যেভাবে গড়ে উঠলো কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার সনঃ ১০ ই জানুয়ারী ১৯৮৯ খ্রিঃ
মোঃ আব্দুল মালেক ( মুক্তিযোদ্ধা )
বি,কম, এল,এল,বি
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রধান শিক্ষক
পটভূমিঃ প্রায় দীর্ঘ ১০ বৎসর বিদেশে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ কালে অনেক দেশে খন্ডকালীন শিক্ষক শিক্ষক হিসাবে কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা সমাজ ও জাতি গঠনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তাহা বিশেষভাবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরিছি। ১৯৮৭ খ্রিঃ ২শে জুলাই বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে দেখতে পাই লাখাই উপজেলার সদর দপ্তর স্বজনগ্রাম থেকে স্থানান্তরিত হয়ে লাখাই উপজেলার কেন্দ্রস্থল ৪৩ নং ভাদিকারা মৌজার কালাউক নামক এলাকায় ১৫ ই এপ্রিল ১৯৮৩ খ্রিঃ সনে স্থানান্তরিত হয় কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে, সমস্ত অফিস এলেও শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে কোন মাধ্যমিক বা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন সরকার বা এলাকার জনগনের পক্ষে কেহ কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহন করেনি। তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাকে এ ব্যাপারে কোন কিছু করতে হবে।
প্রেরনাঃ বন্ধু বান্ধবের পরামর্শে আমাকে আবার ছাত্র হতে হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা ল কলেজে এল এল বি ১ম বর্ষে ভর্তি হয়ে আইন বিষয়ে অধ্যায়ন কালীন সময়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিস বিষয়ে মাঝে মাঝে অধ্যায়ন করতাম। তখনই বুঝতে পারলাম ইসলাম ধর্মের মহাগ্রন্থ আল কুরআন এ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিলকৃত প্রথম ওহি যথা (১) পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন (২) সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্তবিন্দু থেকে। পাঠ করুন আপনার প্রতিপালক মহিমান্বিত (৪) যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।(৫) শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যাহা সে জানত না ( সুরা আলাখ ১-৫ আয়াত) । পরবর্তীতে আরো পেলাম সুরা বাখারা ৩১ নং আয়াতে তিনি (আল্লাহ) আদম(আঃ) কে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়েছেন। অন্যত্র দেখতে পেলাম আল্লাহ বলেছেন যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান আয়াত নং ৯ সুরা জুমার। এই আয়াতগুলি বারবার পড়তে লাগলাম আর ভাবতে লাগলাম আল্লাহ পাক যদি মহানবী (সাঃ) কে পবিত্র আয়াত দ্বারা শিক্ষা বিস্থারের জন্য বারবার তাগিদ দিলেন। তবে কেন আমি আল্লাহ পাকের নগণ্য সৃষ্টি হয়ে তাহার সৃষ্ট মানবের শিক্ষার জন্য কেন চেষ্টা করতে পারব না। পরে আরো দেখতে পাই মহানবীর বাণির মধ্যে ঞ্জান অর্জন করা সর্বওম ইবাদত। পরবর্তী আরও এক হাদিসে দেখতে পেলাম ঞ্জান অর্জন করা প্রত্যেক নরনারীর জন্য ফরয, সহি হাদিস। এর পরই সিদ্ধান্ত নিলাম পরীক্ষা শেষেই একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালীয়ে যাব নিশ্চয় আল্লাহ পাক আমাকে সাহায্য করবেন।
