,এস,সি পরীায় ৩২০ টি জিপিএ-৫ সহ অতি উত্তম ফলাফল করে এবং ২০১০ সালে কুমিলা বোর্ডে প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীায় কুমিলা শিা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান লাভ করার গৌরব অর্জন করে। ২০১০ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু আর্ন্ত্মজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বি.এস. বি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সংর্বধনায় সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিকিার পুরষ্কার লাভ করেন। এই পুরষ্কার তিনি সুযোগ্য ম্যানেজিং কমিটি, ছাত্র-ছাত্রী, শিক শিকিা, অভিভাববক বৃন্দ তথা কুমল্লিা বাসীর উদ্দেশ্যে উৎর্সগ করেন।
কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অঞ্চলের মানুষের বহুদিনের আশা ও আকাঙ্খা ছিল একটা যুগোপযোগী, মানসম্মত ও আধুনিক বিদ্যালয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করানো। সেই আকাঙ্খা হৃদয়ে ধারন করে কুমিল্লার সিংহপুরুষ, বহু শিা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দানবীর অধ্য আফজল খান এডভোকেট এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের মনের মধ্যে তাদের আস্থার মনিকোঠায় স্থান করে নেয়। ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাল ফলাফল করতে শুরু করে। এই জনপদের মানুষ বিদ্যালয়টিকে নিজেদের আকাঙ্খার বিদ্যালয় হিসাবে গ্রহণ করে। ছাত্র সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়টিতে দুই শিফট চালু করা হয়। প্রভাতী শাখায় ছাত্রী ও দিবা শাখায় ছাত্রদের পাঠদান করা হয়। ফলে বিদ্যালয়ের শিার মান ও ফলাফল উত্তোরোত্তর ভাল হতে থাকে। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে সরকারীভাবে স্বীকৃতি পায়।
২০০৫ সালে অত্র বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিকিা নার্গিস সুলতানা শ্রেষ্ঠ প্রধান শিকিা হিসাবে সরকারীভাবে স্বীকৃতি এবং পুরষ্কার লাভ করেন। বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে এস.এস.সি পরীায় কুমিল্লা বোর্ডে সর্বাধিক ৩২০টি জিপিএ ৫.০০ (এ +) পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব লাভ করে। বিদ্যালয়টির পাশের হার ছিল ৯৯.৫৬%। একই বছর প্রথমবারের মত জে.এস.সি পরীায় কুমিল্লা বোর্ডে ২য় স্থান অধিকার করে এবং পাশের হার ছিল ৯৯.৩৫%। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রভাতী ও দিবা শাখা মিলিয়ে সর্বমোট ৫১২৩ (পাঁচ হাজার একশত তেইশ) জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল বৃহত্তর কুমিল্লা তথা অত্র অঞ্চলের মানুষের আশা, আকাঙ্খা স্বপ্ন ও আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়ে বীরদর্পে এগিয়ে যাবে চূড়ান্ত্ম ল্েয।
অধ্য আফজল খান এডভোকেট কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। কুমিল্লার গণ মানুষের নেতা ও কুমিল্লার সিংহ পুরুষ অধ্য আফজল খান বহু স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। অধ্য আফজল খান এডভোকেট ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন আন্দোলন,সংগ্রাম, লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৬২ সালের হামিদুর রহমান শিা কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে কুমিল্লার ছাত্র সমাজের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৫-৬৬ কুমিল্লা সনে ভিক্টোরিয়া কলেজ সংসদেও নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। তখন থেকে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর, চতুরদিক দিয়ে ওয়াল বেষ্টিত। অনুমতি ব্যতিত কোন শিক ও ছাত্র/ ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে বাইরে যেতে পারে না। কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প থেকে শিশুদের ও সকল ধরনের টিকার ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত ক্রিমির টেবলেট খাওয়ানো হয়। নিদিষ্ট শিক/শিকা প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিন প্রাপ্ত।
ছাত্র/ছাত্রীরা অসুস্থ হলে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বিদ্যালয়ের প থেকে হেপাটাইটিস বি টিকার ব্যবস্থা করা হয়।
কুমল্লিা মডার্ণ হাই স্কুল দুই শিফ্ট এ বিভক্ত প্রভাতী ও দিবা শাখা। প্রভাতী শাখায় মেয়েরা এবং দিবা শাখায় ছেলেরা অধ্যায়ন করছে। প্রভাতী ও দিবা এই দুই শাখায় একজন প্রধান শিক দ্বারা পরিচালিত। দুই শাখায় দুজন সহকারী প্রধান শিক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। উভয় শাখায়ই পৃথক পৃথক শিক মন্ডলী রয়েছেন। প্রভাতী শাখায় শিকের সংখ্যা ৫৪ জন। দিবা শাখায় শিকের সংখ্যা ৬০ জন।
প্রভাতী শাখা সকাল ৭.০০ থেকে ১২.০০টা র্পযন্ত। দিবা শাখা ১২.৩০ থেকে ৫.৩০ র্পযন্ত। বিষয় ভিত্তিক শিকদেরকে স্কুল বেইস ট্রেনিংয়ের ব্যবন্থা রয়েছে। প্রতিদিন শিকগণ পাঠপরিকল্পনা প্রধানশিকের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হয়।