বুড়িচং এর পটভূমি:
বুড়িচং উপজেলার পূর্বনাম ছিল উত্তর বিজয়পুর। কিংবদন্তী অনুসারে খৃষ্টীয় একাদশ শতকের গোড়ার দিকে এই উত্তর বিজয়পুর গ্রামে বহু জ্ঞানী -গুনীর আবাসস্থল ছিল। একাদশ শতকের দিকে চৈনিক পরি ব্রাজক “ইয়েন সাং” উত্তর বিজয়পুর পরিদর্শণ করতে আসেন এবং এলাকার জ্ঞানী-গুনীদের সাহচর্যে মুগ্ধ হন। ঐ সময় এ এলাকাকে “বুড্ডি চিয়াং” নামে অভিহিত করেন। চৈনিক ভাষায় বুড্ডি চিয়াং এর বাংলা অনুবাদ করলে বুড্ডি অর্থ বুদ্ধি বা জ্ঞানী বা শিক্ষা এবং চিয়াং অর্থ আবাসস্থল বা আস্তানা বা শালা ইত্যাদি বুঝায়। তাই বুড্ডি চিয়াং এর আভিধানিক অর্থ দাড়ায় জ্ঞানী ও গুনীর আবাসস'ল, উক্ত বুড্ডি চিয়াং নাম হতে কালক্রমে মানুষের মুখের ভাষায় সহজ বলার তাগিদে বুড্ডি চং ও পরে বুড়িচং নামের উৎপত্তি হয়। কুমিল্লা সদর (কোতয়ালী) এর কিছু অংশ ও বর্তমান ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়া জেলার কিছু অংশ নিয়ে ১৯১৬ সালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের মাধ্যমে বুড়িচং থানার গোড়াপত্তন হয়। ১৯৬৩ সালে বুড়িচং থানা একটি উন্নয়ন সার্কেল-এ রূপান্তরিত হয়। ১৯৭০ সালে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র থানা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৭৮ সালে এই থানার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাক্ষ্মনপাড়া নামে অপর একটি থানার সৃষ্টি হয়। অবশিষ্ট ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৫/০৪/১৯৮৩ সালে বুড়িচং থানা একটি মানোন্নীত থানা বা উপজেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
ভৌগলিক পরিচিতি:
বুড়িচং উপজেলার উত্তরে ব্রাক্ষ্মণপাড়া, দক্ষিণে কুমিল্লা আদর্শ সদর, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলা অবস্থিত।
ইউনিয়ন সমূহ:
রাজাপুর,বাকশীমূল,বুড়িচং সদর,ষোলনল,পীরযাত্রাপুর,ময়নামতি,মোকাম, ভারেল্লা।
উপজেলার দর্শনীয় স্থান:
উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, ময়নামতি কালী মন্দির, উপজেলা পরিষদ মসজিদ, ময়নামতি ওয়ার সেমিট্রি, ময়নামতি বৌদ্ধবিহার।