কাজ শুরুম্নঃ পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে পেলাম, ভাদিকারা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।একদিন সকাল বেলা আমার চাচাত ভাই জনাব রফিক আহম্মেদ আমার বাড়িতে এসে বলেন ফয়সাল কে কোথায় ভর্তি করবে। আমি তখন বলি কালাউকে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সেখানে ভর্তি করব।ঐদিন বিকালে জনাব ফরিদ আহমেদের ফার্মেসিতে কয়েকজন বসে আলাপ আলোচনা করিতেছি এমন সময় জানাব রফিক আহম্মেদ আমার মামাত ভাই এডভোকেট মোস্তাক আহমেদকে নিয়ে এই আড্ডায় যোগ দিল। এক সময় মোস্তাক বলে উটল্ ভাই তুমি নাকি বিদ্যালয় করতে চাইতেছ? আমি বললাম হ্যা। যদি তোমরা সবাই মিলে ২০০ টাকা করে চাঁদা দাও? তবে ১৫ দিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ের প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিব।এ কথা বলার সাথে সাথেই মোস্তাক ২০০ টাকা টেবিলের উপর রেখে বলে নাও দিলাম। এই সময়ের ভেতরে ২৬০০/- টাকা সংগ্রহ হয়ে গেল। কালাউক বাজারের দোকান মালিকদের মধ্যে সামছুল হক ও আব্দুল আজিজ মাস্টার বলেন আমাদের কিছু অব্যবহৃত পুরান টিন আছে সেগুলি আপনি নিয়ে নেন।
কোথায় বিদ্যালয়ের জন্য একটি বানানো হবে চিন্তা করতেছি। আব্দুল আজিজ মাস্টার ও সুলতান মার্কেটের মালিক মরহুম মোঃ সুলতান মিয়া তাদের উভয়কে অনুরোধ করলাম তারা যদি সাময়িক ভাবে ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য কিছু জায়গা দেয় বিদ্যালয়ের জন্য তবে আমি একটি চাপড়া ঘর তৈরি করে পাঠদান শুরু করতে পারি। তাহারা রাজি হয়ে গেলেন। পরের দিন ভাদিকারা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেবকে বলে ছেলে মেয়েদের সার্টিফিকেট ১০/১২ দিন পরে দিবার অনুরুধ করতেই তিনি রাজি হয়ে গেলেন।
শিক্ষক সংকটঃ আমাদের গ্রামে আমি ছাড়া দ্বিতীয় আর কোন লোক ছিল না যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করার যোগ্যতা আছে এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ একজন অফিস সহকারি পাওয়া গেল না। বাধ্য হয়ে আমি অন্যত্র থেকে শিক্ষক সংগ্রহ করার চিন্তা ভাবনা করলাম। ফুলবাড়িয়া থেকে জনাব এমরান আলী চৌধুরী, বামৈ থেকে এ কে এম তোয়াহা, বাজুকা থেকে অসীম কুমার চক্রবর্তী বিএসসি, নোয়াগাও থেকে বাবু রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী, অফিস সহকারি হিসাবে বামৈ থেকে আব্দুল মতিন ও অফিস সহায়ক হিসাবে ফররুক আহমেদকে বিদ্যালয়য়ের পাঠদান ও অন্যান্য কার্যাদি চালানোর জন্য নিয়োগ দিলাম। ১০ই জানুয়ারি ১৯৮৯ খ্রিঃ সনে আল্লাহর নামে শুরু হল বিদ্যালয়ের পাঠদান।।
পরবর্তীতে কার্যক্রম ও অর্থের ব্যাবস্থা রকনঃ পাঠদান শুরুর কয়েকদিন পর গ্রামের মুরিব্বীদের নিয়ে এক বৈঠকে বসলাম। জনাব রফিক আহমেদ গ্রামবাসির নিকট প্রস্তাব রাখলেন গ্রামের উওরে যে ২ টি বন্দ আছে সেগুলি যদি আমরা বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার জন্য ইজারা দিয়ে দেই তবে কিছু অর্থের ব্যাবস্থা হয়ে যাবে আর আমাদের পকেট থেকে দিতে হবে না। তখন সবাই এতে সম্মতি দিলেন। উক্ত সভা থেকেই গ্রামের মুরুব্বিদের নিয়ে ঐ ২টি বন্দ ইজারা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হল। এই কমিটিতে ছিল রফিক আহমেদ, মরহুম আব্দুল লতিব, মরহুম আলী আজগর, মরহুম লাল মিয়া মেম্বার ও রফিক আহমেদ ও মরহুম বাদশা মিয়া সহ আরও অনেকে। তারা সিদ্ধান্ত নিল যেহেতু জমি খরিদ করতে হবে তাই বন্দগুলি অগ্রিম ইজারা দেওয়া হউক। পরে আমি ও রফিক আহমেদ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জহিরুল হক মহুদ্বয়ের সাথে সাক্ষাথ করে সুতাং নদীর উত্তর পারে সরকারি কুপা বিলটি বিদ্যালয়ের জন্য ইজারার আবেদন করিলে তাহারা প্রতিষ্ঠানের নামে ইজারা দেওয়া যাবে না তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক এর নামে অস্থায়ী ভাবে ইজারা দেওয়া যাবে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা এতে রাজি হয়ে গেলাম। পরে গ্রামবাসী বন্দ ও কুপা বিল অগ্রিম ইজারা দিয়ে আমাকে জমি খরিদ করার জন্য টাকা দিল। এখানে উল্লেখ্য যে, আমি ব্যাতিত গ্রামের কোন ব্যাক্তি বা সংস্থা কোনরূপ উল্লেখ করার মত অনুদান দেননি।
