গুপ্ত বৃন্দাবন
গুপ্ত বৃন্দাবন প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কাহিনী। কিংবদন্তি। এলাকার হিন্দু, আদিবাসী, বর্মন ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করে মধুরায় যখন শ্রীকৃষ্ণের উপর কংশ রাজার অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন শ্রীকৃষ্ণ, রাধা এবং ১৫০০ গোপিনী নিয়ে এখানে পালিয়ে আসেন। সেই থেকে এই জায়গার নাম গুপ্তবৃন্দাবন। কিন্তু ইতিহাসে পাওয়া যায় ভিন্ন তথ্য। এ জায়গার পূর্ব নাম বৃন্দাবন। গুপ্ত বংশীয় শাসনামলে বিভিন্ন চিহ্ন দেখে বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম প্রচারক ১৫৭৭ সালে গুপ্ত যোগ করে গুপ্তবৃন্দাবন প্রতিষ্ঠা করেন। এখনো রয়েছে প্রাচীন মন্দির। মন্দিরে রাধাকৃষ্ণের যুগম মুর্তি। মন্দিরের সামনে আছে কিংবদন্তির তমালবৃক্ষ। রাধা কৃষ্ণের ভক্তরা বিশ্বাস করে এই তমাল গাছের বিশেষ ডালে বসে দোল খেতেন রাধাকৃষ্ণ। প্রতি বছর চৈত্র মাসে এখানে বাৎসরিক মেলা ও কীর্তনযজ্ঞ হয়।