Ishwardi Govt. College, Ishurdi

Ishurdi,Pabna,Rajshahi, Ishurdi, 6620
Ishwardi Govt. College, Ishurdi Ishwardi Govt. College, Ishurdi is one of the popular School located in Ishurdi,Pabna,Rajshahi ,Ishurdi listed under Education in Ishurdi , School in Ishurdi ,

Contact Details & Working Hours

More about Ishwardi Govt. College, Ishurdi

পাকিসত্মানী আমলে ৬০এর দশকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার উচ্চ শিক্ষার চাহিদা পূরণের নিমিত্তে জেলা ও মহুকুমা পর্যায়ের নিম্নসত্মরে বেসরকারি উদ্যোগে বহু বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদীর তরুণ শিক্ষানুরাগী এবং সমাজসেবীদের অক্লামত্ম প্রচেষ্টায় ‘‘জিন্নাহ কলেজ ঈশ্বরদী’’ নামে বেসরকারি কলেজ হিসেবে ১৯৬৩ সালের ৯ জুলাই এ কলেজের শুভ যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তরকালে ঈশ্বরদীবাসীর প্রাণের কলেজ হিসেবে এই নাম পরিত্যক্ত হয় এবং ‘‘ঈশ্বরদী কলেজ’’ নামে নব যাত্রা শুরু হয়।



প্রতিষ্ঠার লগ্নে যারা এই কলেজের জন্য প্রাণপাত চেষ্টা করেছিলেন তাদের মধ্যে প্রণিধান যোগ্য হলেন জনাব তোজাম আলী, আফজাল হোসেন, মোতাহার হোসেন, খোরশেদ আলম, মরহুম আনোয়ার উদ্দিন, মোশারফ হোসেন, মরহুম মাহবুব আহমেদ খান, হাজী ইয়াসীন আলী, ডাঃ ইসমাইল হোসেন, ডাঃ দবির উদ্দীন আহমেদ, ফকির মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, চাঁদ আলী মিয়া, মরহুম হাজী নূর বক্স, আবুল কাশেম বিশ্বাস, শ্রী রবি রায় প্রমুখ।



১৯৬৫ সালে বর্তমান কলেজ ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বে বর্তমান সোনালী ব্যাংক ভবনে পূর্বতন আগার ওয়ালদের পরিত্যক্ত বাস ভবনে এই কলেজের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে এই কলেজ এইচ. এস. সি পরীক্ষা কেন্দ্রের মঞ্জুরী পায়। ১৯৬৮ সালে এই কলেজে স্নাতক (বি. এ ও বি. কম ) কোর্স চালু হয়। ১৯৭০ সালে বি. এ ও বি. কম শ্রেণীর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।



১৯৭১ সাল নানাদিক থেকে এই কলেজের জন্য গুরত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই কলেজের প্রাক্তন এবং পাঠরত অনেক ছাত্র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। রাজু, মান্নান প্রমুখ তাজা প্রাণ ছেলেরা স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেছে। যুদ্ধকালে এই কলেজ প্রায় বিধ্বসত্ম হয়ে যায়। বই পুসত্মক, আসবাপত্র ,বিজ্ঞান গবেষণাগারে যন্ত্রপাতি ও অফিসের কাগজপত্র লুট হয়ে যায়। স্বাধীনতা উত্তরকালে এই কলেজ চরম আর্থিক সংকটের মুখে পতিত হয়। ছাত্র সংখ্যা মারাত্নকভাবে কমে যায়। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১,৫০০ জন থেকে নেমে আসে ৩৫০ জনে। শিক্ষকগণ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্থানে এবং বিভিন্ন হাই স্কুল প্রাঙ্গনে সভা সেমিনার করেন। কলেজের আর্থিক সংকট উত্তরণে সে সময়ের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রভাবশালী অভিভাবকগণ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। তৎকালীন এম. পি জনাব মহি উদ্দিন আহমেদ এবং পৌর কমিশনার জনাব ফকির মোঃ নুরুল ইসলাম সে দুঃসময়ে আর্থিক সংকট উত্তরণে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। তাদের উভয়ের উদ্যাগে এবং ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় অরণকোলা গণহাট কমিটি এবং বাজার কমিটি প্রায় এক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে কলেজের পূনর্বাসন খাতে ব্যয় করেন।



১৯৭৭ সালে তৎকালীন সরকার ১৩৭টি বেসকারী কলেজ উন্নয়নের জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সৌভাগ্যবশতঃ ঈশ্বরদী কলেজ উক্ত প্রকল্পে অমর্ত্মভুক্ত হয়। কিন্তু দুঃর্ভাগ্যবশত উক্ত প্রকল্পে শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা ছিল না ফলে কলেজের বৈষিয়িক এবং বস্ত্তগত উন্নয়ন হলেও শিক্ষক কর্মচারীর অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের এবং বাহিরের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাহায্য ও চাঁদার উপর নির্ভর করতে হতো শিক্ষকদের। কলেজ পরিচালনা পরিষদ তাদের সদিচ্ছা থাকা সত্বেও সমস্যার প্রকটতার প্রেক্ষিতে তারা পরিস্থিতির সুরাহা করতে পারলেন না। তখন থেকেই শিক্ষকগণ চিমত্মা ও চেষ্টা করেতে থাকেন কিভাবে কলেজেটিকে সরকারি করণ করা যায়। এই লক্ষে তদামিত্মন প্রেসসেডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান এবং মন্ত্রী অধ্যাপক আব্দুল মতিনের সঙ্গে শিক্ষকগণ বহুবার দেখা করেছিলেন। কিছু কিছু আশ্বাস ও পেয়েছিলেন। কিন্তু বাসত্মব অবস্থার উন্নতি হয়নি। ১৯৭১-৮০ পর্যমত্ম দীর্ঘ একদশক শিক্ষকবৃন্দ আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করে কলেজটিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন এটা সর্বজন বিদিত। ১৯৮১ সালে বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকদের জন্য একটি অভিন্ন বেতন স্কেল চালু হয় এবং সরকার বেতনের ৪০% থেকে ৫০% ভাগ বহনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ফলে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়।



১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারী এ কলেজের জন্য একটি স্মরণীয় দিন । এ দিনে তদামিত্মন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কলেজটিকে সরকারি করণের ঘোষণা দেন। ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ থেকে সরকারি করনের আদেশ কার্যকর হয়।

Map of Ishwardi Govt. College, Ishurdi