Gopalpur Upazila Tangail

Gopalpur Sadar, Tangail, 1990 ,Bangladesh
Gopalpur Upazila Tangail Gopalpur Upazila Tangail is one of the popular Public & Government Service located in Gopalpur Sadar ,Tangail listed under City in Tangail , Public places in Tangail , Police Station in Tangail ,

Contact Details & Working Hours

More about Gopalpur Upazila Tangail

Political Map of Gopalpur Upazila - Tangail District
Gopalpur Upazila Map - Tangail District
গোপালপুর উপজেলা মানচিত্র - টাঙ্গাইল জেলা Gopalpur Upazila (tangail district) with an area of 193.37 sq km, is bounded by madhupur upazila on the north, ghatail and bhuyapur upazilas on the south, Ghatail and Madhupur upazilas on the east, sarishabari and Bhuapur upazilas on the west. Main rivers are Jhinai, atrai and Bairan; main depressions are Helancha Beel, Barashila Beel and Gaila Beel.

Gopalpur:
(Town) consists of 9 wards and 35 mahallas. The Gopalpur municipality was established in 1974. It has an area of 23.12 sq km. The town has a population of 52131; male 50.72%, female 49.28%. The literacy rate among the town people is 40%. It has one dakbungalow

Administration:
The Gopalpur thana, now an upazila, was established in 1920. The upazila consists of one municipality, 10 union parishads, 162 mouzas and 146 villages.
Archaeological relics and monuments Khamarbari Mosque and Anandamoi Kali Mondir.

Marks of War of Liberation:
Mass killing site 1, mass grave)1, memorial 1.

Population: 252747; male 50.98%, female 49.2%; Muslim 95.5%, Hindu 4.4% and others 0.1%.

Literacy and educational institutions:
Average literacy 28.4%; male 33.8%, female 22.7%. Most noted are Gopalpur College, Suti V.M. High School, Jhoail Rani Hemantakumari High School.
Locally published newspapers and periodicals Gopalpur Barta, Boiran Sahitya Patra.

Land use:
Total land under cultivation 15510 hectares; single crop11%, double crop 49% and treble crop land 40%. Land control Among the peasants 40% are landless, 30% small, 20% intermediate and 10% rich.

Value of land The market value of the land of the first grade is Tk 6000 per 0.01 hectare.

Main crops Paddy, jute, wheat, mustard seed, pulse,onion and garlic.Extinct and nearly extinct crops Linseed, kaun, china, barley, local varieties of paddy.

Atrai River:
One of the sacred rivers mentioned in the mahabharata. Its ancient name was Atrei. It originates about 10 km northeast of Shiliguri town of west bengal (India). Then it flows west of the jamuna. It is the westernmost distributary of the brahmaputra. It changes its name from karatoya to Atrai near khansama upazila of dinajpur district. It again enters Bangladesh through naogaon district. The channel bifurcates northwest of chirirbandar and unites again southwest of it. The western part is called the Gabura and the eastern part the Kankra. It flows through the eastern part of Dinajpur town and enters West Dinajpur of West Bengal after passing through Bhusir Bandar and Samjia Ghat. The river then flows due south to manda upazila dividing the east-central and west-central parts of the barind tract. It flows south and turns southeast, then flows through chalan beel and meets the hurasagar river. It meets Jamuna near Baghabari through Hurasagar. The Atrai has several tributaries of which the punarbhaba is the best known. Fakirni and Baral on the rightbank and the Karatoya on the leftbank also deserve mention
গোপালপুর উপজেলা সম্পর্কিত সাধারন ইতিহাস ও তথ্য

