শত বীর আর শত পীরের স্মৃতিধন্য এই শ্যমল জনপদ চট্টলা। একদিকে পাহাড়ী সষমার অনিবর্চনীয় সৌন্দর্য, অন্যদিকে দিগন্ত বিস্তৃত ঊর্মিমূখর ছন্দময় জলরাশি।কলস্বরা কর্ণফুলির কোল ঘেষে অসীম গৌরব আর অনন্ত সম্ভাবনা নিয়ে দাড়িয়ে আছে প্রায় শতাব্দপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ সরকারী কর্মাস কলেজ। এতদঞ্চলের এটিই একমাত্র বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৭ এর দেশভাগের প্রাক্কালে কলকাতার “গভ. কর্মাশিয়াল ইনস্টিটিইট” এর একিটি অংস হিসাবে তৎকালিন পূর্ব পকিস্তানের বানিজ্যিক শহর চট্টগ্রামে এর জন্মলাভ।এর পরে ফলে আর ফসলে ভরেছে ডালা। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত আই.কম ও বি.কম র্কোস চালু ছিল। এরপর ১৯৬২ তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে .বি.কম (অনার্স) ইন কমার্স কোর্স, ১৯৭৩ এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হিসাব বিঙ্গান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পৃথক অনার্স কোর্স চালু হয়। ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৩ সাল খথকে এ কলেজে এম. কম ১ম পর্ব এবং এম.কম শেষ পর্ব প্রবর্তিত হয়, যা বর্তমানে যথাক্রমে এম.বি.এস ১ম পর্ব ও এম.বি.এস শেষ পর্ব নামে পরিচিত। বর্তমানে কলেজে এইচ.এস.সি কোর্স, বিবিএস (পাস) কোর্স, বিবিএস (পাস) কোর্স, হিসাববিঙ্গান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী এম.বি.এস ১ম পর্ব কোর্স চালু আছে। সরকারী কর্মাস কলেজ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান। সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থীর এ প্রতিষ্ঠানে ২৯ জন নিবেদিতপ্রান প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষকের রিলস প্রচেষ্টায় প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে।সনাতন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু থাকার সময় এ কলেজের শির্ক্ষাথীরা মেধা তালিকায় প্রথম ২০ টি আসন অর্জন সহ ১৯৯৪ সালে শিক্ষা মন্ত্রানালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বকৃতি লাভ করে। ২০০২ সালের বি.কম. (পাস)পরীক্ষার রেজাল্ট ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ট কলেজ হিসাবে বিবেচিত হয়।
এচএস.সি পর্যায়েও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে বরাবরই ১ম স্থান অর্জন করে আসছে। বিবিএস (পাস), অর্নাস ও মাস্টার্স শ্রেণির রেজাল্ট আরো প্রশংসনীয়। শুধু শ্রেণি শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও এ কলেজের সুনাম রয়েছে।একাধিকবার্ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ রৌপ্য পদক লাভ করেছে।বেতার টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ কলেজের বি.এন.সি.সি, ওরড ক্রিসেন্ট ও রোভার ষ্কাউট অনেক বেশী সমৃদ্ধ। বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমে এ কলেজের ভুমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ঐতিহ্য এবং সাফল্যের আরেক দিগন্ত ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের ঐর্ষণীয় কর্মজীবন। সফল ব্যবসায়ী, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আমলা, বন্দরের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ্ হিসাবে অত্যন্ত কৃতিত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এসব সাফল্যকে ধারন করে আগামীতে আরো সুন্দর ও গৌরবোজ্জ্বল ভবিষৎ নির্মানে আমাদের সম্মিলিত
প্রয়াসে সবাই সহযোগিতার উষ্ঞ করতল প্রসারিত করবেন বলে প্রত্যাশা রাখি।
শ্রম এবং শিল্পের বিনিময়ে অর্জিত হোক আমাদের কাঙ্খিত আগামী।