#আমরা কেন করব এ কাজ :
একে তো রাজধানীবাসী তার উপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছি, সমাজ আমাদেরকে সমাজের এইরুপ অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে, তার নিশ্চয় একটা কারণ আছে ?? হ্যাঁ , কারণ একটাই আমাদের এই সুন্দর সমাজ তাকে আরও সুন্দর করে সাজাবার যে ক্ষমটা আমাদের মাঝে লুকিয়ে আছে তাকে প্রকাশ করে সমাজের বঞ্চিত মানুষ গুলোর জন্য কিছু করা ।
#স্মৃতিময় কিছু কথা :
সময় ছিল ডিসেম্বর,২০১১। শুরুটা করেছিল সাঈদ হাসান পার্থ। সবে উচ্চ মাধমিক দিযেছি আমরা। সবাই বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের দ্বারে দ্বারে ভর্তির জন্য ঘুরছি। সারাদিন বাস্ত থাকলেও বিকালের আড্ডাটা NOVO-তে ঠিকই জমত । অনেক পুরান বন্ধুরাও দূর হতে এসে আমাদের এই আড্ডাতে তাদের পদধুলি দিত। তো আড্ডার মাঝেই ২৮ই ডিসেম্বর পার্থ এই বিষয়বস্তুটি তুল্ল । ও উচ্চমাধ্যমিক থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ তথা সমাজ সেবার প্রতি আকর্ষিত হয়, এরপর থেকে আমাদের মাঝে মাঝেই বলত কিন্তু আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দিতাম না। আসলে আমরা আমাদের নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ, তাই মনে হত এসব কাজ আমাদের দিয়ে হবে না। তাই ৫ জানুয়ারি,২০১২ তে সকাল ১০ঘটিকায় সবার একত্রিত হওয়ার কথা থাকলেও কেউ উপস্থিত হওয়া হলনা। ২মাস পার হয়ে গেল। এরপর আশিক পার্থকে সাপোর্ট দিল। আস্তে আস্তে সবাই আমরা যোগ দিতে শুরু করলাম। প্রথমে পার্থ নাম দিয়েছিল “নি:স্বার্থ” অত:পর পরিবর্তন করে আশিক “HELP+” নাম রাখার পরামর্শ দেয়। HELP+ এর প্রথম সভা হয় পার্থর বাসার ছাদে। সেখানেই HELP+ এর জন্ম।
২০১২ সালে পার্থ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল উনিভারসিটিতে ভর্তি হয়।সে তার বন্ধুদের সাথে HELP+ এর বিষয়টি আলোচনা করে। কিছু বন্ধু উৎসাহিত হয় এবং যোগদান করে।এভাবে এক সময় ১২জন সদস্য হয়ে যায় এবং গঠন করা হয় DIU_Re presenter ।
এর মাঝে বহু চরাই-উত্রাই আমাদের পার হতে হয়েছে....
এরপর ২০১৫ সালে যোগ দেই, নাহিদ শাওন, তারা নতুন সদস্য হয়ে তাদের প্রথম এবং হেল্প প্লাসের ৩য় নং ইভেন্টে মাত্র ৭ দিনে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা বাবস্থা করেছিল, যা হেল্প প্লাসে যোগ দেয় এক নতুন মাত্রা, দিন দিন পরিচিতির পাশাপাশি বাড়তে থাকে মেম্বেরদের সংখ্যা, পার্থ ইউনিভার্সিটি থেকে চলে যাবার পর প্রধানত শাওন এবং নাহিদ তারা দুইজনে হেল্প প্লাস পরিচালনা করছে, বর্তমানে হেল্প প্লাসের মেম্বার দের সংখ্যা ৫০ এর অধিক।
২০১৬ সালের মধ্যে মোট ৭ টি ইভেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।
যার মধ্যে ২০১৬ সালের শীতবস্ত্র ছিল হেল্প প্লাসের সব চেয়ে বড় প্রোগ্রাম,
এর পর যোগ দিয়েছে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির আরও কিছু তরুন তরুনি, এভাবেই চলছে আমাদের হেল্প প্লাস নিজেশ্য গতিতে আমাদের কখনও পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি এখন পর্যন্ত....