জমি ক্রয় ও ঘর নির্মাণ জমি পাওয়া খুবই মুশকিল ছিল কিন্তু মরহুম সুলতান মিয়া ও মরহুম দিয়ারিশ মিয়া আমাকে নিশ্চয়তা দিল তুমি চিন্তা কর না। ১৫ দিনের ভিতরেই আমরা তোমাকে জমির ব্যাবস্থা করিয়ে দিব। আল্লাহ তাদেরকে বেহেস্থ নসিব করুক এই দোয়া ই করি তাদের জন্য। তাহারা তাহাদের ওয়াদা রক্ষা করেছেন। বর্তমান বিদ্যালয়টি যেখানে আছে সেই জমিটি ছিল মরহুম সুলতান মিয়ার আর বাকি ২ টি জমি ছিল অন্যের টাকার বিনিময়েই হউক আর যাই হউক যদি জমিগুলি না পেতাম তবে হয়ত বিদ্যালয়টি অংকুরেই ধ্বংস হয়ে যেত। যাহাই হউক জমি কেনার পর এল মাঠি ভরাট। তাই বাধ্য হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বমরনাপন্ন হলাম। তাহারা আমকে মাঠি ভরাট এর জন্যে কিছু গম দিলেন আর বললেন নিজেই গম বিক্রি করে মাটি কাটার দ্বায়িত্ব নিবেন নতুবা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করলে প্রকল্প চেয়ারম্যান সব টাকার কাজ করবেন না। তাহাদের পরামর্শে কাজ করি। এতে প্রচুর জায়গায় মাটি ভরাট হয়ে গেল। মাটি ভরাট করে ঘরের জন্য তৈরি হতে হল এখানে বলে রাখা ভাল একমাত্র বুল্লা গ্রামের গোলাম মোস্তফা সাহেব ৫টি টেবিল ও ৫টি চেয়ার এবং তেঘরিয়া গ্রাম থেকে পেলাম২৫০০/- টাকা। এছাড়া ভাদিকারা ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়নি। ঘরের জন্য পুনরায় গ্রামবাসী কুপা বিলসহ ২টি বন্দ আরেকবার ইজারা দিয়ে আমাকে টাকা দিলে ঐ টাকার উপর নির্ভর করে পশ্চিম দিকের দক্ষিন পাশে যে আধাপাকা বিদ্যমান তাহা নির্মাণ করি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর নয় মাসের ভিতরই অস্থায়ী চাপড়া ঘর থেকে নিজের ভুমিতে নিজের ঘরে চলে আসি। তৎকালীন সংসদ মরহুম আবু লেইছ মুবিন চৌধুরী সরকারি অনুদান হিসাবে একটি ঘর নিরমানের জন্য ১৫ বান্ডিল টিন প্রদান করেন। ঐ টিন দিয়ে পুকুরের উত্তর পাশে দোতলা বিল্ডিং যেখাবে আছে সেখানে একটি ঘর নির্মাণ করি।
সরকার ও কুমিল্লা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি : কুমিল্লা বোর্ডর সাবেক ডেপুটি কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেসন আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান জনাব জিয়াউল হাসান সাহেবের সংগে ধানমন্ডি ২নং রোড অবস্থিত বোর্ডের ডাকবাংলা উনার সঙ্গে করে সাক্ষাতকার স্বীকৃতির ব্যাপার আলোচনা করলে তিনি একটি চিঠি লিখে বলেন তুমি আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তর কুমিল্লা কোটবাড়ি গিয়ে প্রধান অফিস সহকারিকে আমার ঐচিঠিটি দিয়ে বলিও তোমার সমস্যা, উনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে দিবেন।এরপর আমার সাথে কুমিল্লা বোর্ডে আমার সাথে সাক্ষাত করবে।আমার এল.এল বি ফাইনাল পরীক্ষার থাকায় তিন দিন পর ঢাকা থেকে কুমিল্লা গিয়ে প্রধান সহকারি সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত আলাপের পর কি কি কাগজপত্র স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীর একটি তালিকা আমাকে দেন।পরে আমি জিয়াউল হাসান সাহেবের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসলে যাহাতে স্বীকৃতি পাওয়া যায় তাহার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমি নেব।আমার পরীক্ষার শেষে বাড়িতে এসে স্বীকৃতির জন্য কাগজপত্রাদি তৈরি করে ১৯৯০ খ্রিঃ মার্চ মাসে কুমিল্লা যাই।পরে তিনি কাগজপত্র দেখে আঞ্চলিক পরিদপ্তর উপ-পরিচালকের সাথে
