সরকারি লালন শাহ কলেজের ইতিহাস
বিশ্ববরেণ্য মরমী কবি লালন শাহের (১৭৭২-১৮৯০) পুণ্য জন্মভূমি হরিণাকুণ্ডু। কালজয়ী এই মহাপুরুষ ১১৭৯ বঙ্গাব্দের ১ লা কার্তিক (১৭৭২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ অক্টোবর) হরিণাকুণ্ডুর হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হরিণাকুণ্ডু ঝিনাইদহ জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। কিন্তু এ উপজেলায় উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য কোন বিদ্যাপীঠ না থাকায় কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি এখানে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এদের অগ্রগণ্য ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব শফিউর রহমান। এলাকার গুণী মানুষদের দান করা ২.৯১ একর জমির উপর জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি কলেজ। সঙ্গত কারণেই কলেজটির নামকরণ করা হয় লালন শাহ কলেজ। লালন শাহ কলেজ অত্র এলাকার প্রথম এবং একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এটি যাত্রা শুরু করে ১৯৭২ সালে।
কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর। ভালো রেজাল্ট, সংস্কৃতিবান ছাত্রসমাজ গঠন, উচ্চ পাশের হার প্রভৃতি কারণে সরকারি লালন শাহ কলেজ ইতোমধ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি সরকারি লালন শাহ কলেজে ছয়টি বিষয়ে অনার্স খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিষয় গুলো হলো: বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। এটি কার্যকর হলে অত্র এলাকয় উচ্চ শিক্ষা লাভের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে যেটা এতদঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থাপিত সরকারি লালন শাহ কলেজ যে করোরই মন আকর্ষণ করার মতো একটি প্রতিষ্ঠন, যা মরমী কবি লালন শাহের স্মৃতিকে বহন করে চলেছে যত্নের সাথে।