একটি সুশিক্ষিত জাতিই পারে একটি উন্নত ও সফল সভ্যতা নির্মাণ করতে। সমগ্র বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, যেসব জাতি সুশিক্ষিত তাদের পরিশ্রম ও সাধনার ফলেই আজ পৃথিবীর এত মহিমা, এত বৈভব। জাতি হিসেবে আমাদের একটি গৌরবময় অতীত থাকলেও বর্তমানে আমাদের অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়। বেকারত্ব, অশিক্ষা, দারিদ্র্য ইত্যাদি সমস্যা আমাদের নিত্যসঙ্গী। এসব সমস্যা যে কোনো সচেতন নাগরিককেই চিন্তিত করে, তার অনুভূতিকে নাড়া দেয়। আমাদেরকেও এ সমস্যা ভাবায়।
এসব চিন্তা থেকেই ১৯৯৪ সাল থেকে একদল সুশিক্ষিত অধ্যাপক, লেখক ও তরুণের সমন্বয়ে প্রফেসর’স প্রকাশন-এর পথ চলা। নিছক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকলে অধিক মুনাফার আশায় অন্য অনেক ব্যবসাই করা যেত। কিন্তু আমরা চেয়েছি জাতীয় কল্যাণ, রুচি ও ব্যবসার সমন্বয়সাধন করতে। এ উদ্দেশ্যসাধনেই ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হচ্ছে দেশের প্রথম ও সর্বাধিক প্রকাশিত সাধারণ জ্ঞান, ক্যারিয়ার এবং সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমৃদ্ধ মাসিক ‘প্রফেসর’স কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স’। এছাড়াও ২০০১ সালে প্রকাশিত হয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘সায়েন্স ওয়ার্ল্ড’ । প্রফেসর’স প্রকাশন-এর পাঠকসেবার এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় প্রফেসর’স পরিবারে পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছে সৃজনশীল সাহিত্য ও গবেষণাকর্ম নিয়ে ‘কথাপ্রকাশ’, শিশুমনের নানা রঙ আর কিশোরমনের নানা ভাবনার সমন্বয়ে নান্দনিকতা নিয়ে ‘শৈশব পাবলিকেশন্স’ এবং কোরআন ও হাদীসের আলোকে গবেষণাধর্মী ইসলামী জ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা ‘আকীক পাবলিকেশন্স’। সেই সাথে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বর্ণালী বইঘর’ ও ‘সুবর্ণ প্রিন্টার্স’ এবং সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ‘হালিমা-রহিম ফাউন্ডেশন’। এ সব কিছুই পাঠকসেবার উদ্দেশ্যে প্রফেসর’স পরিবারের একান্ত ও নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা।
আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করেছি, তাতে আর্থিকভাবে খুব লাভবান না হলেও মানসিকভাবে আমরা সফল। কেননা, আমাদের সঙ্গে রয়েছে অজস্র পাঠক এবং দেশবাসীর অফুরন্ত ভালোবাসা । আমরা চাই আমাদের দেশ ও জাতি নিজেকে বিশ্বের সামনে মাথা উচু করে দাড়াক, আপন শক্তিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক।