বাংলাদেশের জন্ম, গণতন্ত্র চর্চা ও মেধার বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছাত্র সংসদের নিয়মিত কার্যাবলীর অন্যতম ছিল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসরণে দেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদগুলো নিয়মিতভাবে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু করে। দেশ বিভাগের পূর্ববর্তী সময়ে এই অঞ্চলে বিতর্ক বেশ উচ্চমান অর্জন করে। ১৯৪৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিতর্ক দল ঢাকা সফরে আসে এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল বিতর্ক দলের সাথে এক প্রীতি বিতর্কে অংশগ্রহণ করে। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের গর্ভণর এতে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫০ ও ৬০এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক চর্চা আরও বৃদ্ধি পায়। এখানে বিতর্ক করা শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে বেশ সফলতা লাভ করেন। তৎকালে বিতর্কে পারদর্শীতাহীন কোন ছাত্রনেতার কথা চিন্তাই করা যেত না। বিতর্ককে ব্যাপকভাবে চর্চা ও স্থায়ীত্ব দেবার মত তখন কোন প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি ছিলনা। এই স্থবিরতার ছেদ ঘটিয়ে অবশেষে ১৯৮২ সালের ১৭ অক্টোবর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি’ গঠিত হয় যা ১৯৮৮ সালে নামকরণ হয় ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি' (ডি ইউ ডি এস) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে বিতর্ক বিষয়ে সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত একমাত্র কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন। সময়ের পরিক্রমায় ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’ একটি চলমান ও প্রাণবন্ত সংগঠনে রূপ নিয়েছে যা বাংলাদেশের বিতর্ক আন্দোলনের কর্ণধার হিসেবে অদ্যবধি কাজ করে যাচ্ছে।