সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয়ের সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানে এবং কলেজ গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সভাপতি ও স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নুরুল মোমেন খান, এনডিসি, পিএসসি মহোদয়ের নেতৃত্বে গঠিত গভর্নিং বডির সুদক্ষ পরিচালনায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্নত শিক্ষাদান ও চরিত্র গঠনের কাজে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ নিবেদিত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয়, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (CMW) উত্তর-পূর্ব পার্শ্বে, জিয়া কলোনি-এমইএস ফ্লাইওভারের পশ্চিমে এবং জেনারেল মুস্তাফিজ স্মরণি সংলগ্ন মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে, মূল শহরের কোলাহল ও দূষণমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর পরিসরে এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটি ইউনিট স্কুল নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫১ সালে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড গঠিত হলে ১৯৫২ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করে। এটিই দেশের ক্যান্টনমেন্টসমূহের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে শাহাদৎবরণকারী শহীদ রমিজ উদ্দিন, বীর বিক্রম-এর নামানুসারে অত্র প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ৫ই অক্টোবর ১৯৯৮ সালে কলেজে উন্নীত হয় এবং নামকরণ করা হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৎকালিন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, বীর বিক্রম, এনডিসি, পিএসসি অত্র প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক শাখা উদ্বোধন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু করা হয়। ২০০২ সালে শিক্ষাবোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়, শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজ। বর্তমানে কলেজটির পুনঃনামকরণ করা হয়েছে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। এ নামেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি লাভ করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতিক্রমে ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষ হতে কলেজটি ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত হয় এবং বিএ, বিএসসি ও বিএসএস (পাস) কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কলেজটিতে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ০৬টি বিষয় চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।