পরিচিতিঃ
ব্রক্ষপুত্র পলল ভূমির চত্বর নিয়ে গড়ে উঠেছে গোপালপুর উপজেলা। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, এ মৃত্তিকার আনুমানিক বয়স প্রায় দুই হাজার বছর। সমতল ডাংগা এবং বিল নিয়ে গঠিত এ চত্বর বর্ষাকালে সাময়িকভাবে পস্নাবিত হয। ব্রক্ষপুত্র ও যমুনার পলি অবক্ষেপন এবং বৈরান, ঝিনাই ও ক্ষীনকায়া আত্রাই নদীর ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে গোপালপুর। যমুনার ভাঙ্গনে এ উপজেলার মানচিত্র বহুবার পরির্তিত হয়।
নামকরনঃ
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ কর্তৃক ২০০৮ সালে প্রকাশিত ‘ টাঙ্গাইল জেলায় স্থাননাম বিচিত্রা’ নামক গ্রন্থে গোপালপুর নামকরণ নিয়ে দু ধরনের মতামতের উলেস্নখ রয়েছে। প্রথমত-মুঘল শাসনামলে গোপাল শাহ নামক একআফগান দরবেশ এখানে এসে আসত্মানা গড়েন। এ গোপাল শাহের নামুনুসারে নাম হয় গোপালপুর। দ্বিতীয়ত-চট্রগ্রাম থেকে আগত গোপাল জমিদার রাণীভবানীরনিকট হতে এ মৌজ পত্তনি নেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরম্ন করেন। তার নামানুসারে নাম হয় গোপালপুর। এখানে পুর বলতে বাড়ী আসত্মানা বুঝানো হয়েছে। শেষের অভিমত অধিকতর সঠিক বলে মনে হয়। ১৯০৪ সাল পর্যমত্ম গোপালপুর মৌজা হিন্দু অধ্যুষিত ছিল এবং হিন্দু মহাজনরা বৈরান নদীর তীরে গেপালপুর মৌজার নন্দনপুর এলাকায় পাটের কারখানা গড়ে তুলেন। হিন্দু ব্যবসায়ীরা এখানকার কারখনায় বেলিং করা পাট বৈরান নদী হয়ে কোলকাতায় চালান দিত।
অবস্থানঃ
পূর্বে ঘাটাইল ও মধুপুর উপজেলা, দক্ষিনে ভূয়াপুর উপজেলা, পশ্চিমে যমুনা নদী ও সরিষাবাড়ী উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। একটি পৌনসভা এবং ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। যেমন- গোপালপুর পৌরসভা, হাদিরা ইউনিয়ন, নগদাশিমলা ইউনিয়ন, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন, হেমনগর ইউনিয়ন, আলমনগর ইউনিয়ন, মির্জাপুর ইউনিয়ন এং ধোপাকান্দি ইউনিয়ন। রাজধানী ঢাকা থেকে ১৫০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর টাঙ্গাইল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
প্রশাসনিক ইতিহাসঃ
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা একটি প্রচীন জনপদ। ১৯০৪ সালে প্রকাশিত শ্রী কেদারনাথ মজুমদারের অমূল্য গ্রন্থ ‘ময়মনসিংহের বিবরন’ থেকে জানা যায়, ১৭৮৩ সালে ৩৯টি পরগনা নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা ঘষিত হয়। গোপালপুর উপজেলা সহ উত্তর টাঙ্গাইলের পুরোঅংশ তখন পুখুরিয়া পরগনার অমত্মর্গত ছিল। গোপালপুর যমুনা বিধৌত হওয়ার সকল প্রকার যোগাযোগ হতো নদী পথেই। এজন্য হেমনগর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই গ্রামের দক্ষিনে সুবর্ণখালি গ্রামে গড়ে উঠে বিরাট নদী বন্দর। এ সুবর্ণখালি বন্দরে ভিড়তো বড় বড় স্টিমার। আসামের হাড়গিলা থেকে ঢাকার মানিকগঞ্জ পর্যমত্ম এ স্টিমার চলত। এ সুবর্ণখালি বন্দরের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য ১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহ-জগন্নাথগঞ্জঘাট রেলওয়ে চালু হয়। পিংনা থেকে সবর্ণখালি পর্যমত্ম সড়ক পাকা করা হয়। এটিই গোপালপুর থানার প্রথম পাকা সড়ক। সুবর্ণখালি থেকে পিংনা হয়ে জগন্নাথগঞ্জঘাটের রেলপথ থেকে ময়মনসিয়হ হয়ে ঢাকায় যোগাযোগ হতো। আর এ সুবর্ণকলি বন্দর থেকে ৪ কিলো উত্তরে অবস্থিত যমুনা তীরবর্তী পিংনায় পৃথক থানা এবং জজ আদালত স্থাপন করা হয়। পিংনা বর্তমানে সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র। তবে বর্তমানে গোপাপুর উপজেলার সুবর্ণখালি বন্দর বা জনপদের কোন অসিত্মত্ব নেই। যমুনার ভাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন এ বন্দর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে এর উত্তর পাশে সোনামুই নামক একটি জনপদ গড়ে উঠেছে। সমসাময়িক গ্রন্থে উলেস্নখ রয়েছে যে, উনবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে পিংনা থানা ও জজ কোর্ট স্থাপিত হয়। সে সময়ে