কিশোর আলোর পুরনো সবাই আমার পরিচিত। অনেকেই আমাকে চেনেনা, তবে আমি তাদেরকে চিনি। কারো টাইমলাইনে কিশোর আলো লেখা থাকলে আমি তাকে এডও করি। এটাই হয়ে আসছে।
একবার কারো (সম্ভবত নিশাত তনিকার) ছবির আঁকা পেন্সিল পোট্রেট দেখলাম। কে এঁকেছে দেখতে গিয়ে দেখলাম আইডির নাম জুবায়ের খান। নামও আমার নামে আবার সে কিশোর আলোর দেখে সঙ্গে সঙ্গে এড করলাম। এবং অবাক হয়ে দেখলাম তার হাতে আঁকা ছবি আর বাস্তব চিত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
আমি চিত্রশিল্পীদের খুব পছন্দ করি। কাগজের উপর তাদের হাতের যাদুকরী আচড় একটা বাস্তব গল্পকে আটকে দেয়। কোন চিত্রকে তারা নিজ গুনে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখতে পারে। তাদের মত অসামান্য এই মেধা সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেননি। তবে সৃষ্টিকর্তা তাদের সাথে আমার পরিচিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
খান বংশের গর্ব জুবায়েরের আঁকা দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হবে তা হলফ করে বলতে পারি। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি ভাবলাম তাকে ছাড়া যাবেনা। রাজনীতির মারপ্যাঁচে কোন না কোন ভাবে তাকে আমার সাথে আটকে দিতে হবে। কিভাবে কি করা যায়! একবার কিআ মিটিং এ সে আনিসুল হক স্যারকে ছবি এঁকে দিলো। আমি তার কয়েকমাস পর আনিসুল হককে একটা ছড়া লিখে শুনালাম। নাহ! তার মেধার কাছে আমার খুরকুটো টিকতে পারেনি।
তবে শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি বার করলাম। যেহেতু সে আঁকতে পারে তাকে দিয়ে যদি একটা কার্টুন আঁকানো যায়। আইডিয়া আমি দিবো। আমি শিউর ছিলাম সে রাজী হবেনা। কারন রাজী হবার কোন কারন এখানে নেই। কিন্তু সে অবাক করে দিয়ে বললো, "তো কবে থেকে শুরু করব?"
ভালোবাসার সিক্ততায় দু'জন ভিন্ন জগতের জুবায়ের মিলে শুরু করলো একটি কমিকস সিরিজ। নাম Jubair Square। আমি শুধু দু'বার ভেবে আইডিয়া দেই। আর পিসির সামনে বসে কষ্ট করে কার্টুন তৈরী করে অন্য জুবায়ের। তবে এই জুবায়েরদের কিছুক্ষণ একসাথে কাজ করা সকল অপূর্ণতাকে ছাড়িয়ে যায়।
_____________ জুবায়ের ইবনে কামাল