এর টেলিফোনে আলাপ করে আমাকে বলেন তুমি কাগজপত্র নিয়ে কোটবাড়ি যাও এবং তিনি যেভাবে বলে সে মতে কাজ করিও।উপ-পরিচালকের সাথে দেখা করলে তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শন এর জন্য ১৪-ই মে ১৯৯০ খ্রীঃ তারিখ দেন, তারিক দেওয়ার পর জিয়াউল হাসান সাহেবের সাথে দেখা করার পর তাহাকে অনুরোধ করলাম তিনি যেন উপ-পরিচালকের সাথে পরিদর্শনে আসেন।আমার প্রস্তাব তিনি রাজী হন।১৪ ই মে ১৯৯০ যথা সময়ে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন এবং স্বীকৃতি দেওয়ার
আশস্ত করেন।এর মধ্যে আমি জনাব আব্দুল হাই,গোলাম মোস্তফা ,মোঃআজগর আলি ও কামাল উদ্দিন আহমেদ,গ্রামবাসীর অনুমতি ক্রমে বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেই।পরবর্তী জুনের ২য় সপ্তাহে আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিদপ্তরে যোগাযাগ করলে প্রধান অফিস সহকারি বলেন আপনি যদি আজ কুমিল্লা রাত্রি যাপন করে ১৭/৬/১৯৯০
খ্রিঃ ১২ টার ভিতর স্বীকৃতির আদেশ পেয়ে যাবেন।স্বীকৃতি পাওয়ার সাথে সাথে জিয়াউল হাসান সাহেব বলেন তুমি নবম শ্রেনী খোলার জন্য ফি ও আবেদন পত্র আজই বোর্ডে জমা দেও।উনার কথামত আবেদন পত্র ও ফি জমা দিয়ে বাড়িতে আসি।আবেদন পেক্ষিতে ৮০/৯০/৫৮ স্মারকে ১৩/০১/১৯৯১ খ্রীঃ নবম শ্রেনী খোলার অনুমতি পাই।এরপর দশম শ্রেনী
খোলার অনুমতি পাই।এরপর দশম শ্রেনী খোলা ও উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি আবেদন প্রেক্ষীতে ৮০/হবি/৯০/৭৫৫ স্বারকে ৪/৬/৯১ খ্রিঃ তারিখে ১৯৯২ সনে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন সহ উচ্চ বিদ্যালয়
হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করি এবং কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি পূর্নাঙ্গ বিদ্যালয় হিসাবে প্রথিষ্ঠিত করি।
বিদায়ঃ নভেম্বর ১৯৯১ বিদ্যালয়ের সমাপনী ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় ১৪ জন ছাত্র/ছাত্রী অংশগ্রহন করে উত্তীর্ণ সবাইকে ১৯৯২ খ্রিঃ সনে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় গ্রহন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে বিদ্যলয়ের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে অত্র বিদ্যলয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল হাই সাহেব এর দায়িত্বে হস্তান্তর করে বিদ্যালয় থেকে আমার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেই।
এরপর থেকে বিদ্যালয়টি ধাপে ধাপে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় এক হাজার । বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ খ্রিঃ সনে প্রথম এমপিও ভুক্ত হয়। ১৯৯৫ খ্রিঃ সনে সরকার কর্তৃক একটি দুতলা বিল্ডিং এর নিচতলার কাজ সম্পন্ন হয় এবং ২০০৯ খ্রিঃ সনে ২য় তলা শেষ পর্যায়ে হয় । ১৯৯২ খ্রিঃ সন হইতে ২০১৪ খ্রিঃ সন পর্যন্ত অত্র বিদ্যালয় সহ সরকারি ও বেসরকারি চাকুরিতে কর্মরত আছেন। এরপরেও আছেন অনেক স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত যেমন ব্যারিষ্টার, এডভোকেট।
উপসংহারঃ আমি যেভাবে বিদ্যলয়টি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আজও সেভাবে গড়ে উঠেনি । তবুও আমি আশাবাদী হয়তো একদিন বাস্তবায়িত হবে । তখন আমি নাও থাকতে পারি।