পিংনায় একটি তহশিল কাচারি স্থাপন করা হয়। নৌপথে কোলকাতার সাথে যোগাযোগের সুবিধা হেতু পিংনায় এসব সরকারী অফিস আদালত স্থাপন করা হয় বলে অনেকের ধারাণা। বর্তমান গোপালপুর, ভূয়াপুর, ধনবাড়ী এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রশাসনিক, রাজস্ব এবং বিচার ব্যবস্থা এ পিংনা থেকে পরিচালিত হতো। তখন গোপালপুর ছিল নাটোরের জমিদারের একটি মৌজা মাত্র। তবে কখন গোপালপুর বকটি থানার মর্যদা লাভ করে ইতিহাস সে সম্পর্কে নীরব। তবে এম আবদুলস্নাহর ময়মনসিংহের নতুন ইতিহাস, অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রহিমের টাঙ্গাইলের ইতিহাস এবং টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত ‘টাঙ্গাইলের ইতিহাস’ গ্রন্থের সূত্র থেকে বলা যায়, ১৮৬৯ সালে টাঙ্গাইল থানা মহকুমা হিসাবে মর্যদা পাওয়ার সময় গোপালপুর ও কালিহাতিতে পুলিশ ফাঁড়ির অসিত্মত ছিল। তখন গোপালপুর পু©র্লশ ফাঁড়ি ছিল পিংনা থানার অধীন। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক গেজিটিয়ারের তথ্য মোতাবেক সম্ভবত ১৮৬৯ থেকে ১৮৯০ সালের কোন এক সময়ে গোপালপুর ফাঁড়ি পূর্ণাঙ্গ থানায় পরিণত হয়। ১৯০৪ সালে কেদারনাথ মজুমদারের গ্রন্থে দেখা যায় ঐ সময়ে টাঙ্গাইল সদর থান, কালিহাতি এবং গোপালপুর থানার অসিত্মত্ব ছিল। তখন গোপালপুরের প্রাণ কেন্দ্র ছিল সুবর্ণখালি বন্দর এবং থানা শহর ছিল পিংনা। সুবর্ণখালি ও পিংনার নামডাকের জন্য মধুপুর উপজেলার আমবাড়িয়ার জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরি ১৮৮৫ সালে সুবর্ণখালি বন্দরের অধূরে তার রাজবাড়ী নিমার্ণ করেন। পরবর্তীতে সুবর্ণখালি যমুনার ভাঙ্গনে বিলিন হলে শিমলাপাড়া মৌজায় এসে তিনি পুনরায় পরীদালান নামে একটি রাজবাড়ী নিমার্ণ করেন। যেটি এখন কোন ভাবে টিকে আছে। পববর্তীতে হেমচন্দ্র চৌধুরির নামে এ গ্রামের নাম হয় হেমনগর। হেমচন্দ্র চৌধুরী ১৯০০ সালে হেমনগরে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি বর্তমানে শশীমুখি উচ্চবিদ্যালয় নামে পরিচিত। এটি গোপালপুর থানার প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ‘ময়মনসিংহের বিবরণ, গ্রন্থে দেখা যায়, ১৯০৪ সালে হেমনগর হাইস্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল ২০১ জন। এ স্কুলের জন্য জমিদার হেমচন্দ্র চৌধুরী কোন সরকারী সাহায্য গ্রহণ করেননি। ঐ গ্রন্থের বিবরনিতে আরো দেখা যায়, তখন গোপালপুর থানার আয়তন ছিল ৩৮৬ বর্গ মাইল। লোক সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ৭১ হাজার ৭০২ জন। গ্রামের সংখ্যা ৬৯৫ জন। হিন্দু ধর্মালম্বী ছিল ৫৩ হাজার ১৮৬ জন। মুসলমান ছিল ২ লক্ষ১৮ হাজার ২৩৬ জন। খ্রিষ্টান ৫ জন ও প্রেত ঊপাসক ২৬৪ জন। ১৯০৪ সালে এ উপজেলায় মোট শিক্ষিত লোকের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৪০ জন। এর মধ্যে ইংরেজী জানা লোকের সংখ্যা ছিল ৭০০ জন ঐ সালে গোপালপুর, কামাখ্যা মহনপুর এবং নগদাশিমলা পোষ্ট অফিস স্থাপিত হয়। এসময়েই গোপালপুর সাবরেজিষ্টি অফিস স্থাপিত হয়। ১৯০৭ সালে সর্ব প্রথম গোপালপুর-পিংনা টেলিগ্রাফ অফিস স্থাপিত হয়। ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে ঝাওয়াইল, নন্দনপুর, প্রফুলস্ননগর (বর্তমানে নগদাশিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর) ও হেমনগর তহশীল কাচারী প্রতিষ্ঠা হয়।
জমিদারি আমলে গোপালপুরঃ
সে সময়ে পুখুরিয়া পরগনার অমত্মর্গত হলেও গেপালপুর উপজেলা ছিল হেমনগর, ধনবাড়ী এবং নাটোরের রাণী হেমমত্ম কুমারীতিালুক। এজন্য এ উপজেলার বাসিন্দারা তিন জমিদারের প্রজা ছিল। এজন্য গ্রামে গ্রামে অসামিত্মও ছিল। প্রজা দখল নিয়ে হুরহাঙ্গামা লেগেই থাকতো।
গোপালপুর বিভক্তিকরনঃ
১৯৭২ সালে গোপালপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা গঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে গোপালপুর উপজেলার মুশুদ্দী ইউনিয়নকে মধুপুর উপজেলার অমর্ত্মভূক্তকরা হয়। পরবর্তীতে মুশুদ্দী ইউনিয়ন ধনবাড়ি উপজেলার অমর্ত্মভূক্ত হয়।

Map of Gopalpur Upazila Tangail