মনিয়ারী গ্রামটি অনেক পরিচিত একটি গ্রাম।এ গ্রামটি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় অবস্থিত।০৬ নম্বর ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত।এই গ্রামের পূব সাইটে রযেছে পতিসর যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সঙ্গে যুক্ত. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছাড়ী বাড়ী এবং বয়ে গেছে নাগর নদী যা ছোট নদী হিসেবে খ্যাত।মনিয়ারী থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন।নওগাঁর দক্ষিণ-পূর্ব ও জেলা শহর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত সবুজ শ্যামল ঘেরা এই সোনার গ্রামটি।এই গ্রামের শতকরা ৯২ভাগ ছেলে মেয়ে শিক্ষিত। এছাড়াও এই গ্রামে সরকারি চাকুরীজীবি ও বেসরকারী চাকুরীজিবী,কবি,মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে এমন কিছু সেচ্ছায় সেবা মূলক সংগঠন রয়েছে যাদের মধ্য মনিয়ারী সামাজিক সংস্কৃতিক উন্নয়ন সংঘ ও ফেন্ডস গ্রুপ।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম স্মরন করলেই মেনে পড়ে যায় পতিসরের কথা।কালীগ্রাম পরগনার ঠাকুর পরিবারের জমিদারির সদর দপ্তর পতিসরে অবস্থিত ছিল। দ্বারকানাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ, ১৮৩০ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জমিদারী ক্রয় প্রথম জানুয়ারী ১৮৯১ সালে পতিসরে এসেছিলেন। পতিসর এর দ্বিতল কুঠিবাড়ি স্থাপত্যের নকশা শিলাইদহ-শাহজাদপুর এর যে অনুরূপ. ভবন, প্রধান প্রাসাদের সংলগ্ন এখন ধ্বংসাবশেষ হ্রাস করা হয়. পুকুরে,রবীন্দ্রসরোবর নামে, এখন একটি অনূপ ভরাট করা হয়. পতিসর তার থাকাকালিন, রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও পদ্য খেলা বিদায় অভিশাপ রচিত। তিনি অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, একটি স্কুল রথীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, এবং পতিসর কৃষি ব্যাংক (১৯০৫) নামে. তিনি পতিসর এ ট্রাক্টর চালু এবং কৃষি, তাঁত, এবং মৃত্শিল্প উন্নয়নে সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। ১৯২১ সালে, যখন জমিদারি ভাগ করা হয়,পতিসর ঠাকুরের ভাগ খোলস. কবি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, তখন পতিসর ভাড়াটেদের সম্মানের একটি ঠিকানা (১৯১৩) সঙ্গে তাকে সম্বর্ধনা। তার প্রজাদের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ পূণ্য অনুষ্ঠানে শেষবারের ১৯৩৭ সালে শেষ বারের মত পতিসর পরিদর্শন করেন। এর পর থেকে প্রতিবছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক ভক্ত পতিসরে তার কাছাড়ী দেখতে আসে দেশ ও বিদেশ থেকে।এ ছাড়াও ২৫শে বৈখাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তীতে তাকে নিয়ে জাতীয় ভাবে নানা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাজ সজ্জার ব্যবসথা করা হয় হয় এই পতিসরে।