গর্ভনর স্যার জর্জ ক্যামুকেলের আমলে Madrasa Reforms committee এর অনুমোদনে মহসিন ফান্ডের টাকায় ১৮৭৪ সালে আলিয়া মাদ্রাসা নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে তিনটি নতুন মাদরাসা স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে হাজী মুহসিন এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নব প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাগুলোর নাম দেওয়া হয় মোহাসিনিয়া মাদ্রাসা। ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা বহুল পরিচিতি লাভ করায় ‘ঢাকা মাদ্রাসা’ নামে পরিচিত হয়। বৃটিশ শাসন আমলে বাংলাদেশে এগুলো মুসলমানদের জন্য করা প্রথম সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৭৪ সালে ১৬৯ জন ছাত্র নিয়ে ভীরু পদক্ষেপে যে মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হয়েছিল, এটি ছিল পূর্ববাংলার মুসলমানদের জন্য প্রথম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ মাদ্রাসার প্রথম সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন পন্ডিত ও ভাষাবিদ বাহারুল উলুম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দী। ১৯১৫ সাল পর্যন্ত হাজী মুহম্মদ মোহসীন ফান্ড থেকে এই মাদ্রাসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়। উক্ত সালে এটি উচ্চ মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয়। ১৯১৬ সালে মাদ্রাসার অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগটি পৃথক হয়ে ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাইস্কুল নাম ধারণ করে। ১৯২৩ সালে মাদ্রাসা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং ১৯৬৮ সালে কলেজের নামকরণ হয় সরকারি ইসলামিয়া কলেজ।
আবার নাম পরিবর্তন করে ১৯৭২ সালে কলেজটির নতুন নামকরণ হয় কবি নজরুল সরকারি কলেজ
.
প্রতিষ্ঠাকালঃ
১৮৭৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান।
ঠিকানা ও যোগাযোগঃ
লক্ষীবাজার, ঢাকা-১১০০।
ফোনঃ +৮৮-০২-৭১৫০৬৭, ৭১৬৩৮৬৬
ওয়েবঃ www.kncollege.gov.bd
ই-মেইলঃ info@kncollege.gov.bd
ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/Kngcbd/
ফেসবুক গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/kngc.fanclub/
.
ব্যবসায় অনুষদঃ
(i) ব্যবস্থাপনা
(ii) হিসাব বিজ্ঞান
.
বিজ্ঞান অনুষদঃ
(i) পদার্থ বিজ্ঞান
(ii) রসায়ন বিজ্ঞান
(iii) উদ্ভিদ বিজ্ঞান
(iv) প্রাণি বিজ্ঞান
(vi) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান।
.
কলা অনুষদঃ
(i) বাংলা
(ii) ইংরেজি
(iii) ইসলামিক স্টাডিজ
(iv) আরবি
(v) রাষ্ট্র বিজ্ঞান
(vi) অর্থনীতি
(vii) দর্শন
(viii) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
(ix) ইতিহাস বিভা
.
.
শিফটঃ
এখানে শুধুমাত্র ‘ডে’ শিফট প্রচলিত।
.
বৃত্তি তথ্যঃ
বৃত্তির সুবিধা আছে প্রতিটি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
সাধারনত গরীব ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়।
যে বৃত্তি গুলো দেওয়া হয় সেগুলো হলো-
সেনা কল্যাণ বৃত্তি
বোর্ড বৃত্তি
প্রতিবন্ধী বৃত্তি ফান্ড।
সেনা কল্যাণ বৃত্তির জন্য সেনা কল্যাণ ভবন থেকে বৃত্তির ফরম নিয়ে পুরুন করে তা সেখানে জমা দিতে হবে অথবা কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিলেও চলে।
এছাড়া বোর্ড বৃত্তি ও প্রতিবন্ধী বৃত্তি ফরম কলেজ নিজ ফ্যাকাল্টি থেকে পাওয়া যায়। বৃত্তির জন্য নিদিষ্ট রেজাল্ট নির্ধারন করা হয় বোর্ড ভিত্তিক।
.
লাইব্রেরিঃ
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এটা শুধু কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বই বাসায় নেওয়া যায় না। বিভিন্ন একাডেমিক বইসহ দৈনিক পত্রিকাগুলো পাওয়া যায়। বসার জন্য ৪টা টেবিল, চেয়ার সংখ্যা প্রায় ৪০ টা । লাইব্রেরীটি বি-ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত।
.
ছাত্র সংসদঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ রয়েছে ।
.
ক্যান্টিনঃ
কবি নজরূল সরকারী কলেজে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা নেই।
.
হোস্টেলঃ
হোস্টেল রয়েছে একটি, যার নাম শহীদ সামসুল আলম ছাত্রাবাস। অবস্থান ৩নং মোহনী মোহনলেনে। ছাত্রাবাসে থাকার জন্য প্রতিবছর নিদিষ্ট সময়ে ছাত্রছাত্রীদের হোষ্টেল সুপার বরাবর দরখাস্ত করতে হয়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আসন পেয়ে থাকে। হোষ্টেল সুপার সহ তার সহযোগী ব্যক্তিরা হোস্টেল দেখাশুনা করেন।
হোস্টেলে রয়েছে ডাইনিং এটা দুই তলা বিশিষ্ট। এখানে ১২০-১৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ডাইনিং এর ব্যবস্থা করা হয়। সকালে ভাত-ভাজি-ভর্তা -ডাল, দুপুরে ভাত-মাংশ-মাছ-ডিম-সবজী, রাতে ভাত-ডাল-মাছ-মাংশ-ডিম এর ব্যবস্থা করা হয়। খাবারের জন্য দুপুর ও রাতে প্রতি মীল পড়বে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, সকালে ১৫ টাকার মত পড়ে।
�হোষ্টেলের জীবন মান সাধারন। বিদ্যুৎ ও পানির ভাল ব্যবস্থা রয়েছে।
�স্বাস্থ্য ও ব্যায়মাগার নেই, বিনোদনের জন্য টিভি রুম আছে। যার ধারন ক্ষমতা ১৫ থেকে ২০ জন।
�হোস্টেলে কোন লাইব্রেরী নাই।
.
ক্লাবঃ
BNCC ও রোভার স্কাউট রয়েছে। সদস্য হতে হলে BNCC ও রোভার স্কাউটের অফিসে গিয়ে ফরম পুরন করে জমা দিতে হয়। ফরম এর মূল্য ৫০ টাকা।
.
সীমাবদ্ধতাঃ
এই কলেজের কোন মেডিক্যাল সেন্টার নেই।
এখানে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায় না।
কলেজটির নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই।