সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম রাজধানী সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের শহর। এর মাটি ধন্য হয়েছে লালন,রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, দাদ আলীর সংগ্রামী ও মানবীয় চেতনাকে বক্ষে ধারণ করে। এ জেলারই নারী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজ।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৮ বছর পরও কুষ্টিয়া জেলায় ছিল না মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার কোন প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মানুষের সহায়তায় ১৯৬৬ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ নামে একটা কলেজ (বর্তমান লাল মোহাম্মদ তেল কলের পূর্ব দিকে) রিকুইজিসনকৃত একটা বাড়িতে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করে। ছাত্রীদের জন্য তখন আবাসনের ব্যবস্থা ছিল। ১৯৬৭ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভার আনুকূল্যে স্থানীয় বিশিষ্ট বিদ্যোৎসহী ব্যক্তি জনাব হাসান ফয়েজ, জনাব আব্দুর রহমান এবং জেহের মন্ডলের জমিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় কলেজটি বর্তমান অবস্থানে স্থানন্তরিত হয়। কলেজের বর্তমান প্রাচীরটি তৎকালীন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জনাব কামারুল হাসান সিদ্দিকীর সহায়তায় নির্মিত। কুষ্টিয়া কলেজের তৎকালীন উপাধ্যক্ষ স্থানীয় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব সি,এম,জি জাকারিয়া কলেজটির প্রথম অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কলেজটির একটি নিজেস্ব ভবন এবং একটি ছাত্রী নিবাস নির্মিত হয়। ১৯৭৯ সালের ৭ মে কলেজটির জাতীয়করণ হলে কুষ্টিয়া সরকারী গার্লস কলেজ নামে তা পরিচিত হয়।
বর্তমান কুষ্টিয়া শহরের দক্ষিণ প্রান্তে কোলাহল মুক্ত মনোরম নৈসর্গিক পরিবেশে কলেজটি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা সহ ঝিনাইদহ, মেহেরপুর জেলার মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার দ্বারকে প্রসারিত রেখেছে।
এখানে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রী পাশ ও ডিগ্রী অনার্স শ্রেণী সমূহে পাঠদান করা হয়। বর্তমানে দুটি ছাত্রী হোস্টেলে তিন শতাধিক ছাত্রীর আবাসনের সুব্যবস্থা রয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সুন্দর আয়োজন রয়েছে। কলেজটির সাথে শহরাঞ্চলের সহজ ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মেয়েদের সুশিক্ষিত নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুযোগ্য ও নিবেদিতপ্রান শিক্ষক নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।